|
|
|
|
পাইলট কার নিয়ে বিশিষ্টরা দেখলেন হলদিয়া পরিস্থিতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সকাল থেকেই সাজো সাজো রব শিল্পশহরে। যতটা না সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরে, তার থেকেও বেশি তৃণমূলপন্থী কিছু বিশিষ্টজনের আসা নিয়ে। তৃণমূলের দলীয় স্তরের পাশাপাশি জোরকদমে প্রস্তুতি চলছিল পুলিশ-প্রশাসনেও। পুলিশ মোতায়েন থেকে পাইলট কার আয়োজনে খামতি ছিল না শুক্রবারের হলদিয়ায়।
ক’দিন ধরেই হলদিয়া বন্দর ঘিরে অচলাবস্থা চলছে। এবিজি-র ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের দাবিতে তৃণমূলের আন্দোলন থেকে শুরু করে এবিজি কর্তাদের অপহরণ একের পর এক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতায় বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বন্দরে কিছুই হয়নি। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনও তাতে সুর মিলিয়েছে। জানিয়েছে, বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা যথাযথ রয়েছে। এবিজি কর্তাদের অপহরণ এবং মারধর করে হলদিয়ার বাইরে বের করে দেওয়ার পর ঘটনাস্থল ‘শঙ্খিনী আবাসনে’ তদন্তে যেতে পুলিশের সময় লেগেছে প্রায় দু’দিন। তৃণমূলপন্থী বিশিষ্ট জনেদের জন্য তড়িঘড়ি নিরাপত্তা আয়োজনে এ দিন কসুর করেনি পুলিশ-প্রশাসন। |
 |
এঁরাই এলেন, দেখলেন। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র |
প্রাক্তন বিচারপতি আর এন রায়-সহ প্রায় ৪০ জনের দলটি এ দিন দেড়টা নাগাদ হলদিয়ায় এসে পৌঁছয়। প্রতিনিধি দলের পোশাকি নাম ‘হাই পাওয়ার কমিটি ফর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। গোটা ছয়েক গাড়ির সামনে ছিল পুলিশের পাইলট কার, একেবারে পিছনে আরও একটি নজরদারি গাড়ি। কোলাঘাটের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকেই পুলিশের নজরদারি গাড়ি বিশিষ্ট জনেদের কনভয়ে যোগ দেয়।
কেন এত আয়োজন? ‘পরে সাংবাদিক বৈঠকে সব বলব’ বলে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা। যদিও শেষমেশ সাংবাদিক বৈঠক না করেই হলদিয়া ছাড়েন তাঁরা। পুলিশের কর্তারাও এই আয়োজনে বাড়াবাড়ি কিছু দেখছেন না। হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “বিশেষ আয়োজন ছিল না। দলে এক জন প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন বলে পাইলট কার দিয়েছিলাম।”
কোথায় কোথায় গেলেন বিশিষ্টরা? ছাঁটাই হওয়া ২৭৫ জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা রানিচকের অবস্থান মঞ্চে গেলেও সুতাহাটার মঞ্চে যাননি। সেখানেই বিক্ষোভ করছেন এবিজি চলে যাওয়ায় কাজ হারানো সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিক। ছাঁটাই শ্রমিকদের সঙ্গে অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বিশিষ্টরা। যে এসএমএস বার্তায় কর্তৃপক্ষ ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছিলেন, সেটি দেখেন। তাঁদের কয়েক জন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউস ‘হলদিয়া ভবনে’ গিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেন। এ দিন বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারেও গিয়েছিলেন বিশিষ্ট জনেরা। বন্দরের ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেননি। বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের কার্যালয়েও (হাতিবেড়িয়ায়) গিয়েছিলেন তাঁরা। বিশিষ্ট জনেদের একটি দল পুরভবনে গিয়ে পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠের সঙ্গে কথা বলেন। কী কথা হয়েছে? তমালিকাদেবী বলেন, “বন্দর নিয়ে, লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে ওঁরা নানা প্রশ্ন করছিলেন। বন্দর আমার এক্তিয়ারে নেই বলে জানিয়েছি। লক্ষ্মণবাবুকে নিয়ে প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছি। আসলে আমি ওঁদের ঠিক চিনতেই পারিনি।” |
|
|
 |
|
|