প্রায় দু’ মাস পর ওডাফা ওকোলি-টোলগে ওজবের যুগলবন্দি দেখা যেতে পারে আজ শুক্রবার যুবভারতীতে। সকালে অনুশীলনের পর সহকারী কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “টোলগে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুক্ষণের জন্য নামবে। ওকে ম্যাচ ফিট করে তুলতে হবে।” ক্লাব সূত্রের খবর, মরোক্কোয় ভিসা সমস্যা মেটাতে যাওয়া কোচ করিম বেঞ্চারিফ সে রকমই নির্দেশ দিয়েছেন সহকারীদের।
আই লিগের মাঝে কলকাতা লিগ হওয়ায় এমনিতেই টি আর পি নেমে গিয়েছে টুর্নামেন্টের। কিন্তু আজকের মোহনবাগান বনাম মহমেডান ম্যাচের উত্তাপের কারণ তিনটি।
এক) অস্ট্রেলীয়া থেকে অস্ত্রোপচার করে ফেরা টোলগে ম্যাচ ফিট কি না তা দেখতে পাওয়া যাবে।
দুই) আই লিগে শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মোহনবাগান কলকাতা লিগের বড় ম্যাচ জিততে চাইছে।
তিন) এই ম্যাচটা না জিতলে মহমেডান কোচের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে। |
চলো এই ম্যাচটা অন্তত জিতি! টোলগেকে কি এ কথাই বলছেন ওডাফা? |
ম্যাচ জেতার জন্য মোহনবাগান চাইছে সুস্থ সব ফুটবলারকে নামিয়ে দিতে। এমনিতে মাঠের বাইরের মতো টিমেরও খুবই দুরবস্থা। প্রথম একাদশের প্রায় সাত ফুটবলার চোটের কবলে। ইচে, স্ট্যানলি, নির্মল, ডেনসন, আইবর, মণীশ কেউই নামছেন না। ওডাফারও সামান্য চোট রয়েছে। তবুও তাকে নামানো হচ্ছে সাবিথের সঙ্গী করে। মৃদুল বললেন, “প্রচুর চোট-আঘাত। কাল সকালে দল ঠিক করব। ম্যাচটা জিততে হবে।”
বিধাননগর পুলিশ আপত্তি জানানোয় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ম্যাচ নিয়ে। কিন্তু আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বারবার পুলিশকে অনুরোধ করে শেষ পর্যন্ত অনুমতি আদায় করে নেন। আর এর পরই দুই প্রধানের ‘বড় ম্যাচ’ নিয়ে উত্তাপ বাড়ে ময়দানে।
আই এফ এ-র এ বার যা লিগের পরিকাঠামো, তাতে আজ না জিতলে মহমেডানের মূল পর্বে যাওয়া কঠিন। কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় তাই ম্যাচ জিততে মরিয়া। বলে দিলেন, “ফুটবলারদের বলে দিয়েছি এর সঙ্গে ক্লাবের সম্মান জড়িত। আমি মাঠে যা করার করব। তোমরা নিজেদের উজাড় করে দাও।” মহমেডান কোচকে সবথেকে বেশি চিন্তায় রেখেছেন ওডাফা। মোহনবাগান স্ট্রাইকারের পিছনে নিজের স্টপার চার্লসকে লাগিয়ে দিচ্ছেন তিনি। দলে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে সানডেকে।
|
বৃহস্পতিবারে কলকাতা লিগ
মোহনবাগান: মহমেডান (যুবভারতী ২-০০) |