সিপিএমের সন্ত্রাসেই এর আগে তাঁরা রায়না-খণ্ডঘোষে ভোটে জিততে পারেননি, সগড়াই ফুটবল মাঠের সভায় এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। শুক্রবার খণ্ডঘোষের এই মাঠেই সভা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের। সিপিএমের লোকজনকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের সভায় অবশ্য বাস-লরিতে চেপে মানুষ এসেছিলেন। তবে অনেকে যে বাইরের এলাকা থেকে এসেছেন, তা বোঝা গিয়েছে সভার আশপাশে মেমারি, গলসি, পূর্বস্থলী, ভাতার, নাদনঘাট ইত্যাদি জায়গার ব্যানার লাগানো বাস দেখে। |
সভায় মুকুলবাবু উন্নয়নের কাজের পরিসংখ্যান দেখে পঞ্চায়েতে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য সরকার যে উন্নয়ন করেছে, তার সঙ্গে বিগত ৩৪ বছরের সরকারের কাজের তুলনা করুন। তার পরে ভোট দিন।” মুকুলবাবুর দাবি, “আগের আমলে একশো দিনের প্রকল্পে রাজ্যের মানুষ গড়ে ১৭ দিন কাজ পেয়েছিলেন। আর এখন শুধু বর্ধমানেই ৫৫ দিন কাজ পেয়েছেন মানুষ। এটা সারা দেশে একটা রেকর্ড।”
মুকুলবাবুর অভিযোগ, “বিধানসভা ভোটে আমরা জেলার ২৫টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জিতেছিলাম। তার আগে লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী ৫৯ হাজার ভোটে হারেন। তার মধ্যে শুধু রায়নায় তিনি ৪০ হাজার ভোটে পিছিয়েছিলেন। এই সব এলাকায় কোথাও আমরা এজেন্ট বসাতে পারিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচন ছাড়াই জিতত এসএফআই।” সভায় ছিলেন তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ, বনমালি হাজরা, অলোক দাস প্রমুখ। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ মানেনি। তাদের পাল্টা দাবি, বিধানসভা ভোটে রায়না ও খণ্ডঘোষে প্রায় একশোটি করে বুথে তারা এজেন্ট দিতে পারেনি। তা সত্ত্বেও সেখানে সিপিএম প্রাথীরাই জিতেছেন। |