|
|
|
|
উত্তরের ছয় স্কুলে জিতলেন বাম মনোভাবাপন্নরা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জিতে উত্তরবঙ্গে ছ’টি স্কুল দখলে রাখলেন বাম মনোভাবাপন্নরা। রবিবার শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে ১১টি স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ির কাছে হাকিমপাড়ার বালিকা বিদ্যাপীঠ নিজেদের দখলে রাখা ছাড়া শিলিগুড়ির অন্য স্কুলগুলিতে ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। দু’টি স্কুলের গণনা শেষ না হওয়া রাত পর্যন্ত ফল জানা যায়নি।
শহরের মহানন্দা বিদ্যামন্দির, মাস্টার প্রীতনাথ হাইস্কুলে সব ক’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। জগদীশ বিদ্যাপীঠেও পাঁচটি আসনে জিতেছে বামেরা। খড়িবাড়ির তারকনাথ সিন্দুরবেলা হাইস্কুলেও সব ক’টি আসনে জিতে নিজেদের দখলে রেখেছে বামফ্রন্ট। ফাঁসিদেওয়ার নজরুল শতবার্ষিকী স্কুলে চারটি আসনে জেতে বাম মনোভাবাপন্নরা। বাকি দু’টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। এখানে তৃণমূল আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছিল। আলিপুরদুয়ার জংশন জিতপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে ছ’টি আসনে জিতে ফের স্কুল পরিচালন সমিতি দখলে রাখে বাম মনোভাবাপন্নরা। শক্তিগড় হাইস্কুলে রাত পর্যন্ত সব কটি আসনেই এগিয়েছিল বাম মনোভাবাপন্নরা। হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যাপীঠে সব ক’টি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। রাজগঞ্জের কুকুরজান হাইস্কুলেও সব ক’টি আসনে জিতেছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। আলিপুরদুয়ারের সিধাবাড়ির ঠাকুর পঞ্চানন বিদ্যালয়ে কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীরা তিনটি করে আসন পায়। তৃণমূল কোনও আসন দখল করতে পারেনি। আমবাড়ি হাইস্কুলে অনেক রাত পর্যন্ত গণনা চলায় ফল জানা যায়নি।
এই ফলে খুশি সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় নেই। তার পরেও একের পর এক স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হচ্ছি। নতুন সরকার আসার পর থেকে শিক্ষায় যে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা সাধারণ মানুষ মেনে নেয়নি। এই ফলেই তা স্পষ্ট।” জলপাইগুড়ির কুকুরজান হাইস্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন মঞ্চ ছেড়ে চলে যায় সিপিএম। তাদের অভিযোগ, দুই দলীয় সদস্যকে মারধর করেছে তৃণমূল। এমনকী, জখম দু’জনকে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও হামলা চালায় তারা। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “যে সব স্কুলে বাম প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে সেখানে শিক্ষকরা ভোটের প্রচারে নেমে অভিভাবকদের প্রভাবিত করেছেন। যেখানে নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে সেখানে জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের প্রার্থীরা জয়ী হন।” কুকুরজান স্কুলে গণ্ডগোলের ঘটনায় রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর বর্মন দাবি করেন, ওই স্কুলে সব আসনে তাঁরা জিতেছেন। হার বুঝে সিপিএম মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে। শিলিগুড়ির পাঁচটি স্কুলের সব ক’টিতেই তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি লড়াই হয় বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষা গণতন্ত্রীকরণ সংস্থার। |
|
|
|
|
|