বাবাকে বলেও লাভ হয়নি। তাই নিজের বিয়ে আটকাতে ৭০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে বিধায়কের কাছে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার আর্জি জানাল এক নাবালিকা। কেন্দা থানার কোনাপাড়া গ্রামের ১৬ বছরের এক কিশোরী শনিবার কাশীপুরে বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার বাড়িতে গিয়ে ওই অনুরোধ করেন। তার আর্জি, “আমি সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। আরও পড়াশোনা করে স্বাবলম্বী হতে চাই। কিন্তু বাবা এখনই আমার বিয়ে ঠিক করেছে।” বিধায়ককে সে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তাকে টাটানগর থেকে পাত্র দেখে গিয়েছে। তাঁদের পছন্দও হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু তার বাবাকে বার বার বলেও বিয়ে বন্ধ করানো যায়নি। এর পর এক আত্মীয়ের কাছে সে কাশীপুরের বিধায়কের কথা শোনে। বিধায়ক কিছু করতে পারেন, এই আশাতেই তাঁর কাছে সে আসে। বিধায়ক তার বাবাকে ফোন করে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানান। বিধায়ক বলেন, “দারিদ্রের কারণে পাত্র হাত ছাড়া করতে চাইছিলেন না ওর বাবা। মেয়েটির পড়াশোনার ব্যাপারে প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে বলে আমি জানানোয় তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।” ওই কিশোরীর বাবা বলেন, “গ্রামে দর্জির দোকান থেকে খুবই সামান্য আয় হয়। তবে সবাই মেয়ের বিয়ে দিতে বারণ করছেন। আমি তা মেনে নিচ্ছি। মেয়ে তার ইচ্ছামতোই পড়াশোনা করুক।”
|
মুম্বই পুলিশ ও ‘চাইল্ড লাইন’-এর সহায়তায় বছর দুয়েক পরে বাড়ি ফিরল এক কিশোর। পুরুলিয়া চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে হঠাৎই এক দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় পুরুলিয়া মফস্সল থানার চেপড়া গ্রামের রমজান শেখ। বাবা আমিন শেখে গ্রামেই দর্জি দোকান করে সামান্য কিছু আয় করেন। লেখাপড়া নিয়ে ছেলেকে বাবা এক দিন বকাবকি করেন। তার পরেই রমজান বাড়ি ছাড়ে। পুরুলিয়া থেকে ট্রেনে মুম্বই পৌঁছয় সে। মুম্বই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় রমজান। পুলিশ জিজ্ঞেস করলেও কোথায় বাড়ি, তা জানায়নি রমজান। পুলিশকর্মীদের হস্তক্ষেপে তাকে মুম্বইয়ের একটি হোমে পাঠানো হয়। কয়েক দিন আগে সে হোম কর্তৃপক্ষকে নিজের বাড়ির ঠিকানা বলে। মুম্বইয় চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চেপড়া গ্রামে রমজানের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে রমজানের ছবি দেখানো হলে আমিন শেখ ছেলেকে চিনতে পারেন। শনিবার মুম্বই পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। রমজান জানিয়েছে, সে আর এ ভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে না। বাবা বকলেও না।
|
সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে আন্দোলনে নামতে চায় সিপিএম। বাঁকুড়া জেলা কৃষক সভার সম্মেলন শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র। রবিবার গঙ্গাজলঘাটিতে দু’দিনের সম্মেলন শেষ হয়। অমিয়বাবুর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার দাবি করলেও, সমবায় বা ধানকলগুলি চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে না। তাই আমরা এ নিয়ে আন্দোলনে নামব।” সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে শনিবার দলের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলীয় নেতা কর্মীদের মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকার পরিবর্তনের পরে গত দেড় বছরে মানুষ যে কিছুই পায়নি তা বোঝানোর কথা বলেন। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকসভার জেলা সম্পাদক অজিত পতি ও সভাপতি নকুল মাহাতো নিজেদের পদেই বহাল রয়েছেন। তবে সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯৩ থেকে কমিয়ে ৮৯ করা হয়েছে।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সিপিএম নেতার। মৃতের নাম সন্তোষকুমার মাহাতো (৫০)। তিনি হুড়ার দলদলি লোকাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি পালগাঁ গ্রামে। শুক্রবার দুপুরে তিনি মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি বাস হুড়া-কাশীপুর রাস্তায়, হুড়া নিমতলা মোড়ের অদূরে তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সেখানেই মারা যান সন্তোষবাবু।
|
গণিতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল পুরুলিয়া জগন্নাথ কিশোর কলেজ। শনিবার ওই সভা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ শান্তনু চৌধুরী বলেন, “গণিতজ্ঞ রামানুজনের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে এই বছরটি গণিতবর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। তাই এই আলোচনা চক্রের আয়োজন।” জেলার বিভিন্ন কলেজের গণিতের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা সভায় যোগ দিয়েছিলেন।
|
দিল্লিতে বাসের মধ্যে গণধর্ষণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতীকী পথ অবরোধ করল এসইউসি। রবিবার দুপুরে আড়শা মোড়ে ওই অবরোধ হয়। দলের জেলা কমিটির সদস্য রঙ্গলাল কুমার জনান, অবরোধে শতাধিক দলীয় কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ জন। |
ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগর থেকে শনিবার এক জনকে ধরে আনল ইন্দাস থানার পুলিশ। বাবলু সর্দার ইন্দাসে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। ধৃতের দশ দিন পুলিশ হেফাজত হয়েছে। |