সংস্কৃতি যেখানে যেমন... |
|
বটগাছ ও চালাঘর |
|
এই ঘরেই ক্লাস করতেন রাষ্ট্রপতি। সেই ঘরের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন
মিহির চৌধুরী। |
খবরের কাগজে অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন একটি প্রাচীন বটগাছ, তার পাশে লম্বা একটি টিনের চালাঘর। মিশ্র মাধ্যমে তৈরি ওই ত্রিমাত্রিক মডেলটি আসলে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের পঞ্চাশের দশকের একটি ক্লাসঘরের প্রতিকৃতি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে স্মারক হিসাবে ওই মডেলটি তুলে দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই ঘরেই তো একদিন ক্লাস করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়!
কিন্তু ওই মডেলটির শিল্পী কে?
খোঁজ নিতেই জানা গেল যাঁর তৈরি শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি, তিনি রাজ্যের পরিচিত শিল্পী মিহির চৌধুরী। বীরভূমের এই কৃতী সন্তানের
|
মিহির চৌধুরী |
বাড়ি সিউড়িতে। অনেক ভেবে পুরনো ছাত্রের স্মৃতি বিজড়িত ক্লাসঘরের একটি মডেলকেই উপহার হিসাবে দেওয়ার কথা ঠিক করেছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। মিহিরবাবুকেই তাঁরা তার দায়িত্ব দেন। আর সেই দায়িত্ব যে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গেই পালন করেছেন তা কিন্তু মানছেন সকলেই।
মিহিরবাবু দীর্ঘদিন ধরে শিল্পচর্চার সঙ্গে যুক্ত। সে রকম কোনও প্রথাগত শিক্ষা না নিলেও বিভিন্ন শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে দেখেই শিখেছেন তিনি। বিভিন্ন বই পড়েও জেনেছেন অনেক কিছু। আর সেই সব শিক্ষা নিয়েই একজন দক্ষ শিল্পী হয়ে উঠেছেন প্রকৃতিকেই নিজের ‘গুরু’ বলে মানা মিহির চৌধুরি। জলরঙ, তেলরঙ, মিশ্র মাধ্যম, ভাস্কর্য নির্মাণ শিল্পের প্রায় সব শাখাতেই তাঁর অবাধ বিচরণ। বীরভূমের বহু বিশিষ্ট জনের প্রতিকৃতি তিনি এঁকেছেন। সেই সব প্রতিকৃতি এখন শোভা পায় বহু বাড়িতেই। তাঁর আঁকা প্রতিকৃতির তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিল্পপতি নিতাইপদ ঘোষ, লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নামও। মিহিরবাবু জানালেন, নিজের প্রতিকৃতি দেখে সোমনাথবাবু ছলছল চোখে তাঁকে বলেছিলেন, “এত দিনে তুমি আমাকে মানুষ করে দিলে।”
সোমনাথবাবুর ওই মন্তব্যই তাঁর জীবনের বড় পুরস্কার বলেই মনে করেন শিল্পী মিহির চৌধুরি। |
ছবি তুলেছেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
পালাকার |
তাঁকে ‘আবিষ্কার’ করেছিলেন স্বয়ং প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শান্তিদেব ঘোষ। লোকসংস্কৃতি গবেষণায় বিশেষ আগ্রহ ছিল শান্তিদেববাবুর। বীরভূমের মেলায়
|
সনৎ মুখোপাধ্যায়। |
মেলায় ঘুরে লোকশিল্পীদের খুঁজে বেড়াতেন শান্তিনিকেতনের এই প্রবীণ আশ্রমিক। তাঁরই চোখে পড়েছিলেন আমোদপুরের ভ্রমরকোল গ্রামের সনৎ মুখোপাধ্যায়। সনৎবাবুর ‘মনসামঙ্গল’ পালাগান শুনে এক রকম মুগ্ধ হয়েই পৌষমেলায় তাঁকে গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন শান্তিদেববাবু। সেই থেকে টানা সাতাশ বছর ধরে পৌষ মেলায় মনসামঙ্গল পালা করে আসছেন বীরভূমের এই লোকশিল্পী।
সনৎবাবু বলেন, “যুবক বয়সে বিভিন্ন রকমের কাজ করে বেড়াতাম। একবার একজনের কাছ থেকে মনসামঙ্গলের পালা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তার পর থেকে আমি নিজে থেকেই তার চর্চা শুরু করি।” ইতিমধ্যেই মনসামঙ্গল সম্পর্কিত বহু গ্রন্থ পড়ে এক থেকে তিন ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের পালাগান তৈরি করেছেন তিনি। মনসামঙ্গলেরই প্রায় ২২ রকমের পালা তৈরি করেছেন সনৎবাবু। বহু জায়গায় তার উপস্থাপনাও করেছেন। বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতির ওই ধারাটিকে ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এই শিল্পী।
|
আলোর বেণু |
রাঢ় বাংলার একমাত্র মহিলাদের লিটল ম্যাগাজিন। দুবরাজপুর থেকে প্রকাশিত সেই ‘আলোর বেণু’র ষষ্ঠ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। রিনা কবিরাজ সম্পাদিত ওই পত্রিকার নতুন সংখ্যায় প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও বিপ্লবী প্রভাবতী দেবীকে নিয়ে দু’টি মনোজ্ঞ লেখা ছাপা হয়েছে। আছে স্বামী বিবেকানন্দ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখকে নিয়েও প্রবন্ধ। মোট পাঁচটি প্রবন্ধ, পাঁচটি গল্প ও তেরোটি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে এ বারের সংখ্যা।
|
বার্ষিক অনুষ্ঠান |
|
রামপুরহাট রক্তকরবী মঞ্চে গান্ধর্বীর অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র। |
রামপুরহাটের গান্ধর্বী সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল স্থানীয় রক্তকরবী পুরমঞ্চে। গত শনিবার হওয়া অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
|
পুরুলিয়ায় স্কুলে অনুষ্ঠান |
|
স্কুলের অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র। |
পুরুলিয়া সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ১৪তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হল সম্প্রতি। বিভিন্ন রাজ্যের নৃত্য পরিবেশন করে ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি।
|
স্মরণে চূড়ামণি |
আবৃত্তিকার চূড়ামণি ঘোষের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হল আদ্রায়। শুক্রবার আদ্রা রেল শহরের বাঙালি সমিতির মাঠে ওই স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আবৃত্তি পরিষদ ও সন্ধ্যা বাসর। উদ্যোক্তাদের তরফে অমল ত্রিবেদী জানান, চূড়ামণিবাবু আদ্রায় আবৃত্তি পরিষদ গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর জীবন ও রচনা নিয়ে আলোচনা করেন আদ্রার সাহিত্যিক বিমল ভট্টাচার্য, দেবাশিস সরখেল, শীলা সরকার। ওই অনুষ্ঠানে গান, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। সম্প্রতি দুর্ঘটনায় চূড়ামণিবাবুর মত্যু হয়।
|
খাতড়ায় পত্রিকা প্রকাশ |
‘সাবশেষ’ নামের একটি পত্রিকার প্রকাশ উপলক্ষে শনিবার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। ছিল গানের অনুষ্ঠান। ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রতিপালনে ক্ষুদ্র পত্রপত্রিকার ভূমিকা’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভাও ছিল। বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
|
বাঁকুড়ায় চার্চে অনুষ্ঠানে |
দুর্গাপুর ডায়োসেশন মহিলা সমিতির উদ্যোগে শনিবার বাঁকুড়া সেন্ট্রাল চার্চ প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া ইন্টারফেস কমিউনিটি স্টাডি সেন্টার ও দুর্গাপুর চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের ছেলেমেয়েরা যোগ দেয়। নাচ, গান, কবিতা পাঠ হয়।
|
আদ্রায় তথ্যচিত্র |
তথ্যচিত্র প্রদর্শনী-সহ একটি আলোচনাসভা হল আদ্রায়। বিষয় ছিল- ‘পৃথিবী কি সত্যিই ধ্বংস হবে’। আদ্রা সায়েন্স অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারের উদ্যোগে শুক্রবার আদ্রার বাঙালি সমিতির মাঠে ওই সভা হয়। স্থানীয় স্কুলগুলির শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক যোগ দিয়েছিলেন। পৃথিবী ধ্বংসের নামে কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে বলে সভায় অনেকে জানান। পুরুলিয়া জেলায় ডাইনি অপবাদে অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি ও লাগাতার প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংগঠন।
|
সপ্তমে সপ্তর্ষি |
|
সপ্তর্ষির নাটক। —নিজস্ব চিত্র। |
নাট্য সংস্থা ‘সপ্তর্ষি’-র সপ্তম বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল পুরুলিয়ার জয়পুরে। ‘বিবেকের বিবেকানন্দ’ নামের একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এ ছাড়াও পরিবেশিত হয় ভরতনাট্যম,কত্থক ও ছৌনৃত্য। |
|