কলকাতায় ফৌজি সম্মান প্রণবকে |
চার দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজ্যে আসছেন। ওই দিন বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার তরফে একযোগে তাঁকে ‘রাষ্ট্রীয় সেলামি’ দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেবেন স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর জওয়ানেরা। শুক্রবার সরকারি সূত্রে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, নতুন রাষ্ট্রপতি তাঁর পদে আসীন হওয়ার পরে প্রথমে যে-রাজ্যের রাজধানী সফর করেন, সেখানে ওই সফরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে প্রণববাবু পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেই প্রথম আসছেন। তাই ওই সফরের জন্য এখন থেকেই প্রশাসনিক মহলে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৪ তারিখে কলকাতায় পৌঁছে রাষ্ট্রপতি বিমানবন্দর থেকে যাবেন রাজভবনে। সেখানেই রাত কাটাবেন। শনিবার দুপুরে তিনি যাবেন খড়্গপুর আইআইটি-তে। আইআইটি-র হীরক জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে থাকবেন রাজভবনেই। পরের দিন, রবিবার প্রণববাবু কলকাতায় থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর সে-দিনের কোনও কর্মসূচি সরকারি ভাবে জানা যায়নি। ১৭ তারিখে প্রণববাবুর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।
|
অসংগঠিত ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতনের দাবি ইউটিইউসির |
অসংগঠিত ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতন ঠিক করার জন্য কমিটি গড়তে শ্রমমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাল বাম শরিক আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি। রাজ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের ঘটনা মোকাবিলায় সরকারকে আরও কড়া হওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা। রাজ্য জুড়ে নানা ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য শুক্রবার ‘দাবি দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছিল ইউটিইউসি। ধর্মতলায় সমাবেশ করে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে দেখা করতে যায়। অশোকবাবু পরে বলেন, “আমরা চাই, অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য একটি ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হোক, যা রাজ্যের সর্বত্র প্রযোজ্য হবে এবং তার কম বেতনে কোথাও কোনও নিয়োগ চলবে না। এই ন্যূনতম বেতন ঠিক করার জন্য বেতন কমিটি গড়ার দাবি জানিয়েছি। শ্রমমন্ত্রী বিষয়টি মাথায় রাখার কথা বলেছেন।” সমাবেশে ইউটিইউসি নেতৃত্ব বলেন, শ্রম আইন মানা না-হলে এবং ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা না-থাকলে শ্রমিকদের ক্ষোভ, অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ বাড়বে। চা-বাগানের শ্রমিকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও তাঁদের জন্য জমির অধিকার দেওয়ার দাবিও তুলেছেন অশোকবাবুরা। চা-বাগানে ইউটিইউসি-র সংগঠন শক্তিশালী।
|
অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের জন্য রাজ্যে চাষের পরিস্থিতি ভাল নয়। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে স্মারকলিপি দেয় সিপিএম নেতা মদন ঘোষের নেতৃত্বে বামপন্থী কৃষিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কৃষক সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক ডাকুন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “ওঁরা খরা ঘোষণা করতে বলেছেন। পরিস্থিতি তা নয়।”
|
আর গাড়ি নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরে সচিবেরা যাবেন ভলভো বাসে। ২৯ অগস্ট সফর শুরু। মুখ্যমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনেও যাবেন। |