সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের মাঠে হাজির হয়েছে তৃণমূলের পতাকা লাগানো প্রচুর গাড়ি। রয়েছে প্রচুর পুলিশ। গোলমাল বাড়লে র্যাফও নামাতে হয়। দুপুর ১টা নাগাদ দেখা যায়, এক অভিভাবক চিৎকার করতে করতে স্কুলের গেটের সামনে দিয়ে বেরিয়ে আসছেন। অনুপ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, “ভোট দিতে পারলাম না। কয়েক জন বহিরাগত যুবক স্কুলে ঢুকতেই দিল না।” বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এডিসিপি (সদর) সুরেশ কুমার প্রথম থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর অবশ্য দাবি, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটেছে। রাতে ফল বেরোয়। ছ’টি আসনেই জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
সিপিএমের দাবি, তারা অশান্তি এড়াতে দলীয় সদস্য-সমর্থকদের এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়। দলের আসানসোল জোনাল কমিটির সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূল অনেক বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে প্রচুর ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। ব্যালট বাক্সও তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। আমরা বাধা দেওয়ায় তা পারেনি।” ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে সিপিএমের প্রায় পাঁচশো সদস্য-সমর্থক আসানসোল দক্ষিণ থানায় গিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ওই স্কুলের ভোট বাতিল করে ফের নির্বাচন করতে হবে।
এ দিন ভোটের সময়ে আগাগোড়া স্কুলের মাঠে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর পাল্টা দাবি, “সিপিএম মনগড়া কথা বলছে। আমরা কোনও রকম ছাপ্পা ভোট দিইনি। অভিভাবকেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ভোট দিয়েছেন। হার নিশ্চিত জেনেই এ সব বলছেন সিপিএম নেতারা।” |