দিকশূন্যপুরের যাত্রীর স্মরণে থাকছে না আনুষ্ঠানিকতার ছোঁয়াচ। আগামী রবিবার (৪ নভেম্বর), রবীন্দ্রসদনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতি-তর্পণে জড়ো হবেন তাঁর পরিবার, কবি-লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বেরা। তা ছাড়া, সবার জন্যই প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ অবাধ। সচেতন ভাবেই কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীকে ওই সন্ধ্যায় ডাকা হচ্ছে না বলে সুনীলের পরিবার ও সুহৃদদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কবির শেষকৃত্যের সময়ে কার্যত দখল নেওয়ার ভঙ্গিতে মুখ্য ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুনীলের প্রয়াণের পরে তাঁকে স্মরণের আসরটিতে কিন্তু রাজনীতির সংস্রব এড়িয়ে চলতে চান সুহৃদেরা। সুনীলের পরিবার ছাড়াও তাঁর সমসময়ের কবিদের ‘যৌবনের স্পর্ধা’ কৃত্তিবাস পত্রিকার সংগঠকরা রয়েছেন এই অনুষ্ঠানের নেপথ্যে।
সুনীলপুত্র শৌভিক কবি শ্রীজাতকে এই অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিয়েছেন। শ্রীজাত বলেন, “সুনীলদার ঘনিষ্ঠ কবি-লেখক, সংস্কৃতিজগতের কয়েক জন ছাড়া কাউকেই ডাকা হচ্ছে না। তবে কেউ চাইলে নিজে থেকে আসতেই পারেন।” সুনীলের পরিবারের তরফে তাঁর ভায়রাভাই প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাড়ির লোক ও সুনীলদার কাছের লেখকমহলের জন্যই এই অনুষ্ঠান। এখানে রাজনীতিকদের ডাকার সুযোগ নেই।”
স্মরণ-সন্ধ্যার কর্মসূচি দু-এক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, সুনীলের অগ্রজ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন প্রমুখ স্মৃতিচারণ করবেন। রবীন্দ্রনাথের গান গাইবেন মোহন সিংহ ও প্রমিতা মল্লিক। সুনীলের কিছু কবিতা পড়া হবে। সব মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার পরিসর। কৃত্তিবাসের যে কোনও অনুষ্ঠানের রীতি মেনেই দু’টি বাঁধাধরা সমবেতগান থাকবে শুরুতে ও শেষে। তা-ও রবীন্দ্রসঙ্গীত, ‘জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি’ ও ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’। |