ফুটবলের গণ্ডগোল এ বার যুবভারতী ছেড়ে আইএফএ-র সভাতে। আই লিগের দু’টি ডার্বিতে গত এক সপ্তাহে দু’বার গণ্ডগোল হয়েছে। সেগুলির ফয়সালা হওয়ার আগেই বুধবার রাজ্য ফুটবল সংস্থার সভায় ঝামেলা বাঁধল দিল্লিতে ফেডারেশনের পদে রাজ্যের প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে।
ফেডারেশনের নির্বাচনের এক দিন আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে উত্তাল আইএফএ-র গভর্নিং বডি। বিষয়টি সামনে আনেন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র, যাঁর ক্লাবের শাস্তি এখন বিচারাধীন ফেডারেশনের কোর্টে। তাঁর নির্বাচন নিয়ে মোহনবাগান প্রশ্ন তুলেছে শুনে সুব্রতবাবু দিল্লি থেকে ফোনে বলে দিলেন, “গভর্নিং বডির সভায় কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ফেডারেশনের ৩৩টা ভোটের ৩১টাই আমার পক্ষে আছে।” নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল যে ভাবে ১০টি ফাঁকা মনোনয়ন পত্র সই করে পাঠানোর জন্য আইএফ এ-কে নির্দেশ দিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠল সংস্থার সভায়।
এ দিকে মোহন-ইস্টের ভেস্তে যাওয়া ডার্বি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত এক সদস্যের কমিটির কাছে ২১ ডিসেম্বর হলফনামা পেশ করার জন্য ফেডারেশনের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছিলেন বাগান কর্তারা। কিন্তু রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোকবাবু তার অনেকটাই খারিজ করে দেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইএফএ-র গভর্নিং বডির সভায় হাজির হয়ে মোহনবাগান সচিব তোপ দাগেন ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী সুব্রত দত্তের দিকে। বলেন, “আইএফএ যাঁকে ফেডারেশনে নিজেদের প্রতিনিধি করে পাঠাচ্ছে তিনি আই লিগের কলকাতার ক্লাবগুলোর সমস্যা মেটানোর কোনও সভাতেই থাকেন না। তা হলে তাঁকে কেন আমরা পাঠাব? কেন সচিব নিজেই যাবেন না?” পুরো বিষয়টি কেন গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হল না তা নিয়ে সরব হন অঞ্জন। এর পরই সভায় ঝামেলা লাগে। এক সদস্য প্রতিবাদ করতে গেলে তর্কাতর্কি, হট্টগোল শুরু হয়।
উত্তর দিতে গিয়ে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সব রাজ্য থেকেই দশটি করে ফাঁকা মনোনয়নপত্র সই করে পাঠাতে বলেছেন প্রফুল্ল পটেল। সব রাজ্য যখন পাঠাচ্ছে তখন আমরা সংঘাতে যাব কেন? আর আমরা কারও নাম পাঠাইনি।” এটা শোনার পর ঝামেলা আরও বাড়ে। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার ও মোহন সচিব এ ব্যাপারে একযোগে বলেন, “ফাঁকা মনোনয়নপত্র পাঠানোর আগে সেটা সভায় আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।” |