লু গেরিগ রোগের কারণে স্টিফেন হকিংকে ‘কথা’ বলতে হয় লিখে। তাঁর ঠোঁট ও চোখের সামান্য নড়াচড়া থেকেই তাঁর ভাবনাকে লেখায় রূপান্তরিত করে দেয় এক বিশেষ যন্ত্র। আরও এক ধাপ এগিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার এক দল বিজ্ঞানী এ বার কথা জোগাতে চান মূক ব্যক্তির মুখেও। এবং সেই লক্ষ্যে তাঁরা বেশ খানিকটা এগিয়েছেন। কথা বলতে গেলে মস্তিষ্কে কী কী পরিবর্তন হয়, তা জানতে পেরেছেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন ওই গবেষকরা। এখন তাঁদের লক্ষ্য হল সেই পরিবর্তনকে শব্দে পরিণত করা। অর্থাৎ মস্তিষ্কের ওই তথ্যই এ বার উল্টো পথে কাজে লাগাতে চান তাঁরা।
গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য ইঝাক ফ্রায়েডের বক্তব্য, “এই রূপান্তর ঘটানো সম্ভব হলে পক্ষাঘাতে বোবা হয়ে পড়া ব্যক্তিকেও কথা বলতে সাহায্য করবে, এমন একটা যন্ত্র তৈরি করা খুব সহজ হয়ে যাবে।” ইঝাকদের এই গবেষণা ‘নেচার কমিউনিকেশন’ নামে বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
ওই বিজ্ঞানীরা ১১ জন মৃগী রোগীর মস্তিষ্কে ইলেকট্রোড লাগিয়ে কথা বলার সময়ে তার বিভিন্ন অংশ কী ভাবে কাজ করে, সেই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। তা বিশ্লেষণ করে ইঝাকরা দেখতে পান, শব্দ উচ্চারণের সময়ে মস্তিষ্কের দু’টি অংশে কিছু পরিবর্তন হয়। ফ্রন্টাল লোবের সুপিরিয়র টেম্পোরাল জাইরাস এবং মিডিয়াল ফ্রন্টাল লোবের একটি অংশ। মানুষ যা শোনে তা মনে রাখার কাজ করে থাকে দ্বিতীয় অংশটি। মস্তিষ্কের এই দুই অঞ্চলের আলোড়ন তথা পরিবর্তনগুলিকেই শব্দে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ইঝাকরা। এটা সম্ভব হলে পরের ধাপ হবে ছোট একটি যন্ত্র তৈরি করা, যা মস্তিষ্কের কোষগুলির (নিউরোন) পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে শব্দ তৈরি করবে। ভবিষ্যতের সেই যন্ত্রটিকে মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট অংশের সঙ্গে জুড়ে দিলেই ‘কথা’ বলে উঠবেন সেই সব মানুষেরা, কোনও রকম অসুখবিসুখে যাঁরা সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
তখন নিজের কানেই শোনা যাবে স্টিফেন হকিংদের মনের কথা!
|
আকাশগঙ্গার যমজ নক্ষত্রপুঞ্জ |
হুবহু আকাশগঙ্গার মতো যমজ নক্ষত্রপুঞ্জের খোঁজ পেলেন অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীরা। এদেরও গা ঘেষে রয়েছে ধোয়া-ধূলোর মেঘের (ম্যাজেলানিক ক্লাউড) দু’টো বামন নক্ষত্রপুঞ্জ। |