অবশেষে কড়া পদক্ষেপ গগৈয়ের
অসমে শান্তির স্বার্থে সরকারের শরিক নেতাদেরও আর ছাড় নয়
কোকরাঝাড়ে শান্তি বজায়ে রাখতে তরুণ গগৈ এ বার দল ও পদ নির্বিশেষে অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশি অভিযানে সম্মতি দিলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আজ ভোরে বড়োল্যান্ড স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের জলসিঞ্চন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা, বানরগাঁওয়ের বিধায়ক মনকুমার ব্রহ্মর বাড়ি থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত কাল রাতেই, বিপিএফ নেতাদের বাড়িতে মোতায়েন একে-৪৭ধারী ১০৩ জন প্রহরী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পরিবহন মন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম, বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি ও উপ প্রধান খাম্পা বরগয়ারি ছাড়া, জোট শরিক বিপিএফ-এর সব কার্যনির্বাহী সদস্য ও বড়ো বিধায়কের দেহরক্ষীদের একে-৪৭ রাইফেল ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের হাতে থাকবে কেবল .৩০৩ রাইফেল ও কার্বাইন। সব দেহরক্ষীকে পুলিশের পোশাক পরে কাজ করতে হবে।
মনকুমার ব্রহ্মকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: উজ্জ্বল দেব
কোকরাঝাড়কে অশান্ত করে তোলার পিছনে এই বিপিএফ নেতাদের হাত রয়েছে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে এআইইউডিএফ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে কংগ্রেসও কার্যত আজ ঘোষণা করে দিল বড়োভূমিতে রক্তপাতের পিছনে জোট শরিক বিপিএফ নেতাদের হাত রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বড়োভূমিতে, কংগ্রেস সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগের পথে হাঁটতে চলেছে বিপিএফ। তবে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙা নিয়ে মন্তব্য করেননি বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি। বেলা ৩টে থেকে, বিটিসির উপপ্রধান খাম্ফা বরগয়ারি ও শিক্ষাবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদসদের হাসাৎ বসুমাতারিকেও নজরবন্দি রাখা হয়েছে।
অশান্তি রুখতে পুলিশ অবশেষে তৎপর হলেও গত কাল রাতেও মহিলা ও শিশু-সহ চার জনকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ নলবাড়ি বামুনগাঁও এলাকার এক দম্পতি গুলিবিদ্ধ হন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কোকরাঝাড়ের জিয়াগুড়ি গ্রামে কার্ফু ও সান্ধ্য আইনের মধ্যেই ২টি বাড়িতে চড়াও হয়ে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে এক মহিলা, তাঁর দুই সন্তান ও জামাই নিহত হন। শরীরে ৪টি গুলি নিয়ে
এক কিশোরকে ভর্তি করা হয়েছে ধুবুরি হাসপাতালে। এরা দিন কয়েক আগে ত্রাণ শিবির থেকে গ্রামে ফিরেছিলেন। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ দিন সকালে, উদালগুড়িতে হরিশিঙায় এক ব্যক্তির দেহ মেলে। বিকেলে কোকরাঝাড়ের সেরফাংগুড়িতে, ইসিএলের নির্মাণস্থলে এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে তাঁর রাইফেল নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই নিয়ে এক সপ্তাহে ১০ জন নিহত হলেন কোকরাঝাড়ে।
জখম ৯ জন। জিয়াগঞ্জের ঘটনার পরই দিল্লির সবুজ সঙ্কেত পেয়ে তৎপর হয় গগৈ প্রশাসন। কোকরাঝাড় জেলা প্রশাসন ০৩৬৬১-২৭০৬৫৭ নম্বরটি হেল্পলাইন হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত এক সপ্তাহের অশান্তির জেরে ফের ত্রাণ শিবিরমুখী হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কোকরাঝাড়ে ৭১৭৯ জন, চিরাং-এ ৯০০০ ও ধুবুরিতে ২০৩৪৬ জন শরণার্থী রয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.