|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা
|
কমিউনিটি সেন্টার |
দরিদ্রসেবা |
কৌশিক ঘোষ |
দরিদ্রদের জন্য বেলগাছিয়া রোডের (ক্ষুদিরাম বসু সরণি) উদ্বাস্তু কলোনিতে ‘কমিউনিটি সেন্টার’ তৈরির কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। একই সঙ্গে শহরের আরও কয়েকটি বস্তিতে ‘কমিউনিটি সেন্টার’ তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দরিদ্রদের জন্য বস্তি এবং কলোনি অঞ্চলে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা এই পুরবোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সমস্ত কাউন্সিলরকেই এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সব ওয়ার্ড থেকে প্রস্তাব আসেনি। উত্তর কলকাতায় কাজ শুরু হয়েছে।” |
|
মেয়র পারিষদ (বস্তি) অতীন ঘোষ বলেন, “শহরের নানা ওয়ার্ডের বস্তি, কলোনি এবং সংলগ্ন এলাকার দরিদ্রদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে শুধু এলাকার দরিদ্র মানুষেরাই কম খরচে অনুষ্ঠান করতে পারবেন।” বস্তি বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “আপাতত উত্তর কলকাতার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বেলগাছিয়া রোডে কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ বা পূর্ব কলকাতায় এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। বাগবাজার এলাকার একটি বস্তির জন্যও প্রস্তাব এসেছে।” পুর-কর্তৃপক্ষের ধারণা, জায়গার অভাবের জন্যই এই প্রকল্পে প্রস্তাব আসতে দেরি হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বেলগাছিয়া রোডের এই উদ্বাস্তু কলোনি অনেক পুরনো। বেশিরভাগ জমির মালিক উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর। কিছু জমির নিজস্ব মালিকানা রয়েছে। এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা কলকাতা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের তরুণ সাহা জানান, এখানে ‘কমিউনিটি সেন্টার’ নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু জমির মালিক উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর। সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি না পেলে কাজ শুরু করা যেত না। স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহার হস্তক্ষেপে অনুমতি পাওয়া যায়।
তরুণবাবুর কথায়: “৭২০ বর্গফুট জায়গা পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ বর্গ ফুট জুড়ে দোতলা ‘কমিউনিটি সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে। খরচ হবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এ বছরের শেষের দিকে এক তলার নির্মাণ শেষ হবে। বাকি অংশটি আগামী বছরে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। ভাড়া এখনও স্থির হয়নি। দরিদ্রদের কথা চিন্তা করে ভাড়া স্থির করা হবে।” স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহা বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পরেই এই জায়গায় দরিদ্রদের জন্য একটি ‘কমিউনিটি সেন্টার’ তৈরির চেষ্টা করি। কিন্তু সরকারি অনুমতি না পাওয়ায় এই প্রকল্প আটকে ছিল। পরে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের অনুমতি পাওয়া যায়।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি ভাড়া পাওয়া শক্ত। তা ছাড়া ভাড়াও অনেক বেশি। পুরসভার ‘কমিউনিটি সেন্টার’ সহজে পাওয়া যাবে। ভাড়াও কম লাগবে বলে পুরসভা আশ্বাস দিয়েছে।
উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “পুরসভার অনুমতি চেয়েছিল। আমরা সেই অনুমতি দিয়েছি।” |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|