কেন্দ্র আগেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এ বার ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করল রাজ্য সরকারও।
বুধবার বণিকসভা ফিকির অনুষ্ঠানে শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামী ছ’মাসেই রাজ্যের সব জেলায় ‘ই-ডিস্ট্রিক্ট’ প্রকল্প চালু হবে। তাঁর দাবি, রাজ্য অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ। ফিকি এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট-এর তৈরি ই-ডিস্ট্রিক্ট সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এ বাবদ ৪০.৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
গত অক্টোবরে কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে রাজ্যের ই-গভর্ন্যান্স প্রস্তাব। এই খাতে ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে তারা। সঙ্গে বেঁধে দিয়েছে প্রথম দফার কাজ শেষ করার সময়সীমা। ২০১৩-র মার্চের মধ্যেই দশটি সাধারণ পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
যে-সব পরিষেবা মিলবে, তার আওতায় রয়েছে: আয় ও নাগরিকত্বের শংসাপত্র, পেনশন, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা, জন অভিযোগ, লাইসেন্স, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অনুদান নেওয়া ইত্যাদি। জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি ও তথ্য নাগরিকরা পাবেন। এ সব নথিতে ‘ডিজিটাল’ সই থাকবে। ফলে নিকটবর্তী কিয়স্কে গেলেই যাবতীয় শংসাপত্র মিলবে। তবে প্রথম দফায় কোন দশটি পরিষেবা দেওয়া হবে, তা ঠিক হয়নি।
পূর্বতন বাম সরকারের আমলে বছর দু’য়েক আগে বাঁকুড়া ও জলপাইগুড়ি জেলায় জেলায় ‘ই-ডিস্ট্রিক্ট’ পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়। দুই জেলার নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে ভাতা, শংসাপত্র ও লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছিল। বিগত সরকারের দাবি ছিল বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্য জুড়ে ‘ই-ডিস্ট্রিক্ট’ প্রকল্প চালু হবে। তা হয়নি। কেন্দ্র-রাজ্য, দু’তরফেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় এ বার কাজে গতি আসবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সে ক্ষেত্রে সামান্য পরিষেবা পেতে মানুষকে মহাকরণ বা কলকাতার অন্যান্য প্রশাসনিক ভবনে দৌড়-ঝাঁপ কম করতে হবে বলেই তাঁদের আশা। |