অভিযোগের তিন দিনের মাথায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের পুত্র সপ্তর্ষি। বিধাননগর এসিজেএম আদালতে সপ্তর্ষি-সহ অভিযুক্ত চার জনেরই দু’হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

জামিন পাওয়ার
পরে সপ্তর্ষি দেব।
—নিজস্ব চিত্র |
আদালত থেকে বেরিয়ে শুক্রবার সপ্তর্ষির পাল্টা অভিযোগ, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই তাঁর বাবাকে নিশানা করা হয়েছে। তবে এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এসএফআই এবং টিএমসিপি, দু’তরফই সমালোচনায় সরব। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তাদের কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ সাজানো এই ঘটনায় পুলিশ ‘অতি-সক্রিয়’ হয়ে উঠল। আবার টিএমসিপি-র অভিযোগ, বিধাননগর কলেজের ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টার মতো অভিযোগ থাকলেও দু’দিনে সপ্তর্ষি-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার দূর অস্ত, জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয়নি। তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভক্ষণ দত্তের অভিযোগ, “গৌতম দেবের ছেলে বলেই ঘটনাটিকে লঘু করতে জামিনযোগ্য ধারা দিল পুলিশ! অথচ এফআইআরে ওই ছাত্রী তাঁকে গাড়ি চাপা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।”
সপ্তর্ষির পাল্টা বক্তব্য, গৌতমবাবুকে আক্রমণ করতেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর পরেও তিনি ফের বিধাননগর কলেজে রাজনীতি করতে যাবেন বলে সপ্তর্ষি জানান। অভিযোগকারিণী সম্পর্কে তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই ছাত্রীকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সরকারি ভাবে মন্তব্য করা হয়নি। তবে এক পুলিশ-কর্তা জানান, ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ধারা দেওয়া হয়েছে। |