কোনও এক দেবীর মধ্যে থেকে যান আরও অনেক দেবী। কোনও একটি বিগ্রহ আসলে অনেকগুলি ধারণার সমাহারও হয়ে ওঠেন। দুর্গার মতো তাই কালীও রক্তমাংসপশুপ্রিয়া এবং সেই একই সঙ্গে শস্যদেবীও। তাঁর পুজোয় তাই শস্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজতাত্ত্বিকেরা বলেন, এই সময়েই যে ১৪ শাক খাওয়ার প্রথা রয়েছে, তা সাধারণত রোগ নিরাময়ের কথা ভেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। অগ্রহায়ণে খেতের ফসল ওঠে। তার পরেই পাওয়া যায় নানা রকমের শাকও। নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের ভেষজ বিজ্ঞানী ছন্দা মণ্ডল বলেন, “আয়ুর্বেদ অনুযায়ীই এই শাক খাওয়ার রীতি চালু হয়েছিল বলে মনে হয়। বর্ষার শেষে শাক খেতে হয়। তার উপরে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানা ধরনের রোগ হয়। তা নিরাময়ের জন্যও এই শাক খাওয়ার রীতি ছিল।” তাঁর কথায়, “বেশিরভাগ শাকই প্রধানত তেতো। ফলে মুখ ও পাকস্থলীতে প্রচুর লালা ও উৎসেচক ক্ষরণ হয়। যা রোগ নিরাময়ে খুবই উপকারী।”
ছন্দাদেবী বলেন, “এই ১৪ শাকের মধ্যে পরিচিত পুঁই, নটে বা লাউ শাক নেই।” তা হলে এই শাকগুলি কী কী? ছন্দাদেবী জানান, ওল, কেও, বেতো, কালকাসুন্দা, নিম, সর্ষে, সালিঞ্চা, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পলতা, ঘেটু বা ভাট, হিঞ্চে, সুষনী, শুলফা। এই সব ক’টি শাকই নানা রোগ নিরাময়ে ও প্রতিরোধে কাজে লাগে। এর মধ্যে ভিজে স্যাঁতসেঁতে জায়গায় হয় যে কেও, তা এখন আর তেমন পাওয়া যায় না।
বেতো জন্মায় চাষের খেতে। রাস্তার ধারে হলুদ রঙের ফুলে ভরা গাছ দেখলে চেনা যায় কালকাসুন্দা। মাটির কাছাকাছি জন্মায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মুখরোচক সর্ষে। শালিঞ্চাও অবশ্য প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। হিঞ্চের মতো কিছু শাকের রসও খাওয়া হয়।
শহরে অবশ্য এই সব শাক বিশেষ পাওয়া যায় না। চোদ্দ শাকের হিসেব তাই কুলিয়ে দিতে হয় অন্য শাক দিয়ে।
স্কুলে চুরি। স্কুলের তালা ভেঙে একটি প্রোজেক্টর-সহ পাঁচটি কম্পিউটার নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ডোমকলের গঙ্গাদাসপাড়ার স্কুলের ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। |