|
সুযোগ এখনও |
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য জয়েন্টের তিন দফা কাউন্সেলিং শেষ। এখন ৩১ অগস্ট পর্যন্ত
শুধু সরাসরি
ভর্তি চলবে। এ বছর নতুন পদ্ধতির কাউন্সেলিং কতটা সফল, আগামী ক’দিনেই
বা কোথায় কোথায় ভর্তির সুযোগ থাকছে, সে সব কিছুর বিশ্লেষণে কৌলিক ঘোষ। |
পরীক্ষা দিয়েছিলেন মোটামুটি ১ লক্ষ ১৪ হাজারের মতো ছেলেমেয়ে। কোনও রকমের ঝুঁকি না নিয়ে প্রায় সব পরীক্ষার্থীকেই এ বার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাউন্সেলিং-এর সুযোগ দিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এমনকী এ বারই প্রথম এই রাজ্যে কাউন্সেলিং হয়েছে অনলাইনে (ই-কাউন্সেলিং) এবং সম্পূর্ণ নতুন এক পদ্ধতিতে। যাতে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত কলেজেরই বেশির ভাগ আসন ভরে যায়। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, বছরভর বারে বারে কাউন্সেলিং করেও ফাঁকা আসন নিয়েই চালাতে হয় কলেজগুলি। যদিও এত কিছু সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ছবিটা যে পুরো বদলে গিয়েছে, তা নয়। মোট তিন দফায় হয়েছে কাউন্সেলিং। এবং তৃতীয় দফার পর প্রায় ১২ হাজারের উপর আসন খালি রয়ে গিয়েছে। এই সব আসনেই ভর্তির সুযোগ খোলা থাকছে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত।
|
কতটা সার্থক ই-কাউন্সেলিং? |
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্তের মত, “প্রথম বার অনুষ্ঠিত হল ই-কাউন্সেলিং। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি সাফল্য মিলেছে বলে মনে করি।”
তিনি জানিয়েছেন, ১৭ দিনের মতো সময় দেওয়া হয়েছে ছাত্র-অভিভাবকদের কলেজ বাছাই করে, নিজেদের পছন্দকে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে দেওয়ার জন্য। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর বাড়িতে বা অন্য যে কোনও জায়গায় কম্পিউটারের সামনে বসেই, যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে পছন্দের কলেজ ও বিষয়ের তালিকাকে ‘লক’ করার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য বারের মতো ভিড়ে ঠেলাঠেলি করতে হয়নি। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কলকাতায় আসার বাধ্যবাধকতা ছিল না। এমনকী, কাউন্সেলিংয়ের পর ভর্তির জন্যও বিভিন্ন জেলায় রিপোর্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে এ বার। প্রথম বছরই ই-কাউন্সেলিংয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হওয়াটা যথেষ্টই আশাপ্রদ এবং উৎসাহব্যঞ্জক বলেও মনে করেন তিনি।
অন্য বারের তুলনায় আসন একটু বেশি খালি থাকার জন্য ই-কাউন্সেলিং-কে দায়ী করতে মোটেই রাজি নন ভাস্করবাবু। তাঁর মতে, বার বার বলা সত্ত্বেও ছেলেমেয়েরা অল্পসংখ্যক কলেজ বা আসন বেছেছেন। যে সমস্ত জায়গায় (বিডিও অফিস) ই-কাউন্সেলিংয়ের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেখানে যেতে অনেক ছাত্র-অভিভাবকই দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে পছন্দের কলেজ বা শাখা চিহ্নিত করার ব্যাপারে অনেকের দ্বারা ভুল পথে চালিত হয়েছেন তাঁরা। এই রকম ক্ষেত্রে অভিযোগ জানালে, সরকারের তরফে সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভাস্করবাবু।
|
দ্বিধা কাটানোর রাস্তা খুঁজতে |
একই সঙ্গে অবশ্য এই প্রথম ই-কাউন্সেলিং হওয়ায় খামতিও যে কিছুটা রয়ে গিয়েছে, তা-ও স্বীকার করেছেন ভাস্করবাবু। আর সেই জন্যই আগামী বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দিকে লক্ষ্য রেখে খুব শীঘ্রই বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে কাউন্সেলিং ঘিরে যাবতীয় দ্বিধা-দ্বন্দ্বের নিরসন হবে ছাত্র-অভিভাবকদের।
|
|
বেসরকারি কলেজগুলিতে জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আসন পূরণ না হওয়া প্রসঙ্গে ভাস্করবাবুর মত, আসন খালি থাকার কার্যকারণ বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত কলেজগুলিরই। কারণ সেই সমস্ত কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে হয়তো সন্দিহান ছাত্রছাত্রীরা। সে ক্ষেত্রে, এটা হতেই পারে যে, পরীক্ষার্থী অর্থাৎ জয়েন্ট-সফলরা অত্যন্ত সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন সেই সমস্ত বেসরকারি কলেজগুলিকে। একই মতের শরিক একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজি-র কর্তা জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, খুব ভাল ভাবে যাচাই করে নিয়ে, তবেই কলেজ পছন্দ করার বিষয়ে বার বার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের। সে ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো, শিক্ষকমণ্ডলী বা শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মনে হয়তো কিছু সংশয় তৈরি হয়েছিল, যে কারণে তৃতীয় দফার বণ্টনের পরেও বহু আসন খালি থেকে গিয়েছে সেই সব কলেজে।
তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের কেরিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মডিফাই’ করা অর্থাৎ একবার নিজের পছন্দ জানিয়ে দেওয়ার পর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ফের নতুন করে পছন্দের তালিকা জানাতে না-পারা হতাশ করেছে পড়ুয়াদের। কারণ প্রথম দফার কাউন্সেলিং শেষে নিজের পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেকেই। কাজেই একটি নির্দিষ্ট কলেজে ইচ্ছে অনুযায়ী বিষয় না-মেলার পর, স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয় দফায় যে প্রার্থী কলেজ বা বিষয়ের ক্ষেত্রে পছন্দ বদলে ফেলতে পারেন তা মাথাতেই রাখেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষামহলের মতে, এর ফলে অনেকেই কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত হয়ে পিছিয়ে এসেছেন।
জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে ই-কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করার সংখ্যা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির আগ্রহ কমার কারণ বিশ্লেষণের উপর রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সংগঠন অ্যাপাই-ও জোর দিচ্ছে। জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি তথা জে আই এস গোষ্ঠীর কর্তা তরণজিৎ সিংহ। পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকদের মুখোমুখি হয়ে এর কারণ বিশ্লেষণ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
|
সরাসরি ভর্তি চলবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে |
তবে এখনও কিছুটা সময় আছে। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চলবে সরাসরি ভর্তি। যে সমস্ত পড়ুয়া ই-কাউন্সেলিং মারফত ভর্তি হতে পারেননি, তাঁরা এই পর্বে সুযোগ নিতে পারেন। পছন্দের কলেজে হয়তো পড়া হল না, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ এখনও আছে।
এ ক্ষেত্রে ভাস্করবাবু জানিয়েছেন, সরাসরি ভর্তির ক্ষেত্রে অবশ্য কলেজগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে • প্রথমে সুযোগ পাবেন জয়েন্ট সফল পড়ুয়ারা
• তার পর পাবেন এ আই ই ই ই-তে সফলরা
• এর পর ২০১২-র জিলেট (ডিপ্লোমার পর সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির পরীক্ষা) স্থানাধিকারীরা
• পরবর্তী ধাপে বিজ্ঞানে স্নাতক ছেলেমেয়েরা
• এবং সব শেষে সুযোগ দেওয়া হবে ১০+২ উত্তীর্ণদের
বস্তুত, এই ক্রমানুসারে কোনও কলেজ যদি ভর্তি না করে, তা হলে সেগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভাস্করবাবু। পাশাপাশি তরণজিৎবাবুও জানিয়েছেন, প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরই সরাসরি ছাত্রছাত্রী ভর্তি করার ক্ষেত্রে এই সরকারি নিয়ম মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
|
তৃতীয় দফার বণ্টনের পর ফাঁকা আসন |
|
সিভিল |
মেকানিক্যাল |
ইলেকট্রিক্যাল |
কম্পিউটার সায়েন্স |
ইলেকট্রনিক্স |
বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং |
৩৫ |
৪২ |
৩৯ |
৩৮ |
৯৫ |
বাটানগর ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং |
৩০ |
৩৭ |
৩৭ |
৩৫ |
৩৭ |
বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ
টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
২৭ |
৫৪ |
৩২ |
৬৪ |
৬১ |
ক্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং |
৩৭ |
৩৭ |
৪০ |
৩৮ |
৪৪ |
ক্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট অফ
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি |
৩৮ |
৯৪ |
৪৫ |
৪৮ |
৪৮ |
গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট
অ্যান্ড টেকনোলজি |
৭৮ |
৪৮ |
৪১ |
৫৫ |
৪৯ |
আই এম পি এস (মালদহ) |
৭৫ |
X |
৩৪ |
২৫ |
১০২ |
কণাদ ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
৪৬ |
৪৫ |
১০২ |
৪৯ |
৫৫ |
কাঁকসা অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজি
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
৩১ |
৩৫ |
২৯ |
৪০ |
৪২ |
মডার্ন ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
৩৪ |
৪৩ |
৩২ |
৪৪ |
৪২ |
সনকা এডুকেশন ট্রাস্টস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন |
৩৪ |
৩৪ |
৩৬ |
৫০ |
X |
সেন্ট মেরিজ টেকনিক্যাল ক্যাম্পাস |
৪৪ |
৮৫ |
X |
৮৬ |
৪৪ |
ড্রিম ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি |
X |
৪২ |
৭১ |
৩৯ |
৮০ |
ডোমকল ইনস্টিটিউট অফ
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি |
২৯ |
৩৬ |
৪৫ |
৪৯ |
৫২ |
ক্যামেলিয়া স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি |
২১ |
৩১ |
৩৭ |
৪৫ |
৪৪ |
ক্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট অফ
টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
১১ |
৩৭ |
১৯ |
১৯ |
২২ |
মল্লভূম ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি |
X |
৫০ |
২৯ |
৩২ |
৬৪ |
টেকনো গ্লোবাল বালুরঘাট |
৩৯ |
X |
৪২ |
৪৪ |
৫০ |
উপরোক্ত পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে ন্যূনতম চারটি পড়ানো হয় এমন কলেজগুলির নাম
• শতাংশের হিসাবে যে সব কলেজে বেশি আসন খালি ছিল, সেগুলির নাম
• সরাসরি ভর্তি শুরু হয়ে যাওয়ায় উপরিউক্ত আসনের অনেকগুলি ইতিমধ্যেই ভরে যেতে পারে |
|
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
কলকাতায় বসেই এ বার লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাঠ্যক্রম পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন পড়ুয়ারা। কারণ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামস-এর স্টাডি সেন্টার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে গ্লোবসিন ব্লু। নিয়মিত ক্লাস করাবে তারাই। কলকাতার ব্রিটিশ কাউন্সিলেই স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের। তবে পাঠ্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে দু’দেশের পড়ুয়া বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুবিধা থাকায়, ইচ্ছুকরা লন্ডনে যাওয়ার সুযোগও পেতে পারেন বলে ইঙ্গিত।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে, বি এসসি ইন ইকনমিক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং বি এসসি ইন ইকনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্স। দু’টি ক্ষেত্রেই আসন ১৫টি করে। ডিগ্রি মিলবে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়েরই। যোগ্যতা, ১০+২-এ ৭০% বা তার বেশি এবং অঙ্কে ৫০% বা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অঙ্কে ৮০% নম্বর। ভর্তি চলবে অগস্ট পর্যন্ত।
ফোন করতে পারেন +৯১-৩৩-৬৪৬০৩০৮০ নম্বরে।
ই-মেল করতে পারেন admission@globsynblue.com-এ।
|
আর্থিক বাজার নিয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম করাতে গাঁটছড়া বাঁধল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, শিলং। যৌথ ভাবে তারা আনছে দু’বছরের পূর্ণ সময়ের পাঠ্যক্রম, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্র্যাম ইন ফিনান্সিয়াল মার্কেটস (পিজিপি-এফএম)। |
|
এ ছাড়া, ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ক্যাপিটাল মার্কেটস ও ডেরিভেটিভের মতো আর্থিক বাজারের বেশ কিছু বিষয়ের উপর কিছু অ্যাডভান্সড লেভেল সার্টিফিকেট ও ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্র্যামও আনছে তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, স্নাতকোত্তর কোর্সটিতেও সাধারণ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের সঙ্গে ফিনান্সিয়াল ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড মডেলিং, ইক্যুয়িটি রিসার্চ, টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস, ডেরিভেটিভস ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজিস এবং ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্পেশ্যালাইজেশন করার সুযোগ থাকছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজার পর্যবেক্ষণের সুযোগও পাবেন পড়ুয়ারা।
যোগাযোগের নম্বর ০৩৬৪ ২৩০৮০০০/ ২৩০৮০৫৬।
|
শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে (বেসু) ২১ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সিস্টেম (জিআইএস)-এর উপর দু’মাসের এক পেশাদারি পাঠ্যক্রম। সান্ধ্যকালীন পাঠ্যক্রম এটি। ভূগোল, ভূতত্ত্ব, পরিবেশ বিজ্ঞান, সিভিল, মাইনিং, আর্কিটেকচার-সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের স্নাতকরা ভর্তি হতে পারবেন। ‘আগে এলে আগে ভর্তি’র ভিত্তিতে আসন পূর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুম প্রশিক্ষণের সঙ্গে আছে হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থাও।
ফোন করে নিন ৯৪৩২৫৮২৪৩৩ /৯১৬৩৫৮২৪৩৩ নম্বরে।
|
|
দু’বছরের এমবিএ পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র চাইছে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ লিডারশিপ অন্ত্রেপ্রেনরশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইলিড)। আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ২৯ অগস্ট। পাঠ্যক্রম শুরু হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর। ৫০% পেয়ে স্নাতকোত্তীর্ণরা এবং ওই নম্বর পাওয়ার শর্তে স্নাতকের চূড়ান্ত বছরের ছাত্ররাও আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া, স্নাতকোত্তীর্ণ কিংবা ক্যাট, ম্যাট, জ্যাট পরীক্ষাগুলির বৈধ নম্বর দেখিয়েও ভর্তি হওয়া যাবে। আর নয়তো আইলিডের নিজস্ব প্রবেশিকা আইম্যাট-এ বসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
ফোন করুন ৯৮৩০০ ১৫২০১/০৩৩-৪০১৮ ২০০০ নম্বরে।
|
|
ডব্লিউবিসিএস, ব্যাঙ্ক-সহ অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য জর্জ স্কুল অফ কম্পিটিটিভ এগজামিনেশন-এর নতুন ব্যাচ শুরু হচ্ছে অগস্টে। যোগাযোগ করুন: ৯৮৩০২-৭৭১০০ নম্বরে।
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: দ্বাদশে পড়ছি। এর পর বি এসসি নার্সিং পড়ে ভবিষ্যতে এম এসসি করতে আগ্রহী। কোথায় কোথায় নার্সিং-এ এম এসসি পড়ানো হয় জানাবেন।
দীপান্বিতা বোড়াল
উত্তর: ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ ইউনিভার্সিটি বা রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে নার্সিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পড়ানো হয়, সেগুলির মধ্যে কয়েকটির নাম জানানো হল
•
ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কলেজ অফ নার্সিং (এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে)
• কলেজ অফ নার্সিং (মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল),
• গভর্নমেন্ট কলেজ অফ নার্সিং (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অর্থোপেডিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপড), কলেজ অফ নার্সিং (এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল), বিএম বিড়লা কলেজ অফ নার্সিং,
• কলেজ অফ নার্সিং (এশিয়ান হার্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন)।
|
|
প্রশ্ন: দূরশিক্ষায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করছি। সঙ্গে ‘ইআরপি’-র কোর্সও করছি। দূরশিক্ষায় এমবিএ করার জন্য ভবিষ্যতে চাকরি পেতে কি সমস্যা হতে পারে আমার?
সৌরভ মজুমদার, বরানগর
উত্তর: সব সময় যে দূরশিক্ষায় এমবিএ করলে চাকরি পেতে সমস্যা হয় এমনটা নয়। তবে বেশ কিছু সংস্থায় ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হলে নিয়োগকর্তারা প্রশ্ন করতেই পারেন যে, আপনি কেন দূরশিক্ষায় পড়াশোনা করেছেন।
কারণ মনে রাখা প্রয়োজন, দূরশিক্ষায় এমবিএ পড়ার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয় না। কিন্তু প্রথাগত পদ্ধতিতে ম্যানেজমেন্ট পড়তে গেলে বিপুল প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে হেঁটে ক্যাট, সি-ম্যাট, জ্যাট ইত্যাদি নানা ধরনের প্রবেশিকা পরীক্ষার বেড়া টপকাতে হয়। সফল হতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত গ্রুপ ডিসকাশন ও ইন্টারভিউ-এ।
|
|
ক্লাসরুম শিক্ষা এগিয়ে সব সময়ে। |
পাশাপাশি, নিয়মিত ক্লাস করলে বিভিন্ন বিষয় সরাসরি শেখা যায় শিক্ষকদের থেকে, লেকচার শোনা যায়, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে নানা রকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়া যায়। সংস্থা পরিচালনা সংক্রান্ত বাস্তব সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ পেতে হাজারো ‘কেস স্টাডি’ নিয়ে গবেষণা করা যায়। আর এই সব কিছুই প্রথাগত এমবিএ উত্তীর্ণদের অনেকটাই এগিয়ে রাখে।
অবশ্য কর্মরত অবস্থায় দূরশিক্ষায় পড়াশোনা করাটা অনেক সময় নিয়োগকর্তারা মেনে নেন। কিন্তু তা না হলে, অনেকে যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান হতে পারেন। তবে হতাশ না হয়ে ছোট-বড় সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে থাকুন আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রেখে। আর সংস্থা ছোট হলেও, সুযোগ পেলে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না। কারণ তার ফলে অর্জিত অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বড় সংস্থায় কাজের দরজা খুলে দেবে।
|
উত্তর পেতে চিঠি লিখুন এখনই
পেশার দুনিয়ার যাবতীয় খোঁজখবর, পেশাদার তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের
হাল-হদিস,
পাঠ্যক্রমের খুঁটিনাটি জানতে এবং বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
আপনার যে কোনও
প্রশ্নের উত্তর পেতে চিঠি লিখতে পারেন এই ঠিকানায়-
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর,
কাজের বাজার,
ব্যবসা বিভাগ,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০০০১।
নিম্নোক্ত ই-মেল-এও আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন: kajerbazar@abp.in |
|
|