লাভপুরে তৃণমূল কর্মী খুনে অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল শেখকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করল বীরভূম জেলা পুলিশ। গত ১৮ নভেম্বর খুন হন লাভপুরের ব্রাহ্মণী গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ওই খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন গোপাল শেখ। মঙ্গলবার রাতে চেন্নাইয়ের এসআরএমবি এলাকার একটি কারখানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোপালকে ধরা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। ধৃতকে পাঁচ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিপ্রটিকুরি পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণী গ্রামের অদূরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার
|
গোপাল শেখ। |
করা হয়েছিল চিত্তরঞ্জনবাবুকে। বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের ‘ঘনিষ্ট’ গোপাল শেখ-সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে। যদিও বিধায়ক গোপাল শেখের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছিলেন। এ দিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ঘটনার দিনই পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোপালের অনুগামীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছিল। প্রকাশ্যে এসে পড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও।
পুলিশের খাতায় দাগি দুষ্কৃতী গোপালের বাড়ি নানুরের সাওতা গ্রামে। এক সময় গ্রাম তথা এলাকা দখলকে ঘিরে সিপিএমের হয়ে শরিক আরএসপি-র সঙ্গে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ ছিল গোপালের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস চালানো-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে নানুর ও লাভপুর থানায়। তার সন্ধানে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে জেলার সর্বত্র পোস্টারও দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু গোপাল এত দিন অধরাই ছিল। এ দিকে, গোপাল ধরা পড়ার খবরে খুশির হাওয়া লাভপুরে। নিহতের বাবা ধ্বজাধারী মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, “ছেলে ফিরবে না জানি। চাই খুনে অভিযুক্তরা শাস্তি পাক।” |