|
|
|
|
পলিটেকনিকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
রূপনারায়ণপুর পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মিথিলেশ ওঝাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে বিহারের আড়া জেলার বেহিয়া থানা এলাকার বুড়জা গ্রামে একটি জঙ্গল থেকে তাকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ধৃতের সংখ্যা চার।
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বিহারের ওই গ্রামে মিথিলেশ লুকিয়ে রয়েছে খবর পেয়ে গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল সোমবার রাতে সেখানে যায়। একটি জঙ্গল থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৯ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৯ অক্টোবর ওই পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র সংসদ অফিসে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে মাদক-পানীয় খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীর বাবা কলেজের তিন ছাত্রছাত্রী, এক নিরাপত্তারক্ষী ও বহিরাগত যুবক মিথিলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর। তিন ছাত্রছাত্রীকেও সাসপেন্ড করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজে এক জন অস্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর অভিযুক্ত ছাত্র অভি ঘোষকে শ্রীরামপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরা হয়। ২৯ অক্টোবর ধানবাদ স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা কলেজের টিএমসিপি নেতা শাম্ব মণ্ডলকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগকারিণীকে ঘটনার দিন যে ছাত্রী ছাত্র সংসদ অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি রূপনারায়ণপুরে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই ছাত্রীকে বেশ কয়েক বার জেরা করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করার মতো উপযুক্ত প্রমাণ এখনও মেলেনি।”
এডিসিপি (পশ্চিম) আরও জানান, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাম্ব এখনও পুলিশ হেফাজতে আছে। মিথিলেশকেও হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’জনকে এক সঙ্গে জেরা করার পরে ঘটনার চিত্র আরও পরিষ্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|