|
|
|
|
ফব-র সম্মেলনে হাতাহাতি দু’পক্ষের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জেলা সম্মেলন থেকে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটিই গঠন হল না ফরওয়ার্ড ব্লকের। দু’দিনের সম্মেলন শেষে রবিবার জেলা কমিটি গঠন হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্যদের উপস্থিতিতে শুরু হয় বাদানুবাদ, ক্রমে হাতাহাতি বাধে। সম্মেলনস্থল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি দেখে জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়, সম্পাদক, সভাপতি -সহ ৪টি পদে কারা বসবেন, তা নিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হবে। প্রয়োজনে সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের রাজ্য দফতরে ডেকে পাঠানো হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় দলের জেলা নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফব -র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম আনসারি বলেন, “উপস্থিত সবাই সম্মত ছিলেন না বলেই ৪টি পদে কাউকে নির্বাচিত করা হয়নি। এ নিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হবে। সম্মেলন থেকে জেলা কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের সব ব্লকে ফব -র সংগঠন নেই। ২৯টি ব্লকের মধ্যে ১৯টিতে দলীয় সংগঠন রয়েছে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। তবে জেলা সম্মেলন শুরুর আগে এই ১৯টি ব্লকেও লোকাল কমিটির সম্মেলন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ১৯টির মধ্যে ১৬টিতে সম্মেলন হয়েছে। তবে জেলা সম্মেলনে যে ভাবে দ্বন্দ্ব প্রকট হল, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠন ধরে রাখা যাবে কি না, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শনিবার থেকে ডেবরার বালিচকে শুরু হয়েছিল ফব -র সপ্তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। রবিবার ছিল শেষ দিন। এসেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য নিশিকান্ত মেহেতা এবং হাফিজ আলম আনসারি। তাঁদের সামনেই বাধে হাতাহাতি। ২০০৯ সালে ষষ্ঠ জেলা সম্মেলন থেকে দলের জেলা সম্পাদক হয়েছিলেন সুকুমারবাবু। জেলা সভাপতি অশোক ভট্টাচার্য। পরে দু’জনের বিরোধ বাধে। জেলা সম্মেলনে সেই বিরোধেরই ছায়া পড়েছে। দুই নেতার অনুগামীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন। কয়েক মাস আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে জেলার পর্যবেক্ষক নিশিকান্ত মেহেতাকে ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সম্মেলনের শুরুতে নিশিকান্তবাবুই সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন। রবিবার দুপুরে গঠিত হয় দলের জেলা কাউন্সিল গঠন হয়। |
|
|
|
|
|