বড়দিনে ছোটদের চাওয়া, একসঙ্গে থাকুক মা-বাবা
হাড় কাঁপানো শীত আর তার সঙ্গে উৎসবের ভরপুর মেজাজ, এই নিয়েই বড়দিন। ছোটদের বড়দিন।
বছরভর কচিকাঁচাদের অধীর অপেক্ষা থাকে, কবে আসবে ২৫ ডিসেম্বর? জমে থাকা চাওয়া-পাওয়ার হিসেব-নিকেশ সারতে হবে যে। কিন্তু কীই বা চাওয়ার থাকতে পারে বুড়ো সান্তা ক্লজের কাছে? মা-বাবা তো আপ্রাণ চেষ্টা করেন বর্তমান প্রজন্মের সব ইচ্ছেই পূরণ করতে। তা হলে?
শুভেচ্ছা গ্রহণ করছেন রানি। ছবি: রয়টার্স।
এই প্রশ্নের জবাব পেতেই পথে নামেন ব্রিটেনের এক দল সমীক্ষক। তাঁদের সমীক্ষায় উঠে এল ছোটদের যাবতীয় দাবি-দাওয়ার দীর্ঘ এক তালিকা। ছোট পরিবারের নিঃসঙ্গ জীবনযাপন থেকে রেহাই পেতে সান্তার কাছে এখনকার ছোটদের দাবি, তাদের চাই সর্বক্ষণের খেলার সঙ্গী, ছোট্ট একটা ভাই অথবা বোন। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। এতে ব্যতিব্যস্ত ছোটরাও। একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে তারা তাদের জীবনে চাইছে মা-বাবা দু’জনেরই সঙ্গ। বাড়িতে চাইছে অন্তত একটি পোষ্যর উপস্থিতি। তা সে ঘোড়াই হোক বা কুকুর। কেউ বা চাইছে বাড়ি, কেউ আবার গাড়ি। কেউ আবার মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, অথবা নিদেন পক্ষে একটা কম্পিউটার। কারও কারও ইচ্ছে আবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। সান্তার কাছে তাদের দাবি যে করেই হোক এক বারটি অন্তত চাঁদে নিয়ে যেতেই হবে তাদের। কেউ আবার ভাবছে একটা টাইম মেশিন পেলেই হয়। এতেই মিটবে তাদের সব আশ। চক্কর দিয়ে আসা যাবে ভূত ও ভবিষ্যতের দিনগুলোতে।
এটা তো গেল বর্তমান প্রজন্মের দাবিদাওয়ার নমুনা। কিন্তু কী ভাবে বড়দিন কাটাতেন এখনকার বড়রা? তাঁদের দাবিদাওয়া কী মেলে এখনকার ছোটদের সঙ্গে? উত্তর মিলল ফার্স্ট লেডির কথায়। বড়দিনের দিনই মিশেল ওবামা জানালেন কী ভাবে তাঁর ছোটবেলার বড়দিন কাটাতেন তিনি। মিশেল বললেন, প্রতি বছর বড়দিনে একটা করে বার্বি কেনাই ছিল তাঁর যাবতীয় উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু। বার্বির বাড়ি, চিরুনি এ সবই সম্পদের মতো আগলে রাখতেন তিনি। ‘জিঙ্গল বেলস্’ ছিল তাঁর প্রিয় গান।
শিশুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে উচ্ছ্বসিত মিশেল। ছবি: এএফপি
এ বছর বড়দিনে মিশেলের কাঁধে ছিল গুরু দায়িত্ব। উত্তর আমেরিকার এরোস্পেস ডিফেন্স কম্যান্ডের হয়ে স্যান্টার অবস্থিতি সম্পর্কে কচিকাঁচাদের অনবরত অবহিত করাই ছিল তাঁর কাজ। কম্পিউটারের সামনে বসে মিশেল জানাচ্ছিলেন ঠিক কখন কোথায় উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্যান্টা। পরিবারের সঙ্গে এই মুহূর্তে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ছুটি কাটাচ্ছেন মিশেল। ওই সংস্থার হয়ে তাই ফোনেই উত্তর দিচ্ছিলেন ছোটদের সব প্রশ্নের। ছোটদের জানালেন এ বছর স্যান্টার ঝুলিতে রয়েছে প্রায় ৫৩০ কোটি উপহার। সেই সবই স্যান্টা বিলিয়ে দেবেন ছোটদের জন্য। বর্তমান প্রজন্ম কী চায় তা নিয়ে যথেষ্টই অবহিত মিশেল। তাই তিনি চান আজ না হোক কাল, সব ইচ্ছেই পূরণ হোক ছোটদের। বড়দিন ভাল কাটুক সবার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.