নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে বিরোধী ভূমিকায় গিয়ে আন্দোলনের পথে তারা ইতিমধ্যেই সক্রিয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশিই সংগঠনকে সাজিয়ে নিতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই আজ, সোমবার কলকাতায় বসছে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সভা। দলের সব সাংসদ ও বিধায়ককে সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এআইসিসি-র দুই প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ ও রামচন্দ্র কুন্তিয়ারও বৈঠকে থাকার কথা।
অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়িয়ে কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাজকর্মে জনমানসে যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তার পূর্ণ সুযোগ সদ্ব্যবহার করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য। আরও বেশি আন্দোলন কর্মসূচি গুছিয়ে নেওয়া এবং পঞ্চায়েত ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করার জন্য এ বারের বৈঠকের আয়োজন। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “জেলায় জেলায় আমাদের সভা-মিছিল, আন্দোলন চলছেই। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য দলীয় স্তরে আমাদের প্রস্তুতিও শুরু করতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের সব সদস্যকেই সোমবার বৈঠকে ডাকা হয়েছে।” পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পুরো মাত্রায় শুরু করার আগে জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক অবস্থার খতিয়ানও আজকের বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
জেলায় জেলায় কংগ্রেসের লাগাতার বিক্ষোভ, মিছিল-সভা অবশ্য অব্যাহত। দলের হাইকম্যান্ডের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে প্রাক্তন জোটসঙ্গী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ছাড় দিতে রাজি নন প্রদেশ নেতৃত্ব। শনিবারই উত্তর শহরতলিতে কংগ্রেসের পদযাত্রা হয়েছিল বরানগর থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত। রবিবার প্রদীপ প্রসাদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিল হয়েছে হাজরা মোড় থেকে ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তি পর্যন্ত। রাজ্যে খুচরো ব্যবসায় এফডিআই চালু, অবিলম্বে জমি-নীতি ঘোষণা, বছরে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারে রাজ্য সরকারের ভর্তুকি, ত্রিফলা কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত, ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কংগ্রেসের উপরে হামলা বন্ধ করারাজ্য সরকারের কাছে এই ছ’দফা দাবিতে ছিল এ দিনের মিছিল। অদূর ভবিষ্যতে এমন কর্মসূচির তীব্রতা আরও বাড়বে বলেই কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য। |