মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
মিড-ডে মিলের তহবিল তছরুপ করার অভিযোগে পুরুলিয়ার দুই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল প্রশাসন। ওই দুই স্কুল হল কাশীপুর ব্লকের মণিহারা ও বেকো উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার অভিযোগ করেন কাশীপুরের বিডিও।
রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া মণিহারা ও বেকো এই দুই স্কুলে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট পেয়েই ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত তহবিল তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে।” কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল বলেন, “মহকুমাশাসকের নির্দেশে ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া কিছ ুদিন আগে এই দুই স্কুলের মিড-ডে মিলের অব্যবস্থার অভিযোগ করেছিলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। তিনি তদন্ত দাবি করেন জেলা প্রশাসনের কাছে। এলাকা থেকে এ ব্যাপারে আরও অভিযোগ জমা পড়ে। বিধায়ক বলেন, “আমার কাছে স্থানীয় মানুষ জন এই দুই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। এলাকার মানুষ জনেরই অভিযোগ, এই দুই স্কুলে মিড-ডে মিলে দুর্নীতি হয়েছে। মিড-ডে মিলের কয়েক কুইন্ট্যাল চাল ও লক্ষাধিক টাকা স্কুল হেফাজতে পড়ে রয়েছে। মিড-ডে মিল ঠিক ঠাক ভাবে চললে এত অর্থ ও চাল কেন বেঁচে থাকবে?”
কাশীপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি তথা বেকোর বাসিন্দা হামিদ আনসারির অভিযোগ, “আমিও বেকো হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে মিড-ডে মিল, আদিবাসী ছাত্রাবাসে কত জন আবাসিক রয়েছে, তাঁদের কী সুবিধা দেওয়া হয়-- এ সব জানতে চেয়েছিলাম। সদুত্তর না পেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলাম।” পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মিড-ডে মিলের বিষয়টি প্রশাসন দেখে। এ নিয়ে আমি এখনও কোনও রিপোর্ট পাইনি।”
মণিহারা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীলকুমার দে-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ শুনে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। বেকো হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোমেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি। বিষয়টি না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আশাকর্মীদের দাবি। সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেওয়া-সহ কয়েক দফা দাবিতে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিল পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন। সংগঠনের জেলা সভাপতি কার্তিক মাজি বলেন, “বর্তমানে আশা কর্মীরা তাঁদের পরিশ্রমের যোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না। আমরা দাবি করছি, আশাকর্মীদের সরকারি কর্মী হিসেবে গণ্য করতে হবে।” মহকুমাশাসক (পুরুলিয়া সদর) সৌম্যজিৎ দেবনাথ বলেন, “কর্তৃপক্ষকে জানাব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.