|
|
|
|
হু ল্লো ড় |
আমরা... নবীন খিচুড়ির দূত
রবীন্দ্রনাথেও আছি, প্লে বয়-তেও। আমাদের বনলতা সেন আছে
ম্যাডোনার পাশে। এখনকার বাঙালি সমাজকে নিয়ে লিখছেন
‘মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর’-এর পরিচালক মৈনাক ভৌমিক |
|
|
লোকে আমায় জিজ্ঞেস করে, একটা সেক্স কমেডি আর একটা ডার্ক-হার্ড-রকিং-পাঁচমিশেলি ছবির পরিচালক হয়ে আমি কেন একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে একটা ছিমছাম ছবি করতে গেলাম। আমি উত্তর দিই, ‘‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর হচ্ছে ‘আমার’ পারিবারিক ছবি, মাই ভার্সান অব আ ফ্যামিলি মুভি। যে বাঙালি যৌথ পরিবারটায় আমি বড় হয়েছি, ছবিটা তারই ছায়া অবলম্বনে তৈরি।” আমাদের খাঁটি একান্নবর্তী পরিবারগুলোর একটা ঐতিহ্য আছে। আমি দেখেছি, তারা এতটাই প্রাচীন প্রথামাফিক চলে যে, মনে হয় যেন চসারের ‘ক্যান্টারবেরি টেলস’-এর মতো কোনও বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছে। অন্য দিকে তাদেরই আবার সেক্স নিয়ে খ্যাপামি আছে। দিব্যি হেলদোলহীন, মজাদার। ফ্রান্সের ন্যুড বিচেও আপনি এতটা মজা পাবেন কি না সন্দেহ।
একান্নবর্তী পরিবারগুলোর এই খ্যাপামির সত্যিই তুলনা নেই। কেন, তার কয়েকটা উদাহরণ দিই।
যেমন ধরুন, হাওড়ায় আমার এক ভাইয়ের বিয়ে ছিল। সেখানে আমি ওকে বললাম, “তোর অদ্ভুত লাগছে না, যে বাড়িতে তোর বাবা-মা থাকে, সেই বাড়িতেই তুই এ বার থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে শুবি?” ওর উত্তরটা মাস্টারস্ট্রোক। বলল, “এক দিক দিয়ে সেটা ভাল। কারণ অ্যাদ্দিন আমাকে সব লুকিয়ে-চুরিয়ে রাখতে হত, ভাব করতাম যেন আমি ভার্জিন। কিন্তু এখন থেকে যৌনতার ব্যাপারে আমি বেশ বেপরোয়া। কারণ এ বার থেকে বাবা-মায়ের বাড়িতেই ওই সব করব। আর সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, যেহেতু বিয়ে করে ফেলেছি, এখন সব কিছুই আইনি।” ঠিক এই পড়ে পাওয়া রোমাঞ্চটাই পাচ্ছে ‘মাছ মিষ্টি’ পরিবারের বড় ছেলে রাহুল, যখন ও তার পৈতৃক ভিটেতেই বৌয়ের (অভিনয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে শরীরী সম্পর্কের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সুতরাং আপনি যদি সান্টা ক্লজ বা ভার্জিন মেরিতে বিশ্বাস করেন, তা হলে সসঙ্কোচে একটা কথা আপনাকে বলি যে, আপনার মা, বাবা, দাদু, দিদা, ঠাম্মা, ছোটপিসি, মেজজেঠু এদের কেউই ধোয়া তুলসী পাতা না-ও হতে পারে!
১৩ বছর বয়সে আমি আমার বাবার প্লেবয় ম্যাগাজিনের ভাণ্ডার খুঁজে পাই। সেগুলোকে লুকিয়ে রেখেছিলাম আমার রবীন্দ্র রচনাবলির পেছনে। তার পর একদিন ম্যাগাজিনগুলো ভুল করে আমার ডেস্কের ওপর ফেলে রেখে গিয়েছি। ফিরে এসে আর পাই না। খুঁজতে খুঁজতে দেখি, আগে যেখানে ওগুলো লুকোনো থাকত, সেখানেই আবার তাদের সযত্নে রেখে দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই মায়ের হাতে পড়েছিল। আর মা-ও আমায় বুঝিয়ে দিল, আমি যে পর্নো ম্যাগাজিন দেখছি, সেটা তার অজানা নয়। মাছ মিষ্টির মা সেই সনাতনী আদলে গড়া বাঙালি মা। আমার সেই মা, যে জানত আমি সব জানি। আর সেটা যে মা জানে, তা-ও আমি জেনে ফেলেছি। কী মনে হচ্ছে? আমায় পেটাবেন তো?
আর এক বার রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিলাম দাদাই, মানে আমার ঠাকুর্দার কাছে সিগারেট খাওয়া নিয়ে। ১৭ বছর বয়সে সিগারেট ধরি। আমার মুখটা ছিল অনেকটা হলিউড অভিনেত্রী উইনোনা রাইডারের মতো। পিত্তি জ্বালানো নিজের চেহারাটা নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম ঠিকঠাক থাকার, চার পাশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। কতকটা সেই কারণেই সিগারেটটা ধরা। এ দিকে বাঙালি ঐতিহ্য আর পারিবারিক মূল্যবোধ আমার মাথায় পুরে দিয়েছে যে, সিগারেটের ব্যাপারটা বড়দের থেকে, মানে দাদাইয়ের থেকেও লুকোতে হয়। কাজেই সব ছেলে যা করে, আমিও তাই করতাম। ধোঁয়া ছাড়তাম জানলা দিয়ে, তার পর ঘরে ডিওডোরেন্ট স্প্রে করতাম আর মুখে মাউথ ফ্রেশনার। এ সব কাণ্ড চলেছিল সেই দিন অবধি, যে দিন স্কুল থেকে ফিরে দেখেছিলাম আমার টেবিলে রাখা একটা অ্যাশট্রে আর দাদাইয়ের তিনটে জিপো লাইটার। কে জানত, আমার ধুতিপরা ব্রাহ্মণ দাদাই আসলে ছিল জিপোধারী এবং লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রেগরি পেক হওয়ার বাসনা রাখা এত সাংঘাতিক একটা লোক। ‘মাছ মিষ্টি’-র দাদুর (অভিনয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) চরিত্রটা দাদাইকে মনে রেখেই। একটা খ্যাপা লোক যে কি না নতুন যুগের পৃষ্ঠপোষকও বটে!
|
|
|
প্লে বয় ও রবীন্দ্রনাথ |
|
|
ম্যাডোনা ও বনলতা সেন |
|
|
(ব্যাকরণ মানি না) |
|
চিরাচরিত বাঙালি পরিবারে ছোটদের, বিশেষ করে আমার মতো শেকড় ছেঁড়া হিরোদের কাছ থেকে কী আশা করা হয়? এটাই যে আমরা বইয়ে মুখ গুঁজে থাকব, মেয়েদের অপছন্দ করব, অবসর সময়ে উসকো-খুসকো এক মাথা চুলের কিছু সঙ্গীসাথি নিয়ে ঘুরব আর রাত এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ব। আমি খুব একটা পড়াশোনা করতাম না, যদিও ভোর চারটে অব্দি জাগতাম। আর ওই ঝাঁকড়া চুলোদের জায়গায় বেছে নিয়েছিলাম একটা অবাঙালি মেয়েকে, ঠিক যেমন এই ছবিটায় বাড়ির অবাধ্য ছোট ছেলে রাজ (অভিনয়ে অনুব্রত বসু) প্রেমে পড়েছে মারোয়াড়ি মেয়ে নেহার (নেহা পণ্ডা)।
আমার মতো বাচ্চাদের একটা ডাকনাম শুনতে শুনতে বড় হতে হয় ‘এবিসিডি’। অর্থাৎ অ্যামেরিকান বর্ন কনফিউজড দেশি’স। আমার বেলায় তো ব্যাপারটা আরও খারাপ। খানিকটা নিউ ইয়র্কে বড় হয়েছি, স্কুলজীবনের শেষ কয়েকটা বছর কেটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো একটা ট্যাঁশ স্কুলে। তার পর কলেজে পড়তে আবার নিউ ইয়র্কে ফিরে গিয়েছি। কাজেই আত্মপরিচয় ব্যাপারটা ছিল আমার এক বড় সমস্যা। সত্যি বলতে কী, ঝুম্পা লাহিড়ির ‘দ্য নেমসেক’ পড়ার সময় তাঁর প্রধান চরিত্র গোগোলের সঙ্গে ভীষণ একাত্ম হতে পেরেছিলাম। সে-ও আমেরিকায় বড় হওয়া এক ভারতীয় ছিল। বাঙালি বাবা-মায়ের ছেলে হয়ে বাড়ির লোকেদের সামনে ভাল বাংলা বলতে পারে না। তাই বিব্রত, কনফিউজড। আমার প্রবাসী বাঙালি পরিবারও আমাকে কলকাতার যে ধারণাটা দিতে পেরেছিল, সেটা হল তাদের স্মৃতি থেকে উদ্ধার করা সত্তরের কলকাতার ছবি। কাজেই এখানকার যুবসমাজ সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল হয় এরা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতায় ডুবে থাকে কিংবা ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ আওড়ায়। তা না হলে সত্যজিৎ ভাল না ঋত্বিক, এ নিয়ে কলেজ স্ট্রিটে তর্ক করে।
স্বাভাবিক কারণেই এ দফায় কলকাতায় নামার সময় এয়ারপোর্ট থেকেই আমার পা কাঁপছিল। খালি মনে হচ্ছিল, এই শহরটা, এখানকার লোকগুলোর সঙ্গে যেন মানিয়ে উঠতে পারব না। কিন্তু ক্রমশ অবাক হয়ে দেখলাম আমার চোখের সামনে একটা নতুন ইউথ ব্রিগেড। একটা নিউ এজ কলকাতা। মাওবাদ এখন টেরিটি বাজারের চাইনিজ ব্রেকফাস্ট। বর্ধমানে লোকজন মল-এ ঘুরছে, কফি হাউসের আড্ডা বদলে গিয়েছে কফি শপে চট করে সেরে নেওয়া ডেটিংয়ে। বনলতা সেন স্কুলে পড়া হচ্ছে কিন্তু তার সঙ্গে ডেস্কের নীচে লুকিয়ে সবাই টুইটার জোকসও পড়ছে আর পাঠাচ্ছে। সত্যজিৎ বনাম ঋত্বিক তর্কের সঙ্গে এখন রূপম ইসলাম বনাম অনুপম রায়, ম্যাডোনা বনাম বনলতা সেন, রবার্ট প্যাটিনসন বনাম জাস্টিন বিবার-ও হচ্ছে। আর এখন দেখছি, ছেলেমেয়েরা আইপডে গানস এন’ রোজেস, অনুপম রায়, সুমন, জন মেয়ার আর সোমলতার গাওয়া মায়াবনবিহারিণী শুনছে। এই তরুণ দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হল, যতই বব ডিলান শুনুক আর গিটার কাঁধে ঘুরে বেড়াক না কেন সেই বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের রান্না করা মাছের ঝোল-ভাত পেটে না পড়লে খাবার হজম হয় না, ঘুম থেকে উঠে বিস্কুট ডুবিয়ে চা-টা খেতেই হয়। আমেরিকায় জন্মানো, কলকাতায় অর্ধেক বড় হওয়া, অবাঙালিকে ডেট করা ভীষণ ঘেঁটে যাওয়া আমার এই সব দেখে জীবনে প্রথমবার মনে হল এই শহরটা আসলে আমারই শহর। ওই অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েগুলোর দলে আমিও রয়েছি। মাথা উঁচু করে সগর্বে আমরা বলতে পারি যে, আমরা হলাম ‘খিচুড়ি জেনারেশন’।
এই খিচুড়ি জেনারেশনের এক গর্বিত সদস্য আমি, যে সারাজীবন সিনেমা বানাতেই চেয়েছে। আর আমার ছবির ভাষা আমি শেষ পর্যন্ত তখনই খুঁজে পাই, যখন থেকে আমি জড়িয়ে ধরি আমার মনে-মাথায় চেপে বসা খিচুড়ি প্রভাবগুলোকে। ঝুম্পা লাহিড়ি থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ, কোয়েন্তিন তারান্তিনো থেকে সুমন, নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত।
তারান্তিনোর ‘রিজার্ভয়ার ডগস’ আমি দেখি পনেরো বছর বয়সে। এমনিতে গ্যাংস্টার নিয়ে ছবি। প্রচুর বন্দুক, গুন্ডাগিরি, রক্তারক্তি। কিন্তু তার মধ্যেই এ ছবির ডায়ালগের বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে রয়েছে ম্যাডোনার দু’টো গান ‘লাইক আ ভার্জিন’ আর ‘ট্রু ব্লু’ নিয়ে কথাবার্তা। এ বার বলুন, এমন একটা ছবিতে এ সব আলোচনা ঢোকে কী করে? কাট টু ২০০০ সাল। দেখলাম ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘উৎসব’। পরিচালক ফুটিয়ে তুলেছেন একটা ট্র্যাডিশনাল বাঙালি যৌথ পরিবারের দুর্গাপুজোর গল্প। ইন্টারেস্টিং, ওই পুজোর গল্পের মধ্যেই উনি দেখাচ্ছেন চুলে শ্যাম্পু করা গৃহবধূ, কার্যত চাকরি হারানো এবং বৌ-কে তা বলার সাহস না থাকা এক পুরুষ (মনে পড়ছে ‘বেডরুম’-এর আবিরকে?)। এবং এই গল্প বলার ফাঁকেই পরিচালক কুর্নিশ জানিয়ে যাচ্ছেন ওঁর চোখে ভাসতে থাকা কিছু বাংলা ছবিকেও। এই দুই পরিচালকের ভক্ত হতে আমার বেশি সময় লাগেনি। সেই সঙ্গে ভর করলেন সুমন-নচিকেতা-অঞ্জন। এই তিনটি মানুষ নব্বইয়ের দশকে বাংলা গানের চেহারাটাই পাল্টে দিচ্ছিলেন। লিখছিলেন কলকাতা শহর নিয়ে, তাঁদের চেনা বাঙালিদের নিয়ে। তাঁদের প্রিয় গানের প্রভাব তাঁদের সৃষ্টিতে। আমি এই সবই নিয়েছি এই সব মানুষের কাছ থেকে। বুঝেছি, এঁদের পরস্পরের জগৎ আলাদা হলেও প্রত্যেকেরই অনেক কথা বলার আছে।
আমি ভাবলাম, ওঁরা যদি পারেন, আমিই বা পারব না কেন? প্রথমত, আমি বাঙালি। একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে উঠেছি। দ্বিতীয়ত, আমি ম্যাডোনাকে ভালবাসি, এবং কখনও ভাবতেও পারিনি যে কেউ তাঁকে চিত্রায়িত করছে। স্বপ্নেও আমার মনে হয় না কোনও দিন ঋতুপর্ণ ঘোষ বা কোয়েন্তিন তারান্তিনোর মতো তুখোড় পরিচালক হয়ে উঠতে পারব। সত্যি বলতে কী, সিনেমার প্রতিভার দিক থেকে বলতে হলে আমি হলাম সেই প্রতিভাবান যার ধারে-কাছে না যাওয়াই ভাল। আমি কুঁড়ে, অধৈর্য, লাজুক। মনের ভাব বোঝাতে , সুনিশ্চিত পদক্ষেপ করতে এবং ‘নির্দেশ’ দিতে ব্যর্থ। এক কথায়, চিত্র পরিচালক হতে গেলে যা যা হওয়া উচিত নয়, আমি তার সব কিছুই। তবুও, আমার কাছে আছে শোনানোর মতো অনেক গল্প আমার জীবন, আমার পরিবার, আমার শহর, আমাদের পুরো প্রজন্মকে নিয়ে। এটাই পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যাকে আমি আমার ঘর বলতে পারি। এরা যেন ঠিক আমারই মতো। এই শহর, আর তার মানুষগুলো শুধুমাত্র ‘মাছ আর মিষ্টি’ই নয়, তার থেকে অনেক অনেক বেশি ‘মোর’....‘মোর’।
এই শহরে সবই সম্ভব। আপনি এমন কোনও বাঙালি ছেলেকে (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) দেখবেন যে ভাবছে, সর্বক্ষণ হাতের মুঠোয় রাখতে চাওয়া গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে পড়ে থাকবে, না কি একটা পাক্কা বোহেমিয়ান মেয়ের (রাইমা সেন) দিকে ঝুঁকবে। দেখবেন, ১৭ বছরের টমবয়কে (পার্নো মিত্র) ছেলে পাকড়ানোর কৌশল শেখাচ্ছেন কোনও প্রবীণ। দেখবেন, বেনারসি শাড়ির ওপরে নি-হাই বুট পরে বিয়ের রাত্রেই পালিয়ে যাচ্ছে কোনও তরুণী। দেখবেন, তার নিজের শহরের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে মরিয়া কোনও এনআরআই-কে। আবার এ-ও দেখবেন, আধুনিকা বৌমা এক দিকে তার স্বাধীন সত্তা বজায় রাখছে। অথচ শাশুড়ির হেঁশেলে চিরকালীন বৌমাদের মতো জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। এ শহর বন্ধুত্ব ও একাকিত্বের, ভালবাসা ও পরকীয়ার, জীবন ও মৃত্যুর। বলতে পারেন, আমার কলকাতা শহর আর তার বাসিন্দাদের পাঠানো আমার প্রেমপত্রেরই নাম ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’। |
|
|
|
|
|