উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর
সংস্কার কবে
বিপন্ন যাত্রা
রাস্তার দুই প্রান্তে দুই জনপদ। কিন্তু এ রাস্তার বাঁকে বাঁকে বিপদের হাতছানি। একেই সঙ্কীর্ণ। তার উপরে খন্দে ভরা। হয় তীব্র যানজটও লেগে থাকে। কয়েকটি জায়গায় শীতেও জল জমে থাকে। ফলে গর্ত বুঝতে না পেরে বিপদে পড়েন পথচারী, চালকেরা। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। এই অবস্থা বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে নিমতা হয়ে বিরাটি পর্যন্ত যাওয়া মধুসূদন ব্যানার্জি (এম বি রোড) রোডের।
বিটি রোড থেকে আসা ফিডার রোড ও যশোহর রোডকে জুড়েছে এই রাস্তা। এই রাস্তাই এখন কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগকারী মূল রাস্তা। এই রাস্তায় আটটি রুটে বাস চলে। প্রতি দিন প্রবল গাড়ির চাপ থাকে। অভিযোগ, এই রাস্তায় ভারী যান ঢোকা বারণ থাকলেও অনেক চালকই তা মানেন না। বিশেষত, রাতের দিকে শিথিল ট্র্যাফিক ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারী গাড়ি ঢুকে পড়ে। ফলে রাস্তা দ্রুত খারাপ হচ্ছে।
রাস্তাটি এমনিতেই সরু। তার উপরে ফুটপাথ নেই। অভিযোগ, রাস্তার পাশের বাজারগুলি বাড়তে বাড়তে প্রায় রাস্তায় উঠে এসেছে। নিমতা নদীকূলের বাসিন্দা শ্রীপর্ণা সাহার কথায়: ‘‘যেন আতঙ্কের রাস্তা। বাজার করতে গেলে গাড়ির ধাক্কা খাওয়ার ভয় থাকে। গর্ত বাঁচাতে গাড়িগুলি এলোমেলো ভাবে চলে।’’ রাস্তার ধারে বসা সব্জি ব্যবসায়ী অজিত রায়ের কথায়: ‘‘ক’দিন আগে গর্ত বাঁচাতে গিয়ে একটা মিনি ট্রাক আমার সব্জির ঝুড়ি চাপা দিয়ে গেল। ভাগ্যিস দোকানের সামনে তখন খদ্দের ছিল না। অনেক দিন ধরেই এই অবস্থা চলছে।’’
ব্যারাকপুরের ডিসি ট্র্যাফিক কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা নজর রাখি। রাত ১০টা পর্যন্ত কমিশনারেটের সর্বত্র ট্র্যাফিক গার্ড থাকেন।’’ পথচারী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, “মাঝেমধ্যে রাস্তা সারানো হলেও কয়েক দিন পরেই যে-কে-সেই। রাস্তাটি উত্তর দমদম পুর এলাকা দিয়ে গিয়েছে। পুরসভার নির্বাহী বাস্তুকার দেবাশিস সাহার কথায়: ‘‘বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আওতায়। বিষয়টি আমরা পূর্ত দফতরের নজরে এনেছি।’’
পূর্ত দফতরের বারাসত হাইওয়ে ডিভিশন ১-এর অধীনে রয়েছে রাস্তাটি। তারা রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে। দফতরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাস্তা সারানোর জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। দ্রুত সারানো হবে।’’ পূর্ত দফতর সূত্রে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, পুরসভা মাঝেমধ্যেই জলের লাইন সারানোর জন্য রাস্তা খুঁড়ে ফেলে। তার পর আর সারায় না। এই জায়গাগুলোতেই গর্ত বড় হয় এবং জল জমে থাকে।

ছবি: অলকেশ মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.