অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা একবার ভাঙলেই সমস্যায় পড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। আশঙ্কাটা ছিল লাল-হলুদ কোচ মর্গ্যানের। প্রয়াগ ইউনাইটেডের পর এ বার পুণেতে মুম্বই এফ সি’র কাছে ১-২ গোলে পরাস্ত ইস্টবেঙ্গল।
মর্গ্যানের ৩২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা ভেঙে দিয়েছিলেন এরিয়ানের কোচ রঘু নন্দী। তার পরের ম্যাচেই আই লিগে ছন্দপতন লাল-হলুদের। তার পরে কলকাতা লিগে রেলওয়ে এফসি ম্যাচে জয়ে ফিরলেও মর্গ্যান ব্রিগ্রেডের মধ্যে সেই পুরোনো বোঝাপড়াটাই যেন উধাও। মাঝমাঠ সুর-তালহীন। মুম্বইয়ের দলের বিরুদ্ধেও প্রথম পাঁচ-ছয় মিনিটের পর থেকে হারিয়ে গেলেন মেহতাবরা। ম্যাচের শুরু থেকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে ডুবতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ওপারার না থাকাটাও যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার কাজ করেছে।
ফুটবলারদের এ দিনের পারফরম্যান্সে রীতিমতো বিরক্ত ব্রিটিশ কোচ। ম্যাচের পর মর্গ্যান বলে দিলেন, “ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাইনি। আমার দল আজ জঘন্য খেলেছে।” কোচের বিরক্তিটা স্বাভাবিক। কারণ পুরো ম্যাচে মুম্বই এফসি যে ভাবে সুযোগের অর্ধেক সুযোগেরও সদ্ব্যবহার করেছে, ইস্টবেঙ্গলের সেই তাগিদটুকুও এ দিন চোখে পড়েনি। প্রথমার্ধে বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন চিডিরা। কিন্তু একটাও কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগে পুণের মাঠের বাতিস্তম্ভের বেশ কিছু আলো নিভে যায়। যদিও এর জন্য খেলা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। ইস্টবেঙ্গল কোনও অভিযোগও করেনি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মুম্বই এফসি। ৬৪ মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে গ্যাব্রিয়েলের শটে এগিয়ে যায় খালিদ জামিলের দল। গোল খাওয়ার পর আরও গুটিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে সঞ্জু, রবিন, লালরিনডিকাকে নামিয়েও কোন লাভ হয়নি। আসলে খালিদ জামিল লাল-হলুদের মাঝমাঠটা ঘেঁটে দিয়ে চিডিদের উদ্দেশ্যে বলের সাপ্লাই বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। এবং সে কাজে সফলও মুম্বই এফসি কোচ। ইনজুরি টাইমে ইয়াকুবুর গোলে লাল-হলুদের ড্র করার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। তাই ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে চিডি ব্যবধান কমালেও সেটা সান্ত্বনা গোলই হয়ে থাকল ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
আজকের হারের পর লিগ টেবলে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চারে নেমে গেল ইস্টবেঙ্গল। |
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, নওবা (লালরিনডিকা), রাজু, অর্ণব, সৌমিক, ইসফাক (সঞ্জু), মেহতাব, পেন, খাবড়া, চিডি, মননদীপ (রবিন)। |