বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের ঈশ্বরপ্রাপ্তিতে
ফ্যাসাদে নোবেল কমিটি

থায় বলে, ঈশ্বর মেলা কি অত সহজ?
হক কথা! কাজটা খুব একটা সহজে হয়নি বটে। বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে জানা গিয়েছে, সে আছে!
সে দিনটা ছিল ৪ জুলাই। হিগস্-বোসন ওরফে ‘ঈশ্বর কণা’ আছে, সার্নের বিজ্ঞানীদের এই ঘোষণার পর বলা হয়েছিল, পদার্থবিদ্যার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম।
কিন্তু পদার্থবিদ্যার ‘ঈশ্বরপ্রাপ্তি’র পরও যে থাকবে এত রকম ঝঞ্ঝাট, তা কে জানত! এত দিন পর্যন্ত ঈশ্বরকণা খুঁজতে মাথা কুটেছেন সার্নের বিজ্ঞানীকুল। আর তাকে খুঁজে পাওয়ার পর ঝঞ্ঝাটের তিরটা ঘুরে গিয়েছে নোবেল কমিটির দিকে।
পদার্থবিদ্যায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার কথা মঙ্গলবার। কিন্তু হিগস্-বোসন নিয়ে রীতিমতো বিপাকে নোবেল কমিটি। ঈশ্বরকণার আবিষ্কার যে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা, এ ব্যাপারে একমত সকলেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেটা কি নোবেল পাওয়ার মতো ঘটনা? বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, পদার্থের ভর থাকে কেন, তা এই কণার সাহায্যেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব। একে ছাড়া মহাবিশ্বের অস্তিত্বই থাকত না। ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স-এর পিটার নাইটের কথায়, “এটা হল ডিএনএ আবিষ্কারের পদার্থবিদ্যা সংস্করণ!” কিন্তু এত সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের কপালে নোবেলের শিকে ছিড়বে কি না, তা জানা নেই কারও। নোবেল কমিটির বক্তব্য? “এটা একটা বিরাট আবিষ্কার”, স্রেফ এইটুকু বলেই দায় সেরেছেন কমিটির সদস্য লার্স ব্রিঙ্ক! এর সঙ্গে আছে খোদ হিগস্-বোসন কণাকে নিয়েই একটা সূক্ষ্ম অনিশ্চয়তা। ৪ জুলাই সার্নের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, এমন একটা কণা তাঁরা পেয়েছেন যার ভর তাঁদের হিসেব করা হিগস্-বোসন কণার ভরের খুব কাছাকাছি। কিন্তু ওটাই হিগস্-বোসন, এ কথা তাঁরা জোর দিয়ে বলেননি। এটাকে হাতিয়ার করেই অনেকে বলতে শুরু করেছেন,
হিগস্-বোসনের অস্তিত্ব তো এখনও নিশ্চিত ভাবে প্রমাণই হয়নি। তা হলে নোবেলের প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে?
এই যুক্তি-পাল্টা যুক্তি পেরিয়ে যদি শেষ পর্যন্ত ‘নোবেলযোগ্য’ বলে বিবেচিত হয় এই আবিষ্কার, তা হলে পরের সমস্যাটা আরও জটিল। সেটা হল, কাকে দেওয়া হবে এই পুরস্কার? এ ক্ষেত্রে লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছে খানিকটা পিটার হিগস্ বনাম সার্নের।
কী রকম? ভরের গোলমাল ব্যাখ্যা করার জন্য একটা নতুন কণার ধারণা (অর্থাৎ হিগস্-বোসন কণা) প্রথম দিয়েছিলেন পিটার হিগস্। স্বাভাবিক ভাবেই নোবেলের দাবিদার হিসেবে তাঁর নামটাই উঠে আসছে প্রথমে। কিন্তু স্বয়ং পিটার হিগস্ এ কথা স্বীকার করেছেন, কণার উপস্থিতির বিষয়টা তার মাথা থেকে বেরোলেও সেটাকে পরীক্ষানিরীক্ষা করে হাতেগরম তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজটার পিছনে রয়েছেন আরও বহু বিজ্ঞানী। এর মধ্যেই নোবেল কমিটির সমস্যা আরও বাড়িয়েছে গোটা বিষয়টার মধ্যে সার্নের বিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্তি। জেনিভার কাছে সার্নের গবেষণাগারে কয়েক হাজার পদার্থবিদ মাসের পর মাস পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন ঈশ্বরকণার খোঁজে। নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী কোনও সংগঠনকেও নোবেল দেওয়া যেতে পারে। তা হলে কি সার্ন-এর হাতে উঠতে পারে নোবেল? সার্নের বিজ্ঞানী জন এলিস কিন্তু বলছেন, “নোবেলটা শেষমেশ হিগস্ই পাবেন। তবে এ বছর নয়। অনেক দেরিতে ব্যাপারটা জানা গিয়েছে। তা ছাড়া, কণার উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত নয়।”
কী বলছে নোবেল কমিটি? পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার কমিটির সেক্রেটারি লার্স বার্গস্ট্রোয়েমের কথায়, “সংগঠনকে নোবেল দিতে নিয়মের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। শান্তি পুরস্কারের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেই থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের নোবেল সাধারণত ব্যক্তিবিশেষকেই দেওয়া হয়ে থাকে। যোগ্যতম ব্যক্তির হাতেই প্রতি বছর ওঠে এই পুরস্কার।”

ইসরোর পরিকল্পনা
আগামী পাঁচ বছরে ৫৮টি মহাকাশ অভিযান চালাবে ইসরো। চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানেরও পরিকল্পনা আছে তাদের। দেশে নজরদারির জন্য বিশেষ উপগ্রহও পাঠাবে তারা।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.