উত্তর কলকাতা
আটকে প্রকল্প
জট পুনর্বাসনে
রিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। হয়ে গিয়েছে অর্থ বরাদ্দও। কিন্তু কর্মচারী আবাসনের বাসিন্দাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়নি। তাই আটকে রয়েছে বি কে পাল পার্কে কমিউনিটি হল তৈরির প্রকল্প।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “পার্কের মধ্যে সবুজ ধ্বংস করে কোনও কমিউনিটি হল তৈরির অনুমতি দেওয়া যাবে না। পার্কের যে অংশটিতে শ্রমিক আবাসন রয়েছে সেখানেই কমিউনিটি হল তৈরি করতে হবে।”
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, বছর তিনেক আগে পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বি কে পাল পার্কে একটি কমিউনিটি হল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সবুজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এর পরে ঠিক হয় পার্কের যেখানে পুরকর্মীদের আবাসন রয়েছে, তার উপরেই নির্মাণ হবে। এই প্রকল্পের জন্য তৎকালীন বিধায়ক তারক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ তহবিল থেকে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। কিন্তু কমিউনিটি হল তৈরি করতে হলে আবাসনের বাসিন্দাদের অস্থায়ী ভাবে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এখনও এর জন্য বিকল্প জায়গা পাওয়া যায়নি। তার ফলে আটকে রয়েছে পরিকল্পনা। মাঠের পাশে আবর্জনা রাখার জায়গা পরিষ্কার করে কর্মচারীদের শর্তসাপেক্ষে অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবটিও চূড়ান্ত হয়নি।
এই পার্কেরই একাংশে পুরসভা বাচ্চাদের জন্য একটি উদ্যান তৈরি করছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরে এই পার্ক তৈরি সম্পূর্ণ হবে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি। স্থানীয় কাউন্সিলর শিখা সাহা বলেন, “আমার ওয়ার্ডে কোনও কমিউনিটি হল নেই। কমিউনিটি হল খুব দরকার। তবে এতে যাতে সবুজ ধ্বংস না হয় সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা হবে। কর্মচারীদের অস্থায়ী পুনর্বাসন দিয়েই কাজ হবে।”
পুরসভার ২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সাধন সাহা বলেন, “মাঠের যে অংশটি ব্যবহৃত হয় না সেখানেই অস্থায়ী ভাবে কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। হল তৈরি হয়ে গেলে তাঁরা পুরনো আবাসে ফিরে আসতে পারবেন। উদ্যান বিভাগের আধিকারিকের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। মেয়র পারিষদকেও জানানো হবে। পরে ওই আবর্জনা ফেলার জায়গাটি সুন্দর করে সাজানো হবে।” যদিও দেবাশিসবাবুর কথায়: “কর্মচারীদের অস্থায়ী ভাবে পুনর্বাসন দিয়েই কাজ হবে। কিন্তু মাঠের মধ্যে কোনও জায়গায়ই অস্থায়ী ভাবে পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রেও সবুজ ধ্বংসের অভিযোগ উঠবে। এ ব্যাপারে এখনও কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।” সব কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মেয়র পারিষদ জানান।
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.