ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য ভুঁইফোঁড় অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির উপরে কঠোর নজরদারি এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলি তদন্ত করে দেখার দাবি তুলে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বামেরা।
বাম প্রতিনিধিদের বক্তব্য, গরিব মানুষকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এই সব সংস্থা কোটি কোটি টাকা আদায় করছে। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৫০টি এ ধরনের সংস্থা এত দিনে আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে। অথচ সেই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করছে তারা বা কী ভাবে লগ্নিকারীদের ফেরত দেবে, তার কোনও ঠিক নেই। ফলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যাতে বহু লক্ষ পরিবার বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা। তাই কেন্দ্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে শুধু মৌখিক আশ্বাস দিলেই চলবে না, সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, এবং তদন্ত করে কী কী জানা যাচ্ছে তা-ও জানাতে হবে মানুষকে।
বামেরা যেমন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ভুঁইফোঁড় অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন, তেমনই গত কাল অনেক রাতে লোকসভায় কোম্পানি বিল নিয়ে আলোচনার সময় এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায় বলেন, “এতে প্রচুর মানুষ সর্বস্বান্ত হবেন।” তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র যে কোম্পানি বিষয়ক বিল সংশোধন করছে, তাতে এ ধরনের অর্থ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তাই তৃণমূল নীতিগত ভাবে কোম্পানি বিলের সমর্থক। তবে তৃণমূল এ-ও মনে করে, এই আইনের আওতায় ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’-কে বিধিবদ্ধ অধিকার দিয়ে আরও শক্ত করা উচিত।
বাম ও তৃণমূলের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সচিন পায়লটের অবশ্য বক্তব্য, “এ ধরনের ভুঁইফোঁড় অর্থ সংস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের মূল দায়িত্ব রাজ্যের। তবে কেন্দ্রও হাত গুটিয়ে বসে নেই।” |