নিউ টাউনের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখতে ‘বায়ো-টয়লেট’ ব্যবস্থা চালু করছে হিডকো।
ভবিষ্যতের দূষণমুক্ত উপনগরীর কথা ভেবে যতটা সম্ভব পরিবেশকে রক্ষা করে সুপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হচ্ছে নিউ টাউন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জোর কদমে চলছে ইকো-পার্ক তৈরির কাজও। ইতিমধ্যেই এই পার্কে মানুষ বেড়াতেও আসছেন। হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ইকো-পার্কে দু’টি বায়ো-টয়লেট বসানো হবে। পরে নিউ টাউনের কয়েকটি জায়গা নির্বাচন করে বেশ কিছু বায়ো-টয়লেট বসানো হবে।” ভারত সরকারের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগিতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে। নিউ টাউনের যে সব জায়গায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা নেই, সেখানে সাধারণ শৌচাগার বসানো সমস্যার। তাই সে সব এলাকায় এ ধরনের শৌচাগার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা জানান, এই শৌচাগারে জমা হওয়া বর্জ্য পদার্থ একটি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে মিশে পরিস্রুত জলে পরিণত হবে। ওই জল ব্যবহার করা যাবে চাষ-সহ নানা কাজে। রাসায়নিক পদার্থটির দামও খুব বেশি নয়। ফলে এক দিকে নিউ টাউনের পরিবেশ যেমন পরিচ্ছন্ন থাকবে, তেমনিই থাকবে দূষণমুক্তও। |
এই মুহূর্তে নিউ টাউনে এ ধরনের বেশ কিছু বায়ো-টয়লেটের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে হিডকো। কারণ, নিউ টাউনে এখনও পুরো দমে নির্মাণকাজ চলায় সব জায়গায় এখনও তৈরি হয়নি ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা। ফলে যে সব শ্রমিকেরা এই কাজ করছেন, শৌচাগার না থাকায় অনেক সময়েই তাঁরা উন্মুক্ত জায়গায় প্রাকৃতিক কাজ করেন। তাই নির্মাণকাজ চলছে, এ রকম কিছু জায়গায় বায়ো-টয়লেট তৈরি হলে পরিবেশ অনেকটাই দূষণমুক্ত থাকবে।
তবে শুধু বায়ো-টয়লেটই নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিদেশের মতো শৌচাগারের আধুনিক সংস্করণ ‘ই-টয়লেটও’ তৈরি হবে। দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে এই ই-টয়লেটের ব্যবহার দেখা যায়। সুলভ শৌচাগারের মতোই পয়সা দিয়ে এই ধরনের শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। তবে এখানে কোনও কর্মী থাকেন না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পয়সা দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে খুলে যায় দরজা। কর্মী না থাকলেও শৌচাগারগুলি ব্যবহারের পরে কী অবস্থায় আছে বা সেখানে কিছু প্রয়োজন হলে তা অন্য কোনও জায়গা থেকে কম্পিউটারের সাহায্যে দেখতে পারবেন কর্মীরা। দেবাশিসবাবু বলেন, “নিউ টাউন ও সল্টলেকের নানা এলাকায় ই-টয়লেট বসানো হবে। এ বিষয়ে কেরলের একটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে।”
|