বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কৃষি-পরিবেশে নজরদারিতে
অস্ত্র এ বার সেন্সর প্রযুক্তি
জিওগ্র্যাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে (জিআইএস) কৃষিজমির প্রকৃতি-অবস্থান, রাসায়নিক গুণাগুণ ও আবহাওয়ার তথ্য জোগাড় ও বিশ্লেষণ করে বলে দেওয়া সম্ভব, জমিটি চাষের পক্ষে কতটা উপযুক্ত।
চাল, ডাল বা বাদামে বিষাক্ত রাসায়নিক রয়েছে কি না, তা-ও বলে যাবে বিশেষ রাসায়নিক ‘সেন্সর’-এর মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, দেশের বনাঞ্চলের হ্রাস-বৃদ্ধিও সম্ভব জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং পদ্ধতির সাহায্যে। শুনতে কিছুটা আশ্চর্য লাগলেও বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সিড্যাক) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে এমনটাই জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের গবেষকেরা।
কী ভাবে হবে প্রয়োগ? পাপুয়া-নিউগিনি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শৈলেশ সামন্ত কৃষিক্ষেত্র ও বনাঞ্চলে নজরদারিতে রিমোট সেন্সিং ও জিওগ্র্যাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেমের (জিআইএস) প্রয়োগ দেখিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার জমি ও বনাঞ্চলে উপরে গবেষণা চালানোর পর তাঁর দাবি, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেমন উপযুক্ত কৃষিক্ষেত্র খুঁজে বের করা যায়, তেমনই উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে বনাঞ্চলের হ্রাস-বৃদ্ধিতেও নজরদারি সম্ভব। শৈলেশের কথায়, “জিআইএস-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশেষ সফটওয়্যারে বিশ্লেষণ করে বলে দেওয়া যাবে, কোন জমি কোন শস্য চাষের পক্ষে উপযুক্ত বা আদৌ উপযুক্ত কি না!” অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া-নিউগিনিতে কাঠ ব্যবসার বাড়-বাড়ন্তে কী ভাবে বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে, তার-ও প্রমাণ মিলেছে বলে শৈলেশ জানিয়েছেন।
গোয়ার বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স-এর (বিটস-পিলানি) গবেষক গৌতম বাচের এক বিশেষ রাসায়নিক ‘সেন্সর’-এর কথা বলেছেন, যা দিয়ে খাদ্যশস্যে মিশে থাকা মারণ রাসায়নিক (অ্যাফ্লক্সাসিন-এফবি১, যা থেকে ক্যানসার ও লিভারের অসুখ হয়) খুঁজে বের করা যাবে। তিনি বলেন, “এখন যে পদ্ধতি রয়েছে, তাতে সময় ও ব্যয়, দুই-ই বেশি হয়। কিন্তু এই সেন্সর দিয়ে অনেক কম সময় ও খরচে নিখুঁত ভাবে মারণ রাসায়নিক খুঁজে বার করা যাবে।”
এ রাজ্যের এক গবেষকের মতে, ভারতবর্ষে প্রযুক্তির সব চেয়ে কম ব্যবহার হয়েছে কৃষি ও পরিবেশের ক্ষেত্রেই। কিন্তু আগামী দিনে এই দু’টি ক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি জোর দেওয়া দরকার। সিড্যাকের এক মুখপাত্রও জানিয়েছেন, এই আলোচনাচক্রেও তাঁরা কৃষি ও পরিবেশের উপরে ‘সেন্সিং’ প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন বিশেষ ‘সেন্সর’-এর মাধ্যমে চাষের জমিতে ফসলের পরিমাপ ও গ্রিন হাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বক্তব্য রাখেন গবেষকেরা। উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলার বিষয়ও।

৫ নতুন গ্রহ
সন্ধান মিলল পাঁচটি নতুন গ্রহের। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন গ্রহগুলির অবস্থান পৃথিবীর খুব কাছেই। আলোর গতিবেগে চললে গ্রহগুলিতে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১২ বছর। সূর্যের মতোই আরও এক বৃহৎ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহগুলি, নাম যার তাউ সেটি। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, সদ্য সন্ধান মেলা ওই পাঁচটি গ্রহের একটির পরিবেশ অনেকটা পৃথিবীর মতোই। প্রাণ সঞ্চার হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনাও আছে সেখানে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.