|
|
|
|
|
ঘর গোছানোর পালা |
পুজোর তো দেরি আছে। আপাতত শপিং-উৎসবে মাতোয়ারা প্রাণ। কিন্তু ঘরখানাকে
ধাপার মাঠ বানিয়ে রাখলে নতুনদের ঠাঁই হবে কোথায়? একটু গুছিয়ে নিন বরং। |
সামনে উৎসব। কেনাকাটার মরশুমও শুরু। আজ জামাকাপড়, তো কাল ফার্নিশিং, আজ অ্যাকসেসরিজ, তো কাল প্রসাধনী। এক বারও কি দেখেছেন, আপনার কেনার ঠেলায় ঘরের কেমন নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে? অ্যাকসেসরিজ চাপা পড়ে গিয়েছে জামাকাপড়ের স্তূপে। নতুন মেক আপ-এর সেট সামনে বসানো, তাই পুরনো কসমেটিক্সগুলো খুঁজতে প্রায় পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু একটু আগেভাগে ছক কষে এগিয়ে দেখুন না! কয়েকটা জিনিস একটু ঠিক ঠিক জায়গায় পুরে ফেললে বা সাজিয়ে নিলেই কিন্তু নতুন কেনা জিনিস রাখার জায়গা হাতড়াতে হবে না। জায়গা মতো টপাটপ পুরে ফেলতে পারবেন। কী করে? দেখে নেওয়া যাক!
|
ড্রয়ার কতটা কাজের, জানেন নিশ্চয়ই। কিন্তু ড্রয়ার কতটা অ-কাজের জানেন কি? না ভেবেচিন্তে জিনিস ঢোকানোর সেরা জায়গা এটা। ওপর ওপর জিনিস পুরতে থাকলে এক সময় এমন বোঝাই হয়ে যায়, খোলা-বন্ধ করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি এক-একটা ড্রয়ারে এক-এক ধরনের জিনিস রাখতে পারেন। যেমন একটায় পুরনো ম্যাগাজিন, একটায় খাম-পেন-পেনসিল-গ্লু, একটায় টুকটাক সাজের জিনিস ইত্যাদি। ড্রয়ারের মধ্যে ছোট ছোট পার্টিশান-এর ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল। তা হলে জিনিসপত্র একটা অন্যটার ঘাড়ে উঠে যাবে না। না হলেও উপায় আছে। কাগজপত্র কয়েকটি পলিথিনের ফাইলে রাখতে পারেন। এতে নষ্টও হবে না, দেখতে অগোছালোও লাগবে না। ছোট ছোট আইসক্রিমের কাপে সেফটিপিন, রাবার ব্যান্ড, ক্লিপ রেখে দিতে পারেন। পরিষ্কার লাগবে।
|
|
একে তো পুরনো জুতোর স্তূপ, তার ওপর আবার নতুনও ক্রমাগত আসছে। এক দিন সময় করে শু র্যাকে সব ক’টা পুরে ফেলুন। এ বার একটা কাগজে প্রত্যেকটা র্যাকের নম্বর, আর তার পাশে সেই র্যাকে কী কী জুতো আছে, সব লিখে টাঙিয়ে দিন শুর্যাকের গায়ে। দরকার মতো টুক করে বের করে নিন। বের করার সময় একটুও হাতড়াতে হবে না। ওপেন শুর্যাক হলে আবার নতুন জুতো নিয়ে ঝামেলা। ধুলো পড়তে পারে। বাক্সে পুরে রাখুন, বা প্লাস্টিক প্যাকেট-এ মুড়ে রাখুন। প্যাকেটের গায়ে কিন্তু কোন জুতোটা ঢোকালেন, লিখতে ভুলবেন না। |
|
সোফা বা কাউচের ওপর প্রচুর পিলো-কুশন এলোমেলো করে রাখায় বড় সুখ। যখন খুশি গা এলিয়ে দিলেই হল।
কিন্তু আপাতত সেগুলো সরিয়ে দিন। এর মধ্যে দরকারি জিনিস ঢুকে থাকলে নাকালের একশেষ হবেন।
পুজোর মুখে ঢাকা পাল্টানো বা কাচার জন্যও প্রচুর সময় খরচ হবে। |
|
ড্রেসার-এর সামনের জায়গাটা দেখেছেন? কসমেটিক্স, ব্যাঙ্গল্স, হার, দুল, সেফটিপিন, রাবার ব্যান্ড সব এ ওর ঘাড়ে চেপে বসে। রোজ যে প্রসাধনী আপনার দরকার পড়ে, সেগুলো একখানা ট্রে-তে সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলুন। স্বচ্ছ প্লাস্টিকের দু-তিনটে বাক্স নিয়ে একটাতে হার, অন্যটাতে দুল রেখে দিন। ব্যাঙ্গলগুলো ঝোলানোর জন্য ব্যাঙ্গল ট্রি ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো মেক আপ বক্স থাকলে তা ব্যবহার করুন নতুন প্রসাধনী রাখার জন্য। নতুন-পুরনো মিশে যাবে না, আবার মাঝে মধ্যে খুলে দেখেও নিতে পারবেন আর কী কী কেনা দরকার। |
|
বাড়িতে খুদে সদস্যরা থাকলে তো কথাই নেই। গোছানো ঘর নিমেষে খেলার মাঠ। খুব দামিগুলো ওর নাগালের মধ্যে রাখবেন না। প্রয়োজন মতো পেড়ে দেবেন। প্রতি দিন যেগুলো নাড়াঘাঁটা করে, সেগুলোকে একটা ব্যাকপ্যাক, বা হ্যান্ডল দেওয়া বড় কাপড়ের ব্যাগে ভরে রাখুন। হ্যান্ডল থাকলে ও নিজেই এ ঘর-সে ঘর টেনে নিয়ে যেতে পারবে। চার দিকে ছড়িয়ে ফেললেও ব্যাগে পুরতে সময় কম লাগবে। পুরনো লন্ড্রি ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। |
|
|
|
|
|
|
|