বিনোদন: আদালতের রায় মানল ন হন্যতে
ছবি মুক্তির আগে মামলা কেন, সরব ইন্ডাস্ট্রি
‘ন হন্যতে’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে, কাল শুক্রবার। শেষ মুহূর্তে ছবির নাম নিয়ে একটি মামলা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল পরিচালক-প্রযোজকের।
কপিরাইট অমান্য করার অভিযোগ তুলে মৈত্রেয়ী দেবীর পুত্রবধূ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে ছবির পোস্টারে, সিডি আর ডিভিডিতে লিখে দিতে হবে, এর সঙ্গে মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ উপন্যাসের কোনও যোগ নেই। এমনকী যে ক্যালিগ্রাফিতে ‘ন হন্যতে’ শব্দটি লেখা হয়েছে তা-ও বদলাতে হবে। ছবিটির পরিচালক রিঙ্গো এই নির্দেশ মেনে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “ছবিটা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রচারমাধ্যমে আলোচনা চলেছে। তা হলে ছবি রিলিজ করার ঠিক আগে আদালতে যাওয়া হল কেন?”
ঘটনা হল, কাকতালীয় ভাবে সোমবারই মুম্বইয়ে ফিল্ম প্রোডিউসার্স গিল্ড কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ছবি মুক্তির প্রাক্কালে পরিচালক-প্রযোজকদের যেন কোনও উটকো মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হতে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হোক। প্রযোজকদের বক্তব্য, মামলা কেউ করতেই পারেন। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, বিষয়গুলো আগে থেকে জানা থাকা সত্ত্বেও ছবি মুক্তির ঠিক আগের মুহূর্তটাই মামলা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক কালে যে সব ছবির বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’, ‘ও মাই গড’, ‘পান সিংহ তোমর’ এবং ‘জন্নত ২’। এই জাতীয় বিতর্ক অনেক সময় ছবির বাণিজ্যও বাড়িয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রযোজকের স্নায়বিক চাপ।

হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন পোস্টার।
‘ও মাই গড’ ছবিটা পঞ্জাবে না মুক্তি পাওয়ার কারণে পরিবেশকের দু’কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কর্ণ জোহরের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে তাঁর ছবিতে রাধাকে ‘সেক্সি’ বলার জন্য। এই সব ঘটনা এড়ানোর জন্যই ফিল্ম প্রোডিউসার্স গিল্ডের সভাপতি মুকেশ ভট্ট চিঠি পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারিকে। মুকেশ বলেন, “আমরা ‘ন হন্যতে’-র বিষয়ে জানতাম না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মামলা দায়ের করার রেওয়াজের বিরুদ্ধে আমরা সরব।” ওঁরা প্রশ্ন তুলছেন, “একটা ছবিকে সেন্সর বোর্ড পাশ করে দেওয়ার পর সেই ছবির বিরুদ্ধে মামলা করা মানে সেন্সর বোর্ডের মতকে অগ্রাহ্য করা।”
পরিচালক মহেশ ভট্ট মনে করিয়ে দিলেন, প্রকাশ ঝা-র ‘আরক্ষণ’ নিয়ে বিতর্কের পরে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সেন্সরের ছাড়পত্র পাওয়া ছবি যাতে ঠিক ভাবে মুক্তি পায়, সেটা দেখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। ছবি মুক্তি পেলে আইনি ঝামেলা হতে পারে, এই অজুহাতে ছবি রিলিজ না করা চলবে না। সেন্সর বোর্ড এ ব্যাপারে কী বলছে? বোর্ডের মুখপাত্র অঞ্জুম রাজাবলির মতে, বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে, কোনও ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সিবিএফসি-কে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়গুলো মাথায় রাখতেই হয়। ভারতের মতো বহুজাতিক দেশে বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের ভাবাবেগের দিকটা মনে রেখেই কাজ করতে হয়।
তার পরেও কেন তা হলে মামলা করার হিড়িক? অঞ্জুম বলেন, “সাংবিধানিক অধিকার বলে যে কেউ বিধিবদ্ধ সংস্থার রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন। তখন বিষয়টি সম্পূর্ণ বিচারাধীন। তবে আশা করব, বিচারের সময় আদালত সিবিএফসি-র সিদ্ধান্তটাও বিবেচনা করবে।”
রিঙ্গোর ছবির নাম প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ‘বিকেলে ভোরের ফুল’। তার পর পাল্টে সেটাকে ‘ন হন্যতে’ করা হয়। মহেশ বলেন, “আমি ‘ন হন্যতে’ সম্পর্কে জানি না। তবে মামলা করার সময়টা দেখে তাজ্জব লাগছে।” বলিউডের প্রযোজকরা এখন মন্ত্রীর চিঠির অপেক্ষায় আছেন। ছবির মুক্তির আগে মামলা-মোকদ্দমার ঝামেলা থেকে অব্যাহতি চান তাঁরা।


নন্দনে এখন চলছে চলচ্চিত্র উৎসব। একটি বাংলা ছবির
শ্যুটিং করতে হঠাৎ সেখানে হাজির ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও
দেবশঙ্কর হালদার। বুধবার দুপুরে। ছবি: রণজিৎ নন্দী



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.