|
|
|
|
অসমে গুপ্তহত্যার অভিযোগ উঠল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠল গুপ্তহত্যার অভিযোগ। শুক্রবার বাক্সার নয়নপুর থেকে তিন যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। আজ এক যুবক সেনার খপ্পর থেকে পালিয়ে এসে জানান, অন্য দুই যুবককে জওয়ানরা অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। ওই যুবকের কথামতো তল্লাশি চালিয়ে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এর পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন
স্থানীয় অধিবাসীরা।
রাজকুমার রাভা নামে ওই যুবকের বক্তব্য, জওয়ানরা মুসলপুর থানার নয়নপুর থেকে তাঁকে এবং রাজীব বসুমাতারি ও কুন্দন বসুমাতারি নামে আরও দু’জনকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে এক অচেনা স্থানে নিয়ে যায়। শুরু হয় গোপন অস্ত্রের সন্ধানে জেরা। তাঁরা অস্ত্রের সন্ধান জানেন না বলায় শুরু হয় মারধর। সেখানেই মারা যায় কুন্দন। রাজকুমারের দাবি, মৃতদেহে গুলি চালিয়ে জঙ্গলে ফেলে আসা হয়েছিল। বাকি দুইজনকে চোখ-হাত বেঁধে তামুলপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর, দলংপারের জঙ্গলে চলে আর এক দফা মারধর। মারের চোটে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন রাজীব ও রাজকুমার। দুইজনেই মারা গিয়েছেন ভেবে সেখানেই দেহ রেখে চলে যায় সেনাবাহিনী। কিন্তু, রাজীব মারা গেলেও রাজকুমার গুরুতর জখম অবস্থায় বেঁচে যান।
রাজকুমার জানান, কোনওমতে রাজীবের মৃতদেহের পাশ থেকে উঠে তিনি পালিয়ে আসেন মুসলপুরে। চলে যান যুব বিপিএফ দফতরে। খুলে জানান সব কথা। তাঁর কাছ থেকে জেনে দলংপার জঙ্গল থেকে গ্রামবাসীরা রাজীবের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন। যুব বিপিএফ সদস্য কুন্দনের দেহের সন্ধান চলছে। ঘটনার পরে স্থানীয় মানুষ ও বড়ো সংগঠনগুলি সেনা অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাক্সার জেলাশাসক বাবুলচন্দ্র বরবরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বা অন্য কোনও ঊর্ধ্বতন অফিসার ফোন ধরেননি। এর আগে, ১৯ নভেম্বর, কোকরাঝাড়ের টাকামপুরে দুই এনডিএফবি জঙ্গিকে গুলির লড়াইয়ে হত্যা করার দাবি জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেক্ষেত্রেও সংগ্রামপন্থী এনডিএফবির সাধারণ সম্পাদক বি সাওরাইগৌড়া জানিয়েছিলেন, দুই নিরস্ত্র সদস্য বি গোগুয়াম ও এম উরাইলাংকে বেশ কিছুদিন আগেই সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছিল। পরে, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। |
|
|
|
|
|