নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্প গড়ার দাবিতে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস। শনিবার খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় এই দাবিতে মিছিল হয়। তাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পা মেলান জমিদাতা কৃষক পরিবারের সদস্যরাও। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “জমি নিয়ে ফেলে রাখা চলবে না। যে জমি শিল্পের জন্য অধিগৃহীত হয়েছে, সেখানে শিল্পই করতে হবে। না হলে জমি চাষিদের ফিরিয়ে দিতে হবে।” এই দাবির কথা জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকের কাছে জানিয়েছেন স্বপনবাবুরা। এক মাসের মধ্যে কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কংগ্রেস। |
অধিগৃহীত জমিতে শিল্পের দাবি তুলে খড়্গপুরের ওই এলাকায় আগেই সরব হয়েছে ‘জমিদাতা কৃষক সংগঠন’। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে লাভবান হতে চাইছে কংগ্রেস। স্বপনবাবু অবশ্য এই অঙ্ক মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। বন্ধ্যা জমি কাঁদে।হয় জমিতে চাষ হোক। না হলে যে জমি শিল্পের জন্য অধিগৃহীত হয়েছে, সেখানে শিল্প গড়ে উঠুক।”
বাম আমলেই খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় গড়ে উঠেছিল বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম এখানে জমি অধিগ্রহণ করেছিল। পরে অধিগৃহীত জমি বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়। এই শিল্পতালুকে ছোট-বড় কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। তবে অধিগৃহীত জমির অধিকাংশই পড়ে রয়েছে। অথচ জমি অধিগ্রহণের আগে জমিদাতা পরিবারের একজনকে কারখানায় চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার চকগণেশ, মালিপুর, বড়াডিহা প্রভৃতি এলাকার প্রায় ১০৬ একর জমিতে একটি কারখানা গড়ে ওঠার কথা। শিলান্যাসও হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, কাজ এগোচ্ছে না। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা জমি পড়েই রয়েছে। ক্ষুব্ধ জমিদাতারাও। শনিবার মিছিলে সামিল হয়েছিলেন কার্তিক দাস। তাঁর পরিবারের প্রায় দেড় একর জমি শিল্পের জন্য নেওয়া হয়েছে। কার্তিক বলেন, “স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছি। তখন বলা হয়েছিল, শিল্প হলে জমিদাতা পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। আশপাশের গ্রামের উন্নয়ন হবে। সে সব কিছুই হল না।” কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির স্থানীয় নেতা মানিক মাইতির কথায়, “আমরা চাই, অধিগৃহীত জমিতে দ্রুত শিল্প গড়ে তোলা হোক।” |