টুকরো খবর
উষ্ণায়নে গলছে খোলস
দূষণ কমাতে নেতা-নেত্রীদের প্রতিশ্রুতির শেষ নেই। বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন হরেক রকম সেমিনার, বক্তৃতা চলছেই। কিন্তু দূষণ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ফলস্বরূপ কমছে না বিশ্ব উষ্ণায়নও। আর এর জেরেই প্রকৃতিতে যে পরিবর্তন আসছে তাতে বেজায় চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এ রকমই একটা আশঙ্কার খবর শুনিয়েছেন কেমব্রিজের ব্রিটিশ আর্কটিক সার্ভের এক দল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, দূষণের প্রভাবে পৃথিবীতে বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব থেকে খারাপ অবস্থা মেরু অঞ্চলের। কারণ ঠান্ডা পরিবেশে জলে বেশি করে মিশছে ওই গ্যাস। এর ফলে জলে বাড়ছে অ্যাসিডের পরিমাণ। আর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক প্রাণীর উপরে। তাঁদের এই গবেষণা ‘নেচার জিওসায়েন্স’-এ প্রকাশাতি হয়েছে।গবেষক দলের অন্যতম গারাইন্ত টার্লিং জানিয়েছেন, জলে অ্যাসিডের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে শামুক, ঝিনুকের মতো প্রাণীর খোলস গলে যাচ্ছে। ওই সব প্রাণীর খোলসই হল আত্মরক্ষার এক মাত্র অস্ত্র। সেই খোলস গলে যাওয়ায় বিপন্ন হয়ে পড়ছে শামুক-ঝিনুকদের মতো খোলস যুক্ত প্রাণীদের জীবন। ফলে দ্রুত কমছে এদের সংখ্যা।

বিষক্রিয়ায় পাখির মৃত্যু কাজিরাঙায়
বিষক্রিয়ায় অর্ধ-শতাধিক মণিয়ারি পাখির মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে। বন বিভাগ সূত্রে খবর, গত তিন দিন ধরে বাগরি রেঞ্জের বরসেলেকা এলাকায় মরা পরিযায়ী পাখিগুলির দেহ মিলেছে। এ বছর বিল সাফ করায় দেশিয় পাখির পাশাপাশি, প্রচুর সংখ্যক পরিযায়ী পাখি ইতিমধ্যেই উদ্যানের বিলগুলিতে ভিড় করেছে। বরসেলেকা বিলের পাড়ে, গাছের তলায় গ্রেট কমোর্যান্ট বা মণিয়ারি পাখিগুলির দেহ দেখতে পান টহলদার বনকর্মীরা। বন বিভাগ তল্লাশি চালিয়ে আরও বেশ কিছু পাখির দেহ উদ্ধার করে। পক্ষীরোগ বিশেষজ্ঞদের কাজিরাঙায় জরুরি তলব পাঠানো হয়। তাঁরা মৃত পাখিদের দেহ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ফ্লু বা মড়কের কারণে নয়, জলাশয়ের বিষাক্ত মাছ খেয়েই মারা গিয়েছে মণিয়ারির দল।

বাঘের হানায় জখম
সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় গুরুতর জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। শনিবার দুপুরে গোসাবার ঝিলা-৬ জঙ্গলের ধারে ঝিলা নদীতে মাছ ধরার সময়ে মোনো বিশ্বাস নামে ওই মৎস্যজীবী আক্রান্ত হন। সঙ্গীরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। তাঁর বাড়ি গোসাবার পাথরপাড়ায়।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোনো বিশ্বাস-সহ চার জনের একটি দল পাথরপাড়া থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। দুপুরে যখন তাঁরা নদীতে জাল ফেলছিলেন, তখনই হঠাৎ একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। ওই বাঘ মোনো বিশ্বাসের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মোনোবাবুর সঙ্গীরা লাঠি, বৈঠা নিয়ে বাঘটিকে তাড়ান।

হাতির হানায় জখম
হাতির হানায় জখম হয়েছেন এক বৃদ্ধ। শুক্রবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) পানবাড়ি জঙ্গল লাগোয়া ছোট দামসিবাদ গ্রামের ঘটনা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম বৃদ্ধের নাম মাঙ্গা ওঁরাও। ওই রাতে হাতিটি তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। ভেঙে দেয় দু’টি ঘর। দেওয়াল ও চাল চাপা পড়ে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। বন দফতরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। এ দিকে, আলিপুরদুয়ারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর চেকপোস্ট এলাকায় ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনির বাংলোর পিছনে ঘুরতে দেখা যায় একটি দাঁতালকে।

পরিবেশ বাঁচাতে
সুদীপ্ত ভৌমিকের তোলা ছবি।
পরিবেশ বাঁচাতে শনিবার সকালে মিছিলে হাঁটল ‘অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ’ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। বিকেলে স্কুলেরই এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন এ বার পরিবেশ বিচার করে বিভিন্ন স্কুলকে পুরস্কার দেবে রাজ্য সরকার। সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি স্কুলও সেই পুরস্কার পেতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিল্পে উন্নতি করতে হবে, কিন্তু তার পাশাপাশি দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখাও জরুরি। শিশুদের তা বোঝানোর জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে স্কুলগুলিকেই। কোন স্কুল সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উপরে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা বিচার করে রাজ্য সরকার শীঘ্রই ‘যামিনী রায় পুরস্কার’ চালু করতে চলেছে।”

পালক আটক
বাস থেকে দেড়শো কেজি ময়ূরের পালক আটক করল শুল্ক দফতর। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার পুর্ণিয়া মোড়ের ঘটনা। এক জনকে ধরা হয়।

বন্ধু তোমায়: দেশবন্ধু পার্কে
একটি ডগ শোয়ে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
সিংহ ছানার সঙ্গে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট।
ভ্যাটিকান সিটিতে। ছবি: রয়টার্স


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.