|
|
|
|
দেরি হয়ে গেল |
ভারতীয় ক্রিকেটের ক্লেদাক্ত রাজনীতি সচিন তেন্ডুলকরকেও বোল্ড করে দিল। কিন্তু সচিনের কি
আগেই
আঁচ করা উচিত ছিল না পরিস্থিতি?
নাকি তীব্র প্রতিভাবানের ক্রিকেট-নিয়তিই তাই? সে
নিজে সরবে না।
কেউ তার গলায় দড়ি ঝুলিয়ে দেবে।
বেঙ্গালুরু থেকে লিখছেন গৌতম ভট্টাচার্য |
বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের গত এক বছর ধরে নতুন আস্তানার নাম আইটিসি গার্ডেনিয়া। পাশেই মাল্য হাসপাতাল। ছোট একটা মোড়। যার মুখে রাহুল দ্রাবিড়ের নতুন ছবি লেগেছে। হোর্ডিংয়ে লেখা: ডু নট ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ। মদ খেয়ে গাড়ি চালানোটা যেহেতু উইক এন্ড বেঙ্গালুরুর ভাইরাস। জনস্বার্থমূলক বিজ্ঞাপনে বিখ্যাত মুখ ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে শহরবাসীকে।
দ্রাবিড় খেলা ছেড়েছেন নয় মাস। কিন্তু এখনই বেঙ্গালুরু শহর জুড়ে জনস্বার্থমূলক বিজ্ঞাপনের বাইরে তাঁর কোনও অস্তিত্ব নেই। হায়দরাবাদে একই অবস্থা লক্ষণের। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রচারে যুক্ত থাকেন এমন যে-কোনও পেশাদারকে জিজ্ঞেস করুন, একটা কথায় ব্যাখ্যা করে দেবেন। আউট অব সাইট আউট অব মাইন্ড। ক্যাটকেটে হিন্দি অভিব্যক্তিতে যো দেখতা হ্যায় ওহি বিকতা হ্যায়। বাইশ গজ থেকে আপনি সরে গেলেন কী শেষ। যতই টিভি করুন বা লেখালেখি। বিজ্ঞাপন বাজার আপনার সম্পর্কে সব আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে। হ্যাঁ, পুরো হয়তো মুছে গেলেন না। এক কালে ডাকসাইটে হিরো ছিলেন। রোল এখনও পাবেন। চারটে সিনে থাকা চরিত্রাভিনেতার।
ভিভ রিচার্ডস খুব সহজে ব্যাখ্যা করেছেন। খেলা চালিয়ে যাওয়া মানে হল জীবনে থাকা। আর অবসর হল মৃত্যু।
দ্রাবিড় একবার বলেছিলেন, আমাদের বিপন্নতাটা বেশি হয় এ জন্য যে, সারা জীবন তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর ধরে যা শিখেছি সেটায় তালা ঝুলিয়ে অন্য কিছুতে মন দিতে যাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন অফিসের চাকরিতে আমি যদি আটত্রিশ বছর বয়সে জিরো থেকে শুরু করি, সেটা তো খুব আতঙ্কের। কবে আমি ট্রেনিং করব। কবেই বা উন্নতি করব। বয়সটাই তো চলে যাবে। হঠাৎ দেখব অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে।
পেশাদার ক্রীড়াবিদের কাছে অবসর তাই এমন প্রান্তিক স্টেশন যা সত্যিই মৃত্যুতুল্য। আসা অবধারিত। শুধু সেটাকে কত বিলম্বিত করা যায়!
ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে তিন দশকের কাছাকাছি যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অবসর নিয়ে চিন্তাভাবনার ব্যাপারে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে দু’ধরণের প্রবণতা কাজ করে। |
|
একদল যারা খাটিয়ে মিডিওকার। পরিশ্রম, মনসংযোগ, সংকল্পে সুউচ্চ শ্রেণিতে উন্নত, তারা অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল। অবসরের ব্যাপারে অনেক অনাবেগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদের শুরু জমকালো না হতে পারে। শেষটা দেবদাস মুখুজ্যের মতো ট্র্যাজিক হয় না। আরেক শ্রেণি যারা চূড়ান্ত প্রতিভাবান। যৌবনে ঝলমল করেন। পারফরমেন্সের নতুন নতুন গণ্ডি ভাঙেন। তাঁরাই অবসর নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে পড়েন। সবাই দেখতে পায় সুনাম নিয়ে এঁদের সরে যাওয়ার সময় হয়েছে। আশ্চর্য এঁরা একমাত্র দেখতে পান না। অসাধারণ কৃতিত্বের সব জীবন এঁরা শেষ করেন, কেউ নর্দমায় পড়ে। কেউ উপেক্ষিত হয়ে। কেউ নিজেকে ভাঁড়ের ভূমিকায় নামিয়ে।
চূড়ান্ত গল্পেও এঁদের জেতার কথা। প্রকৃতিগত ভাবে খরগোশ শ্রেণিভুক্ত যে। অথচ ঈশপের গল্পের রূপরেখা অনুযায়ী জীবনের দৌড়ের ফিনিশিং পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় অন্তত শেষ ল্যাপটায় পরিশ্রমী কচ্ছপ জিতে গিয়েছে।
২০০৩-য়ে স্টিভ ওয়-র যখন ওই রকম বর্ণাঢ্য বিদায়ী সংবর্ধনা চলছিল সিডনি ক্রিকেট মাঠে। ইএসপিএন লাউঞ্জে বসা ওয়াসিম আক্রম বলছিলেন, “হায়, আমাদের দেশে এই সংস্কৃতিটাই নেই। কী সুন্দর সংবর্ধনা পেয়ে শেষ করছে বলুন তো। কী ভাগ্য।”
আক্রমকে তখন ভদ্রতার খাতিরে বলা যায়নি, স্টিভ কী ফর্ম নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন দেখুন। সিরিজের অন্য টেস্ট তো বাদ দিলাম। শেষ ইনিংসের ম্যাচ আর সিরিজ বাঁচিয়ে যাওয়া ৮০। এঁকে তো মানুষ সংবর্ধনা দেবেই। এ যে জনমানসে অপরাজিত থেকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া স্টিভ কী ভাবে শেষ করবেন তা নিয়ে তো ভেবেছেন। হুটহাট করে অবসর মোটেও নয় তাঁর। মানুষ যেমন কোনটা নিজেকে মানাবে বুঝেটুঝে ডিজাইনার শার্ট কেনে, এ তো তেমনই। ডিজাইনার অবসর বহু চিন্তাটিন্তার পর।
তুলনায় আক্রমের পরিণতি কী নগণ্য! সর্বকালের সেরা বাঁ-হাতি পেসার হয়েও শেষ ওডিআই জিম্বাবোয়ের বিরূদ্ধে বুলাত্রয়ে-তে। না করেছিলেন ব্যাট। না বল। আর শেষ টেস্ট বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে ৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করেননি। কারও আক্রমকে জিজ্ঞেস করা উচিত, আপনারও প্রাপ্য ছিল স্টিভের মতো রাজকীয় অবসর। কিন্তু তা হলে আপনি বাংলাদেশ-জিম্বাবোয়েতে গিয়ে বিদায়ী ম্যাচ খেলছিলেন কেন? কোনও যুক্তি আছে? ব্যাকরণ আছে? আফ্রিকা বিশ্বকাপেই তো ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল আপনার! |
পারফেক্ট টাইমিং |
|
|
সুনীল গাওস্কর |
ইমরান খান |
|
|
রাহুল দ্রাবিড় |
স্টিভ ওয় |
|
ইয়ান বোথাম। ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা মহাবলী ক্রিকেটার। জীবনের শেষ টেস্টে করেন ২ এবং ৬ রান। শেষ ওডিআই-তে ৪৩ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
দ্রুতই অগৌরবজনক ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বোথামকে বের করে দেওয়া হয়। ভিভ রিচার্ডস আরেক জন! জীবনের শেষ ওয়ানডে লর্ডসে। করেন ৩৭। শেষ টেস্ট ওভালে। করেন ২ আর ৬০। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে আসেন আট নম্বরে। দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় নম্বরে। মানে কী? মানে ভিভ নিজেই নিজের সম্পর্কে তখন সুস্থির নন। মানসিক হাইওয়ে থেকে সেই লোকটাকে সরিয়ে দিয়েছেন, যে চিকলেট চিবোতে চিবোতে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামছে দেখলে বিপক্ষ আউট করবে কী! নিজেরাই মানসিক ভাবে আউট হয়ে যেত।
এমন প্রান্তিক মানসিকতায় পৌঁছনো মানে যারা বাদ দিতে চাওয়ার জন্য এত কাল ছুরি শানিয়ে বসে রয়েছে, তাদের মস্ত সুবিধে। বিস্ময় কী যে, ভিভও দ্রুত বাদ হয়ে গেলেন বিশ্বকাপের নির্বাচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থেকে! বাকি জীবন গ্ল্যামোরগন খেলে কেরিয়ার শেষ করতে হল।
কপিল দেবের শেষটা ভাবা যাক। চুরানব্বইয়ের ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ জুড়ে জল্পনা, কপিলকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বরেকর্ডের কথা ভেবে। নইলে দলে তাঁর জায়গাই হয় না। ওই সিরিজে নিশুতি রাতে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান আর কোচের মদের আড্ডার মাঝে গভীর ক্রিকেট সংলাপ আজও মনে করতে পারি!
গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ: আজহারকে বলো কপিলকে আরও ওভার করাতে। কোনও রকমে রেকর্ডটা করিয়ে দাও। তার পর তো জানো কী হবে?
অজিত ওয়াড়েকর: করাবে। করাবে। এ যে কী জ্বালা না! ফাস্ট টেস্টে কপিলকে কম বল করিয়েছিল বলে পাবলিকের প্রচুর চিঠি এসেছে। সবাই এখন রেকর্ড দেখছে। অসহ্য!
গড়াতে গড়াতে শেষ অবধি কপিল বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন। কোথায় বলবেন, এ বার শেষ। তা না, উল্টে বললেন, “হাতির খিদে আমার। এ বার লড়ব পাঁচশো উইকেটের জন্য।” বেশি দিন গেল না। ফরিদাবাদ ওয়ানডে-তে ফিল সিমন্সের কাছে প্রচণ্ড মার খেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ থেকে বেরিয়ে এলেন। কপিল দেবের প্রতিভাবিচারে জঘন্যতম অপঘাত-মৃত্যু। যা একটু কৌশলী হলেই রঙিন বিদায়ী অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু কে বোঝাবে!
সচিন তেন্ডুলকর তো তাই। নোংরা রাজনীতি বোল্ড করে দিল সচিনকে। যাঁকে অধিনায়ক বানিয়ে ছিলেন, সে-ই কিনা ক্রিকেট জীবনের প্রান্তে তাঁকে বাড়তি একটা ওয়ানডে সিরিজ খেলার অনুমতি দিল না! বরং তেন্ডুলকর ভি আর এস স্কিম বানিয়ে ফেলল। সব ঠিক। কিন্তু ক্ষেত্রটা কি সচিন নিজে প্রস্তুত করে দেননি? ওয়ানডে নিয়ে তাঁর নীতিটা যে ঠিক কী, কোনটায় খেলবেন, কোনটায় খেলবেন না, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল না। অনেকটা সৌরভের বাংলার হয়ে খেলার মতন। এর সঙ্গে গত দশ ওয়ানডে ইনিংসে ৩১৫ রান। বিপক্ষ তো সুযোগ নেবেই। অকৃত্রিম সচিনভক্ত মান্না দে পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর বাড়িতে এই ৯৩ বছর বয়সে উত্তেজিত, “ঠিকই তো করেছে ওরা। সচিনকে তো থামতে জানতে হবে। কে বলতে পারে সচিনের ক্যাপটিভ অডিয়েন্সের দেওয়ালে এমনই আরও ফাটল ধরেনি।” |
টাইমিং-এ গন্ডগোল |
|
|
কপিল দেব |
ভিভ রিচার্ডস |
|
|
ইয়ান বথাম |
ওয়াসিম আক্রম |
|
তুলনায় প্রতিভায় অনেক বিনম্র দ্রাবিড়। কিন্তু ঠিক সময় সরে গিয়েছেন। কুম্বলেও তাই। গ্রেগ চ্যাপেলের তো আবির্ভাবের মতো জীবনের শেষ টেস্টেও সেঞ্চুরি ছিল। গাওস্কর সবচেয়ে চমকপ্রদ। রাজ সিংহ নাটকীয় ভাবে দু’হাত ছড়িয়ে বলতেন, “একটা লোক জীবনের শেষ পাঁচ দিনের ম্যাচে বিদেশে সেঞ্চুরি। শেষ টেস্টে নারকীয় উইকেটে ৯৬। শেষ ওয়ানডে-র আগেরটায় দ্রুততম সেঞ্চুরি। এ তো অবসর নিয়েও নট আউট থাকল।”
অবসর নিয়েও নট আউট সরণিতে সমগোত্রীয় ইমরান খান। সেই কবে ঠিক করে ফেলেছিলেন, চৌত্রিশ বছর বয়সে রিটায়ার করবেন। নইলে ব্যাটসম্যান তাঁকে ফ্রন্টফুটে খেলতে শুরু করবে। সেটা মানতে পারবেন না। করেও ফেললেন। অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে দেশের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত বদলে আরও চার বছর টানলেন ক্রিকেটজীবনকে। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতে উঠে আবার শেষ। যেই বুঝলেন টিম আগের মতো সঙ্গে নেই, কেরিয়ারে ইতি টেনে দিলেন। এমসিজি মাঠে ফাইনালের পর ইমরানকে প্রকাশ্যে ব্যাট হাতে কেউ দেখেননি। প্রচার কমে গিয়েছিল। ক্যানসার হাসপাতালের জন্য টাকা তোলা কষ্টকর হয়েছিল। কিন্তু জনমানসে অপরাজিত অলরাউন্ডার থেকে গেলেন চিরজীবনের মতো। বোথাম-কপিলের অনেক ওপরে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও মধুরেণ সমাপয়েত ঘটেছে। জীবনের শেষ টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরি, জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচে ৮৫ খুব কম লোকের জীবনেই ঘটে। তাও কিনা পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু সৌরভকে যদি অবসর নিতে বাধ্য না করা হত, তা হলে কি তিনি নিজের জন্য মধুরেণ সমাপয়তের ব্যবস্থা করতে পারতেন? এর কোনও দিন জবাব পাওয়া যাবে না।
প্রতিভাবানদের এই সমস্যাটা কেন হয়? যারা এত ভাল বলের লেন্থ বিচার করতে পারে। ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা সবার আগে বুঝতে পারে। তারা নিজের বেলা কেন দিশেহারা হয়ে পড়ে? কেন ভুল সিদ্ধান্তের গলিতে ঢুকে পড়ে? অনেকের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, এদের নিজেকে মাপতে ভুল হয়ে যায়। যে স্কিল বা ট্যালেন্ট তাকে সারা জীবন সমৃদ্ধি দিয়েছে। এই সময় তার ওপর ভরসা রাখতে গিয়েই সে ডোবে। ভাবে না, যন্ত্রের যেমন ডেপ্রিসিয়েশন আছে, হিসেব-খাতায় যেমন প্রতি বছর তার জন্য টাকা বরাদ্দ থাকে। সে ভাবে বয়সের সঙ্গে স্কিলেরও ক্ষয় হয়। একটা বয়সের পর অ্যাদ্দিনকার ম্যাচ জেতানো স্কিলও যে বিশল্যকরণী হওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। সচিনের সমস্যটা ঠিক তাই। ট্যালেন্টের খনিতে এত কাল বসবাস করে বাস্তবের ছোট্ট ঘড়িটা হারিয়ে ফেলা। তুলনায় চূড়ান্ত মিডিওকার জানে, সে একটা পর্যায়ের পর খাটতে খাটতে উঠেছে। কাম্বলির ভাষায় সে এলিভেটর পায়নি। সিঁড়ি বেয়ে উঠেছে। সে জানে ফেরার সময় এলিভেটর পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার চেয়ে বরং বহুতলের ওপর থেকেই পেনশন প্ল্যানিং করে নেওয়া ভাল। আমার স্কিল তো আর আমার রক্ষাকর্তা হবে না। যতটা হবে আমার বাস্তবসম্মত বুদ্ধি আর বিবেচনা।
তেন্ডুলকরের আর এক রাউন্ডের অবসর অবশ্য এখনও বাকি থাকল। শুনছি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রান পেয়ে গেলে তিনি নাকি ২০১৪-য়ের দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলার কথা ভাবতে পারেন। শোনা ইস্তক দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আর এক প্রস্থ ঝুঁকি নেওয়ার কী দরকার?
আবার তো সেই শিরোনাম বের হবে, দেরি হয়ে গেল। কে চায় স্বয়ং ক্রিকেটদেবতাকে ভূত-প্রেতে নামিয়ে আনতে! |
ছবি: উৎপল সরকার |
|
|
|
|
|