আপাতত খুশি দুই ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • গঙ্গারামপুর |
আপাতত পেটভরা খাবার ও চিকিৎসা-এই দুইয়ের বন্দোবস্ত হল রাম-লক্ষ্মণের। আনন্দবাজার পত্রিকায় ওই দুই ভাইয়ের কথা প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে পৌঁছে গেল প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি। প্রতি দিন ৪ কেজি চাল দরকার হলেও দুই সহোদরের জন্য তাদের বাবা মা তা জোগাড় করে উঠতে পারছিলেন না। তা নিজে দেখে অবাক দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা খাদ্য নিয়ামক ভাস্কর হালদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলাশাসকের নির্দেশে পঞ্চগ্রামের আদিবাসীপাড়ায় যান ভাস্করবাবু। কিছু পরেই তাদের বাড়িতে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে চালের বস্তা নিয়ে হাজির হয়ে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। দিনমজুর বাবা সোমরা তিরকি ও মা বাণীদেবীকে ৭০০ টাকা ও ১৫ কেজি চাল তুলে দেন নীলাঞ্জনবাবু। দশ বছরের দুই ভাই রাম-লক্ষণের জন্য ৪ পাউন্ড স্লাইজ রুটি এবং গোটা কুড়ি রসগোল্লা কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন খাদ্য নিয়ামক। রাম লক্ষণ তাঁদের বলে, “কাকু আমাদের খুব খিদে পায়। মা বাবা যা দেয়, তাতে পেট ভরে না।” এর পরে প্রতি মাসে ওই হতদরিদ্র পরিবারের জন্য চালের বন্দোবস্ত করে দেন খাদ্য নিয়ামক ভাস্করবাবু। তিনি বলেন, “অসুস্থতার কারণে ছেলে দুটিকে নিয়ে ওই পরিবার খুব সমস্যায়। বিডিও’র মাধ্যমে ওদের সহায়তা করা হবে।” নীলাঞ্জনবাবু কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে হরমোন বিশেষজ্ঞ সতীনাথ মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে রাম-লক্ষণের বিষয়ে জানান। নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “মানবিকতার খাতিরে ওদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামী শুক্রবার রাম লক্ষণ ও পরিবারের লোককে নিয়ে আমরা কলকাতার এসএসকেএমে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ওই চিকিৎসকের কাছে যাব। তার পরে বিশেষজ্ঞের কথামত কাজ হবে।”
|
হাসপাতালে দায়সারা চিকিৎসার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে প্রসবের পরে বাড়ি ফিরেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। কী হল? বাড়ির কাছেই একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে ইউএসজি করে চিকিৎসকেরা তাজ্জব, সদ্য প্রসূতির পেটের মধ্যে রয়ে গিয়েছে আস্ত একটা গজ। অস্ত্রোপচার করে সেই গজ-তুলোর ‘আবর্জনা’ সাফ করা হলেও সরকারি হাসপাতলগুলি যে তাদের ‘দায়সারা’ চিকিৎসার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি নবদ্বীপের ওই সরকারি হাসপাতাল সে কথা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ওই হাসপাতালের সুপার স্বপন দাস ঘটনাটি মেনে নিলেও সাফাই গাইছেন, “আমরা তো জানতে পেরেই নিখরচায় ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করে দিয়েছি।” তাতে কী দায়সারা চিকিৎসার দায় এড়ানো যায়? উত্তর মেলেনি। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর পূর্বস্থলীর দক্ষিণ শ্রীরামপুরের বাসিন্দা উত্তম পালের স্ত্রী সঙ্গীতাদেবীকে ভর্তি করা হয়েছিল ওই হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করে সেখানেই তাঁর প্রসব হয়। সেই সময়েই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ওই কান্ড ঘটান বলে অভিযোগ। |