নামেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ। আবহ অনুশীলন ম্যাচের। রেলওয়ে এফসি-র সামনে যখন অবনমনের লড়াই, চূড়ান্ত পর্বের জন্য মর্গ্যানের রিজার্ভ বেঞ্চেরও তখন টিকিট ‘কনফার্মড’।
ফুটবলার সঞ্জয় সেনের আমলের রেলওয়ে এফসি হলে তাও একটা মারকাটারি ম্যাচের সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু এই রেল দল দাঁত, নখ উপড়নো বুড়ো বাঘের মতো। একতরফা ০-৪ হেরে কোচ সৌরেন দত্তর অনুযোগ, “অনুশীলনের মাঠ নেই। এক মাস আগে শেষ ম্যাচ খেলেছি। এর বেশি আর কী হবে?” |
গোল নম্বর চার। গোলকিপারকেও কাটিয়ে। ভাসুমের। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
বিপক্ষে কোনও বিদেশি নেই। সঙ্গে কলকাতা লিগ এবং আই লিগে তিন দিনের ব্যবধানে পরপর দু’ম্যাচে হারের যন্ত্রণা। আর মাঠে যারা লাল-হলুদ জার্সি গায়ে নব্বই মিনিট দাপালেন সেই সৈকত, ভাসুম, সঞ্জু, অভিজিৎ, রাজুদের মনের গহনে সর্বদাই তাড়া করছে আই লিগের দলে ফেরার তাগিদ। মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের একান্নতম ম্যাচে এই সব ফ্যাক্টরের উত্তর চার গোল। মুখে ট্রেডমার্ক হাসি ঝুলিয়ে লাল-হলুদ কোচ মর্গ্যানের ম্যাচ শেষে বিশ্লেষণ, “তিন পয়েন্ট। সঙ্গে ম্যাচ প্র্যাক্টিসও পেয়ে গেল ভাসুমরা। এটাই প্রাপ্তি।”
৪-৩-৩ ছকে এ দিন দল সাজিয়ে যে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করেছিল মননদীপ-সৈকতরা তার সঙ্গে মিনিট পঁচিশ পাল্লা দিয়ে ছুটেছিল রেল। কিন্তু ৩২ মিনিটে লেনকে রেলের শাহ আলম বক্সে ফাউল করতেই পেনাল্টি। যা থেকে সঞ্জু গোল করার পরেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া শুরু তপন গিরি-বিপ্লব নস্করদের। বারো মিনিট পরেই হেডে লেনের গোল। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের পাসের ভুলত্রুটি সারিয়ে আরও দু’গোল ইস্টবেঙ্গলের। ৬৬ মিনিটে মননদীপ ও ৭৮ মিনিটে ভাসুম।
গোলের রাস্তায় ফিরলেন ফুটবলাররা। ফিরল ধাক্কা খাওয়া আত্মবিশ্বাসও। আই লিগে রবিবারের মুম্বই এফসি ম্যাচের আগে এগুলোই প্রাপ্তি মর্গ্যানের লাল-হলুদের।
ইস্টবেঙ্গল: অভিজিৎ, সৈকত, রাজু, গুরবিন্দর, রবার্ট, সঞ্জু (অ্যালভিটো), সুশান্ত, ভাসুম, লেন, রবিন (কেভিন), মননদীপ (বলজিৎ)। |