ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশের জন্য ছয় বছর আগে ঘটা করে শিল্প বিকাশ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয় কুমারগ্রামের বারবিশায়। কিন্তু তার পরে একটি শিল্পও গড়ে ওঠেনি সেখানে। শিল্প বিকাশ কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যেতে দেখে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা শিল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বেকার ছেলেমেয়েদের স্বনির্ভর করে তুলতে ২০০৬ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে কুমারগ্রাম রোডের ধারে ১৮ বিঘা জমিতে ওই শিল্প বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ছয়টি শেডে প্রায় ৫০টি ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের মত পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়।
বিদ্যুৎ, পানীয়, জল, রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা সবই রয়েছে সেখানে। কিছু ফাঁকা জমিও আছে। সেখানে অটোমোবাইল, ধূপকাঠি, মোমবাতি, মুদ্রণ, আসবাব সহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। ওই দায়িত্ব দেওয়া হয় কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিকে। কিন্তু আজও শিল্প গড়ে না ওঠায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, “এলাকার মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। শিল্প বিকাশ কেন্দ্রে শিল্প তৈরি হলে অর্থনৈতিক চেহারা বদলে যেত। কিন্তু সেটা প্রশাসনের উদাসীনতা হল না।”
কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসন্তী কেরকাট্টা অবশ্য উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে কোনও উদ্যোগী পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে সৌরবাতি প্রস্তুতকারক একটি বেসরকারি সংস্থাকে তিন বছর আগে লিজে দেওয়া হয়েছে। ওঁরা যেন দ্রুত কাজ শুরু করে সেটা দেখা হচ্ছে।”
কুমারগ্রামের বিধায়ক দশরথ তিরকি বলেন, “শিল্প বিকাশ কেন্দ্র কেন শিল্প স্থাপন হচ্ছে না সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলব পঞ্চায়েত সমিতিকে। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থার লিজ বাতিল করতে হবে।” একই কথা বলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র। তিনি বলেন, “কেন ওই শিল্প বিকাশ কেন্দ্রে কাজ হচ্ছে না সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |