ইডেনে পুরনো পিচ,
শুরুতে গতি শেষে স্পিন
শেষ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কি ইডেনে তাঁর পছন্দের উইকেট পাচ্ছেন?
ইডেন টেস্ট শুরু হওয়ার তিন দিন আগে পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে।
মান-অভিমান পর্ব কাটিয়ে কিউরেটরের দায়িত্ব ফেরা প্রবীর মুখোপাধ্যায়কে সিএবি বুঝিয়েছে, বোর্ড যেমন চায়, উইকেট যতটা সম্ভব তেমনই করে দিতে। অর্থাৎ, যতটা সম্ভব ‘টার্নার’ যেন পান অশ্বিন-ওঝারা। কিন্তু ইডেন কিউরেটর বুধবার যা জানালেন, তাতে পিচে বাউন্স থাকবে। পেস থাকবে। বল হয়তো পরের দিকে ঘুরবেও। কিন্তু তা ধোনিকে খুশি করতে পারবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
ইডেনের বাইশ গজের নাড়ি পরীক্ষায় ক্যাপ্টেন কুক। ছবি: উৎপল সরকার
ওয়াংখেড়েতে পূর্ব ব্যবহৃত পিচে নেমে সওয়া তিন দিনে টেস্ট হেরেছিল ধোনির ভারত। ঘটনা হচ্ছে, ইডেনেও এক পূর্ব ব্যবহৃত উইকেটে নামতে হচ্ছে ধোনিদের। সপ্তাহ দুয়েক আগে রঞ্জি ট্রফিতে যে ম্যাচে বাংলা বনাম গুজরাত হয়েছিল, সেখানেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মর্যাদা-যুদ্ধে বুধবার থেকে নামছেন ধোনিরা। রঞ্জির ওই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। কিন্তু স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের পারফরম্যান্স অনেক ভাল ছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলার পেসাররা ন’উইকেট তুলেছিলেন। তবে ম্যাচ যত গড়িয়েছে, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গিয়েছিল।
“ওই পিচেই টেস্ট হবে। যেখানে পেস-বাউন্স থাকবে। টেস্ট ম্যাচের ফয়সালা ক্রিকেটাররা করবে। পিচ কেন?” রবিবার বলছিলেন প্রবীর। আর ধোনির কথামতো টার্ন? “কোনও বিশেষ ধরনের বোলারকে সাহায্য করার জন্য পিচ তৈরি করা হয় না। তবে এটুকু বলতে পারি, ভাল স্পিনারদের পিচ অপছন্দ হবে না। যারা বাউন্সটাকে কাজে লাগাতে পারবে, তারাই সাফল্য পাবে।”
তবে ঘটনা হচ্ছে, একে পুরনো পিচ, তায় পরের দিকে নির্দেশ মতো জল দেওয়া কমানো হবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু পিচ শুকনো হয়ে যেতে পারে, ভাঙতেও পারে।
ভারতীয় ক্রিকেটাররা রবিবার শহরে পৌঁছলেও এ দিন টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে কেউ ইডেনের উইকেট দেখতে আসেননি। বিতর্কের পর পিচ নিয়ে ভারতীয় শিবিরে খোঁজ চলেছে, এমনও খবর নেই। সোমবার দুপুরে ইডেনে এসে পিচ দেখবেন ধোনিরা। পিটারসেন-কুকরা অবশ্য এ দিন বাইশ গজের এক দফা পরীক্ষা সেরে গেলেন। দু’জনকেই দেখা গেল পিচ নিয়ে আলাদা করে পড়েছেন। দ্বিতীয় টেস্টে খেলা ইংরেজ ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলে যান, “আমি পিচ দেখিনি। তবে কেপি-ফ্লাওয়াররা দেখেছে। সেই বুঝেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হবে।”
ইংল্যান্ড অবশ্য বাইশ গজের যুদ্ধে নামার আগে সিএবি-র ‘অসহযোগ আন্দোলন’-এর মুখে পড়ল। নেটে এ দিন যে স্থানীয় লেগ স্পিনারকে পাঠানো হয়েছিল, তার বলের এমনই নমুনা যে, ম্যাট প্রায়র তিনটে বল খেলে সেই যে নেট ছেড়ে বেরোলেন, আর ও মুখো হলেনই না। বরং পাল্টা দাওয়াই হিসেবে মন্টিকে নেটে ডেকে নিয়েছিলেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। সিএবি-র কাছে ফের বাড়তি স্পিনার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সিএবি নিজেদের স্টান্সে অনড়। বেয়ারস্টো অবশ্য মুখে বলে গেলেন, “ভারতীয় স্পিনকে সামলানোর জন্য মন্টি-সোয়ানদের সঙ্গে আমাদের অনুশীলনই যথেষ্ট।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.