সরকারি বিদ্যালয়েই টানা ১৯ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল প্রকল্প। বুধবার পুরুলিয়া শহরের রাষ্ট্রীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে এমনই দেখলেন জেলাশাসক। স্কুল-পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প খোদ শহরেরই একটি স্কুলে এত দিন বন্ধ রয়েছে দেখে কাযর্ত অবাক জেলাশাসক। খানিক বিব্রতও। কারণ পদাধিকার বলে তিনিই এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ রয়েছে। স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুদীপ্তা চালক, সৌমিলি মাহাতো, মানসী নন্দী, নন্দিতা মুদি বা ষষ্ঠ শ্রেণির পারমিতা নাথ, দেবলীনা হালদার, শতাব্দী দেওঘরিয়া, কৃষ্ণকলি দুবেরা বলে, “আমাদের স্কুলে এখন মিড-ডে মিল রান্না হয় না।” দীর্ঘদিন মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষিকারও। তাঁদেরই এক জন এ দিন বললেন, “ওই দেখুন রান্নাঘর তালা বন্ধ রয়েছে।”
|
বুধবার আচমকা ওই স্কুলে যান জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সবুজবরণ সরকার। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চান, এত দিন কেন মিড-ডে মিল বন্ধ রয়েছে। এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। জেলাশাসক বলেন, “আমার কাছে বিদ্যালয় পরিচালনা সম্পর্কে কিছু অভিযোগ ছিল। আমি এ দিন নিজে তা খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। এখানে মিড-ডে মিল রান্না হয় না।” জেলাশাসক জানান, কেন এই প্রকল্প বন্ধ, তা জানার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে কাল, শুক্রবার বৈঠকে ডেকেছেন। জেলাশাসকের কথায়, “প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে এ রকম একটি স্কুল চালানোর জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার যে রকম ভূমিকা নেওয়া দরকার, তা তিনি নিতে পারছেন না। এ জন্য তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।” স্কুলের শিক্ষিকাদের একাংশও এ দিন জেলাশাসককে জানান, কেন মিড-ডে মিল বন্ধ রয়েছে, সে বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চাইলেও কোনও সদুত্তর পাননি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মুক্তা অধিকারীর কাছে মিড-ডে মিল বন্ধের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। |