প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার থাকায় চাহিদা মিটছে না গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। তাই সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আরও একটি ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি করলেন খয়রাশোলের পারশুণ্ডী গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবারের বাস। রয়েছেন যথেষ্ট সংখ্যক বৈধ গ্রাহক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্তমান ট্রান্সফর্মারটিতে লো-ভোল্টেজের সমস্যা থাকার পাশাপাশি হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে। তাঁদের দাবি, রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় গ্রামের আরও কয়েকটি পরিবারে খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে চলেছে। তখন সমস্যা আরও জটিল হবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। এই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা ইতিমধ্যেই আরও একটি ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি জানিয়েছেন। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের খয়রাশোল শাখার স্টেশন ম্যানেজার অপরেশ দত্ত অবশ্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, “ওই গ্রামে ৬৩ কেবি-র একটি ট্রান্সফর্মার রয়েছে। বাসিন্দাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে আরও একটি একই ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ মাসেই তার কাজ শুরু হবে।”
|
রাজগ্রাম-বোলপুর রাস্তা এবং কানুপুর-বহুতালি রাস্তার সংযোগ স্থলে মুরারইয়ের রাজগ্রাম জলট্যাঙ্কি এলাকায় একটি সেতু রয়েছে। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, বেহাল ওই সেতু সংস্কার করতে হবে। কাজ না হওয়ায় সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর একাংশ ওই সেতুর খারাপ অংশ ভেঙে দেন অভিযোগ। এর ফলে ওই দিন বিকেল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সব্জির গাড়ি রাজগ্রাম বাজারে ঢুকতে পারেনি। রাজগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোবিন্দলাল বিশ্বাসের দাবি, “সব্জির গাড়ি ঢুকতে না পারায় ইতিমধ্যে বাজারে দাম বেড়েছে। শীঘ্রই সেতু সংস্কার না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।” সমস্যার কথা মুরারইয়ের তৃণমূল বিধায়ক নুরে আলম চৌধুরীকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, সিপিএমের আনোয়ার হোসেন বলেন, “কে বা কারা সেতুটির খারাপ অংশ ভেঙে দিয়েছে জানা নেই। সেতুটি পূর্ত দফতরের অধীনে। আমাদের পক্ষে তা সারানো সম্ভব নয়।” মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম বলেন, “পূর্ত দফতরের (সড়ক) নির্বাহী বাস্তুকারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে সেতু সংস্কারের আশাস পাওয়া গিয়েছে। আপাতত সাময়িক ভাবে সংস্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।”
|
ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। সুফল মাল (১৬) নামে ওই কিশোরের বাড়ি রামপুরহাট থানার ছিটাসপুর গ্রামে। সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট-পিনারগড়িয়া রেলপথের আদলপাহাড়ি স্টেশনে ঢোকার আগে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনে উঠে সুফল মোবাইলে কথা বলতে বলতে অসতর্কে পড়ে যায়। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে রাতেই সেখানে তার মৃত্যু হয়।
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে নলহাটি-মুরারই রাস্তায়, মুরারই থানার বঠিয়া গ্রামের কাছে। পুলিশ জানায়, মুরারইয়ের দক্ষিণ কাশিল্যার বাসিন্দা মফিজউদ্দিন শেখ (৪৫) নামে ওই ব্যক্তি লরির ধাক্কায় জখম হন। পরে রামপুরহাট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। |