সামাল দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, কবুল করছে কংগ্রেসই
মর আবদুল্লার আশঙ্কাই বোধহয় সত্যি হল!
কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখ্যমন্ত্রী আজ টুইটারে লিখেছেন, “২০১০ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় ধর্ষণের পরে যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন মুখে কুলুপ এঁটে থেকে ভুল করেছিলাম।” কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, “কাঁদানে গ্যাস চলার পরে যুব সমাজের সঙ্গে আলোচনার পথটা বোধহয় বন্ধই হয়ে গিয়েছে।”
মোমবাতি মিছিল দিয়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ আন্দোলন দিনের শেষে যে ভাবে জন-অসন্তোষের আকার নিয়েছে, তাতে মনমোহন সরকারের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অনেক আগেই আলোচনায় বসা দরকার ছিল। বিজয় চকে আসা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর। এমনকী, রাহুলও যদি আসতেন, তা হলেও উত্তেজনার আগুন অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যেত বলে কংগ্রেস নেতাদের একটা বড় অংশের মত।

নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে রাইসিনায় পৌঁছনোর চেষ্টা জনসমুদ্রের।
এই রাজনৈতিক উদ্যোগের বদলে কী করল সরকার?
আন্দোলনকারীরা যখন রাইসিনা হিলসের অতি সুরক্ষিত চত্বরের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে, তখন তার টনক নড়ল। এই এলাকায় শুধু রাষ্ট্রপতি ভবন নয়, সাউথ ব্লকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দফতর। নর্থ ব্লকে অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। কার্যত আতঙ্কিত পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চালালো বিক্ষোভকারীদের উপর। চলল টিয়ার গ্যাস, জলকামান। আর তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল বলে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মতোই প্রশাসনের অনেক কর্তার মত।
সরকারের এই কোণঠাসা অবস্থার সুযোগ নিতে আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভানেত্রী কেন চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম-বিজেপি। সিপিআই নেতা ডি রাজা ব্যঙ্গের সুরে বলেছেন, “এফডিআই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি কথা বলতে পারেন, তা হলে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা নিয়ে কথা বলার সময় পান না কেন?” আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কেন কথা বলা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। যার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে দুর্বল গলায় বলেছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার যে একেবারেই আলোচনা করেনি, তা নয়। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি।
ধর্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে ইন্ধন দিতে কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে বিজেপি। দলীয় পতাকা হাতে তারা কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভে সামিল করেনি ঠিকই। কিন্তু পিছন থেকে যা-যা করা দরকার করেছে। বিজয় চকে পুলিশ লাঠি চালানোর পরেই প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ফোন করেন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজও। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। পরে টুইট করেন: ধর্ষণে অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, এটা সুষমার মোক্ষম চাল। ধর্ষণে ফাঁসি হওয়া উচিত কি না, এটা অনেক বড় বিতর্ক। সরকারের কারও পক্ষে এটা নিয়ে মুখ খোলাও সম্ভব নয়। তা হলে সংসদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ উঠবে। কিন্তু ইন্ডিয়া গেট থেকে শুরু করে বিজয় চকে ১৮ থেকে ২৮ বছরের যে তরুণ-তরুণীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা এখন সাংবিধানিক যুক্তি শুনতে নারাজ। তাঁরা অপরাধীদের ফাঁসিই চান। সুষমা কৌশলে তাঁদের মন রাখলেন।
এ হেন পরিস্থিতিতেও কিন্তু সামনে আসেননি মনমোহন বা সনিয়া। সরকার এগিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দেকে। ফোনে মনমোহনের সঙ্গে কথা বলেন সনিয়া। নির্দেশ দেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। দুপুরের পর শিন্দেকে ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন মনমোহন। এর পর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিন্দে।

পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার তরুণীও।
বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানান। আশ্বাস দেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে মহিলাদের উপর বিরলতম যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে শাস্তি আরও কঠোর করবে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কঠোর শাস্তি বলতে কি ফাঁসি? শিন্দে সরাসরি কোনও জবাব দেননি। বলেন, গোটা বিষয়টা জটিল আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যে-হেতু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তাই তা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
শিন্দে আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। তা ছাড়া, ধর্ষণের ঘটনার দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন যে পুলিশ কর্মীরা, তাঁদের সাসপেন্ড করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালই অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত এবং পাকড়াও করা গিয়েছে বলে পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ শর্মা। সেই দাবির জেরে জনমানসে যে মোটেই ভাল প্রতিক্রিয়া হয়নি, সেটা আজ বিলক্ষণ বুঝেছে সরকার। তাই পাঁচ পুলিশকে সাসপেন্ড করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু তাতেও কি শান্তি ফিরবে?
রাজনীতির কারবারিরা বিশেষ আশা দেখছেন না। তাঁদের অনেকেরই মতে, সাংবাদিক বৈঠকে শিন্দে বা তাঁর প্রতিমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি এমন কিছু বলতে পারেননি, যাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বস্তুত, এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো যথেষ্ট ওজনদার নেতা তাঁরা কি না, সেই প্রশ্ন থাকছেই। তার উপর আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ আজ বলেছেন, “এক জনের জন্য আপনি যতই বেদনা অনুভব করুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার রাস্তায় হতে পারে না। হওয়া উচিত নয়।” সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই মন্তব্যের মধ্যে কোনও ভুল নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে ঠিক এই কথাটা শোনার জন্য বিক্ষোভকারীরা প্রস্তুত নয়। সময়ের দাবি মেনে উচিত কথা থেকেও অনেক সময় বিরত থাকতে হয়।
ফলে ব্যর্থতা আর ভুলের পাহাড় ক্রমেই গগনচুম্বী হচ্ছে বলে একান্ত আলোচনায় স্বীকার করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাই। তাঁরা বলছেন, এক বছর আগে অণ্ণা হজারেকে তিহাড় জেলে বন্দি করে যে ভুল করেছিল সরকার, তার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন মনমোহন। তখনও অণ্ণার পিছনে ছিল সরকারের প্রতি নানা কারণে ক্ষুব্ধ মানুষের সমর্থন। এ বারেও তাই। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি এই সব মিলিয়ে এক বছরে তাদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পথে নেমেছে দিল্লির আমজনতা। ভিড় উপচে পড়েছে রাজপথে। কাল রবিবার সেই ভিড় আরও বাড়বে, আন্দোলন আরও তীব্র হবে, এই আশঙ্কায় হিম ডাকা হোক। পরে টুইট করেন: ধর্ষণে অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।

সন্ধ্যায় ফের রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছে মশাল হাতে।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, এটা সুষমার মোক্ষম চাল। ধর্ষণে ফাঁসি হওয়া উচিত কি না, এটা অনেক বড় বিতর্ক। সরকারের কারও পক্ষে এটা নিয়ে মুখ খোলাও সম্ভব নয়। তা হলে সংসদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ উঠবে। কিন্তু ইন্ডিয়া গেট থেকে শুরু করে বিজয় চকে ১৮ থেকে ২৮ বছরের যে তরুণ-তরুণীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা এখন সাংবিধানিক যুক্তি শুনতে নারাজ। তাঁরা অপরাধীদের ফাঁসিই চান। সুষমা কৌশলে তাঁদের মন রাখলেন।
এ হেন পরিস্থিতিতেও কিন্তু সামনে আসেননি মনমোহন বা সনিয়া। সরকার এগিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দেকে। ফোনে মনমোহনের সঙ্গে কথা বলেন সনিয়া। নির্দেশ দেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। দুপুরের পর শিন্দেকে ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন মনমোহন। এর পর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিন্দে। বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানান। আশ্বাস দেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে মহিলাদের উপর বিরলতম যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে শাস্তি আরও কঠোর করবে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কঠোর শাস্তি বলতে কি ফাঁসি? শিন্দে সরাসরি কোনও জবাব দেননি। বলেন, গোটা বিষয়টা জটিল আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যে-হেতু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তাই তা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
শিন্দে আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। তা ছাড়া, ধর্ষণের ঘটনার দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন যে পুলিশ কর্মীরা, তাঁদের সাসপেন্ড করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালই অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত এবং পাকড়াও করা গিয়েছে বলে পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ শর্মা। সেই দাবির জেরে জনমানসে যে মোটেই ভাল প্রতিক্রিয়া হয়নি, সেটা আজ বিলক্ষণ বুঝেছে সরকার। তাই পাঁচ পুলিশকে সাসপেন্ড করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবাদের দিনে
• মনমোহন-সনিয়া কথা, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
• মনমোহনের সঙ্গে বৈঠক সেরে শিন্দের বিবৃতি
• ফৌজদারি আইন বদলের ভাবনা
• মহিলা সুরক্ষায় বিশেষ তদন্ত কমিশন
• পাঁচ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড
• সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি সুষমার
• সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নির্যাতিতার
• পঞ্চম অভিযুক্ত নাবালক, জানাল পুলিশ
• রাইসিনার দরজায় পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান
• ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভে প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ
• বিক্ষোভ কলকাতা, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, লখনউ, কানপুরে
কিন্তু তাতেও কি শান্তি ফিরবে?
রাজনীতির কারবারিরা বিশেষ আশা দেখছেন না। তাঁদের অনেকেরই মতে, সাংবাদিক বৈঠকে শিন্দে বা তাঁর প্রতিমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি এমন কিছু বলতে পারেননি, যাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বস্তুত, এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো যথেষ্ট ওজনদার নেতা তাঁরা কি না, সেই প্রশ্ন থাকছেই। তার উপর আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ আজ বলেছেন, “এক জনের জন্য আপনি যতই বেদনা অনুভব করুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার রাস্তায় হতে পারে না। হওয়া উচিত নয়।” সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই মন্তব্যের মধ্যে কোনও ভুল নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে ঠিক এই কথাটা শোনার ফলে ব্যর্থতা আর ভুলের পাহাড় ক্রমেই গগনচুম্বী হচ্ছে বলে একান্ত আলোচনায় স্বীকার করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাই। তাঁরা বলছেন, এক বছর আগে অণ্ণা হজারেকে তিহাড় জেলে বন্দি করে যে ভুল করেছিল সরকার, তার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন মনমোহন। তখনও অণ্ণার পিছনে ছিল সরকারের প্রতি নানা কারণে ক্ষুব্ধ মানুষের সমর্থন। এ বারেও তাই। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি এই সব মিলিয়ে এক বছরে তাদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পথে নেমেছে দিল্লির আমজনতা। ভিড় উপচে পড়েছে রাজপথে। কাল রবিবার সেই ভিড় আরও বাড়বে, আন্দোলন আরও তীব্র হবে, এই আশঙ্কায় হিমস্রোত বইছে প্রশাসনের মেরুদণ্ডে।

ছবি: পিটিআই, এপি


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.