|
|
|
|
আমাদের চিঠি |
|
আড়াই বছর ধরে বেতনবৃদ্ধি হয়নি |
‘আমাদের চিঠি’ বিভাগে সবুজবরণ সরকার ও সবুজাক্ষ দাসের পত্রাঘাতে (২৭-০৮) আমরা বিচলিত, পীড়িত এবং অপমানিত। সবুজবরণবাবুর চিঠি পড়ে মনে হয়েছে উনি পরশ্রীকাতর, অহংবোধসম্পন্ন ও বাস্তববোধ বিবর্জিত ব্যক্তি। ওঁর জ্ঞাতার্থে নিবেদন করিপার্শ্বশিক্ষকদের কাজকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথমত ‘রেমেডিয়াল টিচিং’, দ্বিতীয়ত ‘চাইল্ড ট্র্যাকিং’ এবং তৃতীয়ত ‘টিএলএম’ প্রস্তুতি ও তার প্রয়োগ। পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পার্শ্বশিক্ষকেরা নিজেদের কাজ ছাড়াও অন্যান্য বহু কাজ করতে বাধ্য হয়। বিদ্যালয়ের দুর্বল ছাত্রদের ‘শ্রেণির উপযুক্ত’ করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ বিদ্যালয়গুলি পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে নিতে পারেনি। ফলে ইচ্ছে থাকলেও কোনও রেমেডিয়াল ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রত্যন্ত গ্রামের বিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী দুর্বল শ্রেণিভুক্ত হওয়ায় তাদের শ্রেণির উপযুক্ত করার মতো গুরুদায়িত্ব আসে পার্শ্বশিক্ষকদের কাঁধে। আমরা ২,০০০ টাকা বেতনে সপ্তাহে ৬ দিন শ্রম দিয়েছি। তা হলে ৭,৪২৫ টাকা বেতনে সপ্তাহে ৬ দিন শ্রম দেব না কেন? এর পিছনে আছে সরকারি নির্দেশিকা। ৪ দিন বিদ্যালয়শিক্ষক এবং ২ দিন পাড়াশিক্ষক। চাইল্ড ট্র্যাকিংয়ের কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। স্কুলে কতদিন অনুপস্থিত থাকলে স্কুলছুটের তালিকাভুক্ত হবে, কেউ জানে না! ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রশ্ন, বিদ্যালয়ের ৩ কিমি ব্যাসার্ধের গ্রামগুলি থেকে যে-সব ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে আসেতাদের বাড়ির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত খরচ কেন দেওয়া হবে না! এ ছাড়াও আপনাদের মূল্যায়ন যথার্থ নয়, কারণ গত আড়াই বছর ধরে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হয়নি। সবুজাক্ষবাবুর উদ্দেশে বলি, আপনি আত্মপ্রচারক ও বাকসর্বস্ব। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আপনি যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা অবান্তর। পার্শ্বশিক্ষক সমাজ সম্পর্কে আপনাদের সম্যক ধারণা না থাকায় আপনারা যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন, তা আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বড়। এ লজ্জা আপনি কোথায় রাখবেন?
বিদ্যুৎ দত্ত। পার্শ্বশিক্ষক, তারাপীঠ তারাতীর্থ বিদ্যামন্দির, তারাপীঠ, বীরভূম
|
সরকারকে ভাবতে দিন |
গত ২৭ অগস্ট ‘আমাদের চিঠি’ বিভাগে সবুজবরণ সরকার ও সবুজাক্ষ দাসের লেখা দুটি পড়ে মনে হল, পার্শ্বশিক্ষকরা বোধহয় ওঁদের গাত্রদাহ বা ভয়ের কারণ। বর্তমানে আমরা ৬০ বছর পর্যন্ত স্কুলে কাজ করতে পারব। এ ব্যাপারে সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বুঝে পাচ্ছি না, আমরা যদি দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের কাছে যাই, আপনাদের কান পাকার কী আছে? আপনারা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে চাকরি করেও কি সরকারি কর্মচারীদের মতোই সুযোগের জন্য গলা ফাটান না? আসলে সমাজে একটু কান পাতলেই বুঝবেন, আমাদের জনপ্রিয়তা এখন কোথায় পৌঁছেছে। আর উল্টো দিকে, এত বেতন পাওয়া সত্ত্বেও আপনারা আপনাদের যোগ্যতা এখনও প্রমাণ করতে পারলেন না? কথায় বলে, ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও’। দয়া করে আমাদের কথা ভাবা বন্ধ করুন। তার জন্য সরকার আছে।
সুমন চক্রবর্তী। পার্শ্বশিক্ষক, পাঁচথুপি টি এন আই, পাঁচথুপি, মুর্শিদাবাদ।
|
অমানবিক, অরুচিকর মন্তব্য |
পার্শ্বশিক্ষক-পার্শ্বশিক্ষিকাদের উদ্দেশে সবুজবরণ সরকার ও সবুজাক্ষ দাসের অরুচিকর মন্তব্য সমন্বিত চিঠিতে (২৭ অগস্ট) ওঁদের হীন মানসিকতার পরিচয় পেলাম। তাতে এই ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছি যেযাঁরা জাগরণের বেশির ভাগ সময়টাই যে সহকর্মীদের সঙ্গে কাটান তাঁদের প্রতিই সহমর্মী নন, অথচ তাঁরাই নাকি জাতির মেরুদণ্ড! এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, এসএসসি-র শিক্ষক নির্বাচন নির্বাচন পদ্ধতি যতই উন্নত হোক না কেন, এসএসসি-র দরজা দিয়েও কিছু অনধিকার প্রবেশ ঘটেছে। ওঁরা পার্শ্বশিক্ষকদের ব্যাপারে সমস্ত নিয়মনীতি যা সরকার নির্দেশিত, সেই বিষয়ে অবগত না হয়েই কিছু অমানবিক ও অশ্লীল মন্তব্য পেশ করেছেন। কয়েকটি বিষয় ওঁদের অবগত করতে চাই। প্রথমত, সরকারি নিয়মানুযায়ী পার্শ্বশিক্ষকরা আর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নন। তাঁরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত বিনা বাধায় ও সসম্মান স্কুলে শিক্ষকতা করতে সক্ষম। দ্বিতীয়ত, পার্শ্বশিক্ষকরা শুধু নিজেদের দায়িত্বটুকুই যদি পালন করতেন, স্কুলের সমস্ত ব্যাপারেই যদি অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত না থাকতেনতা হলে কি ক্রমান্বয়ে কার্যক্ষেত্রে তাঁদের এতটা উন্নতি সম্ভব হত? আপনাদের মতো হীন মানসিকতার শিক্ষকরা কি ফাঁকি দিয়ে এতটা আরামে চাকরি করতে পারতেন? তৃতীয়ত, সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের উন্নতিকল্পে যা-ই করুন না কেন, তাতে আপনাদের মতো শিক্ষকের পকেটে একটুও টান পরবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন। সবুজাক্ষবাবু, আপনি একজন পার্শ্বশিক্ষকের তুলনায় কমপক্ষে চারগুণ বেশি বেতন পেলেও, স্কুলে এসে চারগুণ বেশি কাজ করেন কি?
পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, রামপুরহাট রেলওয়ে আদর্শ বিদ্যামন্দির, রামপুরহাট, বীরভূম।
|
রেল পরিষেবা বেহাল |
জনস্বার্থে ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ ট্রেনটি চালু করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ। কর্মসূত্রে এই পত্রকারকে প্রায়ই ট্রেনটিতে চড়ে দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করতে হয়। সঠিক পরিষেবা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিনকে দিন ট্রেনটিতে যাতায়াত বড়ই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। কামরাগুলি এতই অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা যে, বসে যাওয়াও দুষ্কর। ট্রেনটিতে নির্দিষ্ট যে ক’টি শৌচাগার আছে, তা নরককুণ্ডে পরিণত। জল বা আলো না থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য। তার উপরে যন্ত্রাংশের অধিকাংশই ভাঙা। শুনেছি, যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যে রেলমন্ত্রক নাকি সব সময়েই তৎপর। জানতে ইচ্ছে করে, তা কি শুধুই উচ্চ শ্রেণি ও বিশেষ কিছু ট্রেনের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ? রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অশোক মল্লিক। নতুনডিহি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম।
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|