ধরা পড়ল সেই দলছুট গন্ডার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
|
সন্ধান চলছে পবিতরার গন্ডারের। ছবি:উজ্জ্বল দেব |
|
অবশেষে ধরা দিল পবিতরার ঘরছুট গন্ডার। সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে বন দফতরকে নাকানি-চোবানি খাওয়ানোর পরে আজ তাকে ঘুমপাড়ানি ওষুধ ছুড়ে কাবু করা হয়। রাতে আনা হয় চিড়িয়াখানায়। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বন্যার তোড়ে কোনওভাবে পবিতরা অভয়ারণ্য থেকে ভেসে শুয়ালকুচির কাছে রানি চাপোড়িতে হাজির হয় গন্ডারটি। চারিদিকে জল থাকায় তাকে ঘুমপাড়ানি ওষুধে কাবু করা সম্ভব হয়নি। বন বিভাগ ও বিমান বাহিনী দুই দফায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে গন্ডারটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গন্ডার উদ্ধারে উৎসাহ দিতে, খোদ বনমন্ত্রী ও প্রধান মুখ্য বনপাল ডিঙি নৌকা চেপে চরে হাজির হয়েছিলেন। সামান্য জখমও ছিল গন্ডারটি। দুই দিন আগে সে হঠাৎ রানিচাপোড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। আবার আজ পলাশবাড়িতে তার দেখা মেলে। সেখানেই, পশুচিকিৎসেরা তাকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে অবশ করেন। গন্ডারটিকে আপাতত চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে। সুস্থ হলে, তাকে সম্ভবত মানস জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হবে।
|
লুনা মথের সন্ধান মিলল শিবসাগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এই প্রজাতিরই খোঁজ মিলেছে।ভারত তথা এশিয়ায় প্রথমবার দেখা মিলল লুনা মথ বা অ্যাকটিয়াস লুনার। এমনটাই দাবি করছেন, পশুপ্রেমী সংস্থা সেভেন লুক-এর কর্তা পলাশরঞ্জন গোস্বামী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মথ প্রজাতির অন্যতম এই মথ হালকা সবুজ রংয়ের হয়। ডানার বিস্তার ৭৫ থেকে ১১৪ মিলিমিটার অবধি। প্রধানত উত্তর আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোতে লুনা মথ দেখা যায়। ভারতে দেখা মেলে এক নিকটাত্মীয় ইন্ডিায়ন লুনা মথের। কিন্তু এই প্রথমবার অসমে লুনা মথ থাকার নিশ্চিত প্রমাণ নথিভুক্ত হয়েছে। পলাশবাবু জানান, ২০১০ সালের জুলাই মাসে, প্রথমবার, তাঁরা শিবসাগরের অভয়পুর সংরক্ষিত অরণ্যে এদের দেখা পান। এই বছর অগস্টে ফের লুনা মথের দেখা মেলে একই এলাকায়। তাঁর দাবি, মথটির ছবি বিশদে যাচাই করে পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত এটি লুনা মথই। শিবসাগর, নাগাল্যান্ড ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী, ‘বায়োলজিক্যাল হটস্পট’ হটস্পট অভয়পুর। বর্তমানে বাঘ ও উলুক এই অরণ্য থেকে উধাও হলেওবর্তমানে অভয়পুরে, চিতাবাঘ, হাতি, বার্কি ডিয়ার, বুনো শুয়োর, স্লো লরিস, চিনা প্যাঙ্গোলিন, সজারু, নানা ধরণের সাপ, সরীসৃপ, পাখি ও প্রজাপতির আস্তানা রয়েছে। লুনা মথের উপস্থিতি তার জীববৈচিত্র্যে নবতম সংযোজন।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জলদাপাড়া ঢোকার নতুন পথ তৈরি করছে বন দফতর। পর্যটকেরা ‘কার সাফারি’ও করতে পারবেন এই পথে। এ বার থেকে শালকুমারহাট দিয়েই জলদাপাড়া জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি পাবেন পর্যটকরা। এত দিন পর্যন্ত জলদাপাড়ার জঙ্গলে পযর্টকদের শুধুমাত্র মাদারিহাট এলাকা দিয়েই প্রবেশের অনুমতি ছিল। শালকুমার হাটের রাস্তাটি এর আগে সাধারণের ব্যবহারের জন্য চালু করেনি বনদফতর। শীতের মরসুম শুরুর মুখেই শালকুমারহাটের পশ্চিম জলদাপাড়া রেঞ্জ দিয়ে জঙ্গলে কার সাফারির অনুমতি মিলবে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানান, “দীর্ঘদিন ওই রাস্তা দিয়ে জলদাপাড়া ঢোকার জন্য দাবি ওঠে। অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুজোর পরেই ওই রাস্তা দিয়ে জলদাপাড়া জঙ্গলে পর্যটকদের কার সাফারির অনুমতি দেওয়া হবে।” মাদারিহাট থেকে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে তিন দফায় মোট ৩০টি গাড়ির কার সাফারি অনুমতি রয়েছে। হরিণডাঙ্গা টাওয়ার ও জলদাপাড়া টাওয়ারে যেতে হয় পর্যটকদের। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও হলং বাংলো পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এবার থেকে শালকুমারহাট এলাকার পাশেও পশ্চিম জলদপাড়া রেঞ্জে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নতুন কাউন্টার খোলা হবে। ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “ডিসেম্বরে রাস্তাটি খোলা হবে বলে ঠিক হয়েছে।”
|
নন্দনকাননে সিংহীর আক্রমণে জখম সূর্যনারায়ণ দাসের অবস্থা সঙ্কটজনক। গলায়, পিঠে, হাতে গভীর ক্ষত নিয়ে শুক্রবার ভুবনেশ্বরের এক হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল এসসিবি মেডিক্যাল কলেজের অস্ত্রোপচার বিভাগে। নন্দনকানন বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সিংহের খাঁচায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তি। খাঁচায় থাকা সিংহীর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি।
|
রবিবার এগরা কলেজ, এগরা ঝাটুলাল হাইস্কুল ও এগরা স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে ৬০০টি গাছের চারা লাগালেন এগরা যুবচেতনা সংস্থার সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-অধ্যাপকরা।
|
৯ ফুট লম্বা ময়ালটিকে দেখে আতঙ্কে অনেকেই লাঠিপেটা করে। কিছু বাসিন্দা অবশ্য তাঁদের থামিয়ে দেন। তাঁরাই শেষে বনকর্মীদের ডেকে সাপটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। রবিবার সকালে পাড়া থানার কালুহার গ্রামের ঘটনা। পাড়ার ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “কিছু বাসিন্দার মারে ময়ালটি জখম হয়েছে। পুরুলিয়ার সুরুলিয়াতে তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে উঠলে সাপটিকে আমরা জঙ্গলে ছাড়ব।”
|
বাড়ছে গাঙ্গেয় শুশুকের সংখ্যা। বন দফতরের এক সমীক্ষা থেকে উঠে এল এই তথ্য। ৩ দিনের ওই সমীক্ষায় দেখা মিলল প্রায় ৫ ডজন গাঙ্গেয় শুশুকের।
|
হাতির হামলায় বৃদ্ধার মৃত্যু |
দলছুট হাতির হামলায় গত বৃহস্পতিবার এক দম্পতির মৃত্যুর পর আবার হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটল এক বৃদ্ধার। ভাঙল বেশ কিছু বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের বাক্সা জেলায়। পুলিশ জানায়, ভুটানের পাহাড় থেকে আসা হাতিটি বৃহস্পতিবার দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নাগরিজুলির খুন্তি গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। ওই দিন তার সামনে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান মহীপাল বর্মণ ও তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা বর্মণ। বেশ কিছু বাড়িও ভাঙে হাতিটি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা বনদফতরে খবর দিলেও বনকর্মীরা হাতিটিকে ভুটানে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেননি। গত কাল রাতে, হাতিটি আবার কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। হাতির পায়ে পিষ্ট হন ডলি আলদি নামে ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা। |