শেষে মেদিনীপুর ছেড়ে খড়্গপুরের দিকেই গেল হাতির দল। রবিবার রাতে দলটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া রেঞ্জ এলাকা ছেড়ে কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায় পৌঁছয়। সোমবার দিনভর দলটি কলাইকুন্ডা রেঞ্জের জোটিয়ার জঙ্গলে ছিল। দলটির এ বার নয়াগ্রামের দিকে যাওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “হাতির দলটি এখন কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায় রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার উপরজবা-শ্যামনগর এলাকায় ঢুকে পড়ে দলমা থেকে আসা হাতির দলটি। দলটিতে প্রায় ১৩০- ১৪০টি হাতি রয়েছে। সেই শুরু। এর পর থেকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি চলছেই। শুরুতে হাতির দলটি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গোয়ালতোড়ের আমলাগোড়া, হুমগড়-সহ বেশ কিছু এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। পরে কাঁটাপাহাড়িতে আসে। সেখানে থেকে লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিটের অন্তর্গত তালডাঙ্গা। পরে লালগড় পেরিয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দলটি এখানে ছিল। রবিবার দিনভর দলটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল রেঞ্জের শুখনাখালি, ডুমুরকোটা ও তার আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। ৪- ৫টি বাড়ি ভেঙেছে। বেশ কিছু জমির ফসলেরও ক্ষতি করেছে। ওই দিন রাতে দলটি কাঁসাই নদী পেরিয়ে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে।
|
এ বারও শহরে ছাড়পত্র পেল না শিবকাশীতে তৈরি শব্দবাজি ‘সাইরেন’, ‘প্যানসি’, ‘গোল্ডেন এমারেল্ড’, ‘গোল্ডেন সিন্ডারেলা’ ও ‘করনেট’। শব্দের পরিমাপ ৯০ ডেসিবেলের বেশি থাকায় সোমবার তারাতলা নেচার পার্কে কলকাতা পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও দমকলের যৌথ পরীক্ষায় পাশ করেনি সেগুলি। ফলে বিক্রি করা যাবে না। ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) অশোক বিশ্বাস বলেন, “এই নিয়ে শহরে নিষিদ্ধ বাজির সংখ্যা প্রায় একশো।” এ দিকে, অভিযান চালিয়ে কসবা, তারাতলা, গড়িয়া মোড় ও বারুইপুর থানার হাড়াল থেকে ৫০০ কেজি শব্দবাজি আটক হয়। শব্দবাজি তৈরি ও পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয় ৭ জন।
|
অভিযান চালিয়ে আটক শব্দবাজি |
দক্ষিণ শহরতলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শব্দবাজি আটক করল পুলিশ। প্রায় পাঁচশো কেজি শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কসবা, তারাতলা, গড়িয়া মোড় এবং বারুইপুর থানার হারাল এলাকা থেকে ওই শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। শব্দবাজি পাচার ও তৈরি করার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
|
মানুষের হাতে লালিত-পালিত তিনটি অনাথ ভালুকশাবককে মেহাও অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হল। প্রাণীদের অরণ্য পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে অসমের কাজিরাঙা ও অরুণাচলের পাক্কেতে বেড়ে ওঠে ভালুকছানাগুলি। এদের মধ্যে দু’টিকে আগরতলায় উদ্ধার করা হয়েছিল। অন্যটিকে অরুণাচলের সেপায় উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ডব্লিউটিআইয়ের বায়োলজিস্ট সৌম্য দাশগুপ্ত জানান, শাবকগুলিকে এ বার অরণ্যে শিকার করা শেখানো হবে। পরানো হবে রেডিও কলার। এখন অবধি এই ভাবে ৩০টি ভালুক শাবককে অরণ্যে ছাড়া হয়েছে। |