একটা টিউবওয়েল সারাতে কত সময় লাগে? প্রশ্ন তুলছেন বিষ্ণুপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোস্বামীপাড়ার বাসিন্দারা। কারণ, এই এলাকার একটি টিউবওয়েল তিন বছর আগে খারাপ হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে আর সারানো হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
অগত্যা এখন তাঁদের জল আনতে পাশের পাড়ায় যেতে হচ্ছে। গোস্বামীপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মী লোহারের ক্ষোভ, “স্থানীয় কাউন্সিলরকে অনেক বার টিউবওয়েলটি সারাতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তিন বছরে এক বারও সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।” তিনি জানান, এলাকার বাসিন্দাদের তাই সকাল-সন্ধ্যা জল আনতে বেশ কিছুটা দূরে খড়বাংলা এলাকায় যেতে হচ্ছে। স্থানীয় যুবক দীনেশ কদমা বলেন, “ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিদের দেখা মেলে। কিন্তু তার পর তাঁরা আমাদের কথা, অভাব-অভিযোগ সব ভুলে যান।”
ওই ওয়ার্ডেরই শাঁখারিবাজারে বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দির। সেখানেও দীর্ঘ কাল ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে আরও একটি টিউবওয়েল। বাসিন্দারা তো বটেই, পর্যটকেরাও অনেকে এই টিউবওয়েলে জল পান করতেন। কিন্তু টিউবওয়েলটি মেরামত না হওয়ায় পর্যটকেরা সমস্যায় পড়েছেন। ওই ওয়ার্ডের মাড়ুইবাজারে অবস্থিত গোষ্ঠবিহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও নিজস্ব টিউবওয়েল নেই। মিড-ডে মিল রান্না হয় পাশের বাড়ি থেকে জল এনে। পড়ুয়াদেরও স্কুলের বাইরে অন্য নলকূপ থেরে জল খেতে যেতে হয়। |
এই ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও বাসিন্দাদের ক্ষোভের অন্ত নাই। শাঁখারিবাজারে নিকাশি নালায় জমে রয়েছে জঞ্জাল। ফলে মশা বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় উঠে আসে জল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগে নিয়মিত নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হত। এখন হয় না। কাউন্সিলরকে জানালেও তিনি খোঁজ নেন না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাফাই কর্মী কম থাকায় নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে সমস্যা হচ্ছে।” তাঁর আশ্বাস, বিকল টিউবওয়েলগুলি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।” বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যাগুলির খোঁজ নেওয়া হবে।” |