জমে উঠেছে ত্রয়োদশ চন্দননগর বইমেলা। রবিবার কড়া শীতের মধ্যেও হাজির ছিলেন বই ভালবাসেন এমন বেশ কয়েক হাজার লোক। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চন্দননগর কুঠির মাঠে খোলা থাকছে এই মেলা। শুক্রবার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য শুভঙ্কর চক্রবর্তী, বিশিষ্ট অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ও চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর পুরসভার সহযোগিতায় ও ইস্পাত সঙ্ঘের উদ্যোগে আয়োজিত মেলার এ বারের থিম ‘আমার শহর চন্দননগর’। চন্দননগরের প্রাচীন ইতিহাসকে সামনে রেখেই সেজে উঠেছে বইমেলা প্রাঙ্গণ। ৭০টি স্টলে বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থার অজস্র বাংলা ও ইংরাজি বই কেনা ও নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রন্থপ্রেমীরা। |
প্রতিবারের মতো এ বারেও ‘যে ধ্রুবতারা’ শীর্ষক ধারাবাহিক স্থানীয় ইতিহাসচর্চায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হল বিপ্লবী উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর উপরে ও চন্দননগর বিষয়ে আরও দু’টি প্রকাশ করা হয় উদ্বোধনের দিন। বইমেলা কমিটির সম্পাদক সুশান্ত সিংহ বলেন, “আমাদের শহরে অনেক মেলাই হয়। কিন্তু বইমেলার অভাব ছিল। আমরা সেই অভাব মেটানোর চেষ্টা করছি। শুধু নতুন বই নয়, এই বইমেলায় আছে পুরনো বইয়ের স্টলও। দশ দিনের এই মেলায় বই কেনাবেচার বাইরেও থাকছে আলোচনা সভা, গান, শ্রুতিনাটক, কবিগান। বরাবরের মত এ বারও উদ্বোধনের দিন থেকেই এই বইমেলায় মানুষের উপস্থিতি বেশ ভাল। বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু, হুগলি-চুঁচুড়া, আদিসপ্তগ্রাম প্রভৃতি এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন এই বইমেলায়। শহরের পুরনো ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়েই ক্রমশ নতুন হচ্ছে চন্দননগর বইমেলা। |