নাগরি বিতর্ক
সোমবার থেকে রাঁচি জুড়ে চাক্কা জ্যামের ডাক
নাগরির কৃষিজমি সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান সূত্র এখনও অধরাই। নগরির আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে শিবু সোরেন নিজে গিয়ে দাঁড়ালেও এখনও কেন জট কাটল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ, রাজ্যের জোট সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক জেএমএম ও আজসু এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে। এরপরেও জট কাটার কোনও লক্ষণ দেখা না যাওয়ায়, আঙুল উঠছে সরকারের প্রধান শরিক বিজেপি-র দিকেই। এই পরিস্থিতিতে, আগামী পয়লা অক্টোবর রাঁচি জেলা জুড়ে ‘চাক্কা জ্যাম’-এর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নাগরির ‘জমিন বাঁচাও’ সমিতি। আজ নাগরির জমি আন্দোলনের নেত্রী দয়ামণি বারলা বলেন, “রাজ্যের জোট সরকারের দুই শরিক জেএমএম এবং আজসু কৃষকদের পক্ষে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বিজেপি কৃষকদের দাবি মানতে চাইছে না। মূলত বিজেপি-র জন্যই জমি বিতর্কের জট খুলছে না।”
দয়ামণির অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন এবং ডাহা মিথ্যা’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী। কোনও রকম রাখ-ঢাক না-করেই তিনি বল ঠেলেছেন জেএমএমের কোর্টেই। তিনি বলেন, “নাগরির জমি বিরোধের সমাধান সূত্র খোঁজার দায়িত্ব তো জেএমএম-এর উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। বিতর্কের সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী একটি উচ্চক্ষমতার কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। ওই কমিটির প্রধান তো জেএমএম নেতা তথা রাজ্যের ভূমিমন্ত্রী মথুরাপ্রসাদ মাহাত স্বয়ং। এর পরেও বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপানো আসলে রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক প্রচার ছাড়া আর কি হতে পারে!”
সরকারি সূত্রের খবর, নাগরির ওই জমিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। কিন্তু আন্দোলনের ফলে এবং জমিতে জোর করে চাষ-আবাদ হওয়ায় নির্মাণ কাজ এখনও সে ভাবে চালুই করা যায়নি। ৩ অক্টোবর নাগরির জমি সংক্রান্ত সরকারি রিপোর্টটি হাইকোর্টে পেশের কথা।
আজ নাগরির জমি আন্দোলনের নেতারা জানান, পুজোর আগে জমি বিরোধের নিষ্পত্তি না-হলে শারদোৎসবের পর আন্দোলনকে আরও জোরদার করা হবে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সুশীল সমাজের ধাঁচে, রাজ্যের বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বকে নাগরির জমি আন্দোলনের সঙ্গে শামিল করারও চেষ্টা হচ্ছে। যদিও দয়ামণি মমতার আন্দোলনের অনুকরণের অভিযোগ অশ্বীকার করেছেন। প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা উঠলে তৃণমূল নেত্রীর নাম না করে নাগরির জমি আন্দোলনের নেত্রী বলেন, “কোনও রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক দলের অনুকরণে আমাদের আন্দোলন চলছে না। ঝাড়খণ্ডবাসী জানেন কী করে, কোনও পথে আন্দোলন করতে হয়।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.